HSC বাংলা ২য় পত্র বই (বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি) বিষয়টির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অনুমোদিত একাধিক পাঠ্যবই রয়েছে। বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য সত্ত্বেও নির্দিষ্ট টপিকের ওপর আলোচনা বিভিন্ন বইতে ভিন্ন ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। তাই একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যেকোনো একটি পছন্দের বই পড়তে পারেন ৷

HSC বাংলা ২য় পত্র বই সূচিপত্র
ব্যাকরণ অংশ
অধ্যায় ১: | ভাষা ও ব্যাকরণ |
অধ্যায় ২: | উচ্চারণ |
অধ্যায় ৩: | বাংলা বানান শব্দের শুদ্ধ প্রয়োেগ |
অধ্যায় ৪: | শব্দ পদ, পদ প্রকরণ, ব্যকরণিক শব্দের শ্রেণীবিভাগ ও অনুচ্ছেদ |
অধ্যায় ৫: | উপসর্গ |
অধ্যায় ৬: | প্রকৃতি-প্রত্যয় |
অধ্যায় ৭: | সমাস |
অধ্যায় ৮: | বাক্য, বাক্য গঠন ও বাক্যের শ্রেণীবিভাগ |
অধ্যায় ৯: | শব্দ, শব্দের শ্রেণীবিভাগ ও শব্দের শুদ্ধরূপ, বাক্য শুদ্ধিকরণ ও অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগ |
অধ্যায় ১০: | ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান |
অধ্যায় ১১: | বিরাম চিহ্নের ব্যবহার ও এক নজরে ব্যাকরনের সংক্ষিপ্ত সাজেশন্স |
নির্মিতি অংশ
অধ্যায় ১: | পরিভাষা ও পারিভাষিক শব্দ, অনুচ্ছেদ বাংলায় অনুবাদ |
অধ্যায় ২: | দিনলিপি বর্ণন |
অধ্যায় ৩: | অভিজ্ঞতা বর্ণনা |
অধ্যায় ৪: | ভাষণ ও প্রতিবেদন |
অধ্যায় ৫: | খুদেবার্তা/এস এম এস |
অধ্যায় ৬: | ই-মেইল |
অধ্যায় ৭: | পত্র লিখন |
অধ্যায় ৮: | সারাংশ/সারমর্ম |
অধ্যায় ৯: | ভাব-সম্প্রসারণ |
অধ্যায় ১০: | সংলাপ/কথোপকথন |
অধ্যায় ১১: | ক্ষুদে গল্প |
অধ্যায় ১২: | রচনা/প্রবন্ধ |
HSC বাংলা ২য় পত্র বইয়ে ভাষা ও ব্যাকরণ(একটু পড়ুন)
ভাষা
ভাষা মানবজাতির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, ভাব-প্রকাশের শ্রেষ্ঠতম মাধ্যম। মানুষের অন্তর ও পারিপার্শ্বিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই ভাষার উদ্ভব ও বিকাশ। প্রাগৈতিহাসিককালে মানুষের বর্তমানের মতো সুনির্দিষ্ট কোনো ভাষা ছিল না। প্রাচীন মানুষ ইশারা, ইঙ্গিত, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি বা চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করত। পাশাপাশি মৌখিক আওয়াজ বা ধ্বনির সাহায্যেও ভাব প্রকাশ করত।
পরবর্তীকালে এই মৌখিক ধ্বনি থেকেই ভাষার উদ্ভব হয়েছে এবং দেশ-কাল-পরিবেশভেদে তা শত সহস্র ধারায় উৎসারিত ও বিকশিত হয়ে বহু-বিচিত্র রূপ পরিগ্রহ করেছে। পৃথিবীর সকল ভাষার মৌলিক উপাদান হলো ধ্বনি। ধ্বনির সৃষ্টি হয় মানুষের গলনালি, মুখবিবর, কণ্ঠ, জিহ্বা, তালু, দন্ত, নাসিকা ইত্যাদি বাক্-প্রত্যঙ্গের দ্বারা। তাই বাগ্যন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকেই ভাষা বলে।
ব্যাকরণ
ব্যাকরণ ভাষাবিজ্ঞানের একটি মৌলিক ধারণা। ভাষাকে বর্ণনা করে বা বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা থেকেই ব্যাকরণের জন্ম। বিষয় হিসেবে ব্যাকরণের কাজ হচ্ছে ভাষার প্রণালিবদ্ধ অধ্যয়ন ও আলোচনা।
যে-কোনো ভাষার মূল উপাদান তিনটি: (ক) ধ্বনি (sound), (খ) শব্দ (word) ও (গ) বাক্য (sentence)। ভাষার মৌলিক উপাদানগুলোর গঠন-প্রকৃতি ও স্বরূপ বৈশিষ্ট্যকে বা সেগুলোর আলোচনাকে ব্যাকরণ বলে। অর্থাৎ ধ্বনি কীভাবে উচ্চারিত হয়, শব্দ কীভাবে গঠিত হয় ও রূপান্তরিত হয় এবং শব্দ কীভাবে বিন্যস্ত হয়ে বাক্য তৈরি হয়। এগুলো দেখানোই ব্যাকরণের কাজ।
পৃথিবীতে যে কয়েক হাজার ভাষা রয়েছে তার প্রত্যেকটির নিজস্ব নিয়ম-শৃঙ্খলা রয়েছে। ব্যাকরণ হচ্ছে সেই নিয়ম-শৃঙ্খলা। ভাষার নিয়ম-শৃক্মখলা চিহ্নিত করাই ব্যাকরণবিদদের কাজ। এই নিয়ম-শৃঙ্খলার সাহায্যেই ভাষার ছোট ছোট উপাদান মিলে বড় ধরনের উপাদান গড়ে ওঠে। যেমন: ধ্বনির সঙ্গে ধ্বনি যোগ হয়ে হয় শব্দ বা পদ; আর শব্দ বা পদের সঙ্গে শব্দ ও বাক্য যোগ হয়ে গড়ে ওঠে বাক্য। এক এক ভাষার নিয়ম-শৃঙ্খলা অন্য ভাষার চেয়ে আলাদা।
তাই প্রত্যেক ভাষার ব্যাকরণও আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। যেমন, বাংলায় ‘সে বোকা’ বলতে আমরা যা বুঝি ইংরেজিতে তা বোঝাতে He fool বললে চলে না, বলতে হয় He is fool। এই জন্যে ভাষা ভেদে ব্যাকরণ সাধারণত আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যে ভাষার ব্যাকরণ তাকে ঐ ভাষার ব্যাকরণ হিসেবে নামাঙ্কিত করা হয়। যেমন: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, The Grammar of American English ইত্যাদি।
কোনো নির্দিষ্ট কালপর্বে একই গোষ্ঠীভুক্ত বিভিন্ন ভাষার শৃঙ্খলা ধরা পড়ে তুলনামূলক ব্যাকরণে। যেমন: তুলনামূলক ইন্দো-ইউরোপের ব্যাকরণ।
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
যে ব্যাকরণ বাংলা ভাষার ধ্বনি, শব্দ বা পদ ও বাক্য ইত্যাদির গঠন-প্রকৃতি ও স্বরূপ-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করে তাকেই বলা হয় বাংলা ভাষার ব্যাকরণ।
প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের সংজ্ঞায় বলা হয়, বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা ঠিকমতো বলতে শেখায়। এ কথার সঙ্গে পুরোপুরি একমত হওয়া যায় না। কারণ, যাদের মাতৃভাষা বাংলা তারা ব্যাকরণ না জেনেও বাংলায় কথা বলতে পারেন। কিন্তু এতে ব্যাকরণের গুরুত্ব খাটো হয়ে যায় না। আমাদের মুখের ভাষা অনেক ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক প্রভাবদুষ্ট হয়ে থাকে। তার সঙ্গে সর্বজনমান্য চলিত ও সাধু ভাষার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
বাংলা ব্যাকরণ বলতে বোঝায় আদর্শ বা শিষ্ট চলিত ভাষা ও সাধু ভাষার ব্যাকরণ। এই শিষ্ট ভাষার উচ্চারণ-বৈশিষ্ট্য, শব্দ গঠন ও পদ প্রকরণ, বাক্য গঠন ও পদক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্যে বাংলা ব্যাকরণ জানা খুবই দরকার। বাংলা ভাষার স্বরূপ-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হলে ব্যাকরণ অনুশীলন বেশ দরকার। বাংলা ভাষার ব্যাকরণ জানা থাকলে এই ভাষায় দক্ষতা অর্জন সহজ হয়ে ওঠে।
যে-কোনো ভাষার মতোই বাংলা ভাষা বহতা নদীর মতো। নিত্যই নানা পরিবর্তন ঘটছে এই ভাষার উচ্চারণ-বৈশিষ্ট্যে, শব্দ ব্যবহারে ও বাক্যরীতিতে। এ ক্ষেত্রে ব্যাকরণের ভূমিকা ভাষাকে নিয়মের শৃঙ্খলে বেঁধে রাখা নয়, বরং পরিবর্তনের ধারায় ভাষাকে সুশৃঙ্খল, গতিশীল ও জীবন্ত করে রাখা। এক সময় বাংলা ব্যাকরণ ছিল অত্যন্ত সংস্কৃত ঘেঁষা। ক্রমেই বাংলা ব্যাকরণ সেই সংস্কৃত প্রভাব কাটিয়ে নিজস্ব পথে এগিয়ে চলেছে।
Also Read:- সকল শ্রেণীর বাংলা ২য়পত্র বই পিডিএফ
2025 সালের HSC বাংলা ২য় পত্র বই PDF দেখুন এবং পড়ুন | Bangla 2nd Paper hsc pdf
[ পিডিএফ দেখুন ]
Please Wait...