কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধি PDF: শুদ্ধচিত্ত লেখক হাফিজুর রহমানের ‘কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধি’ শীর্ষক এই খুদে গ্রন্থটি একটি অভিনব চরিত্র-গঠনমূলক শ্রুতি-কাব্য। জংধরা ঈমানকে যারা জীয়নকাঠির স্পর্শছোঁয়ায় জাগরিত করতে চান, এ কাব্যটি সেই পূত-পবিত্র মানুষের জন্যে। যে জীবনটি নুরের, দ্বীনের, সহজের ও সত্যের জন্য নিবেদিত হতে চায়, এ কাব্যটি সেই জীবনকে আরও শানিত ও মহিমান্বিত করে তুলবে, ইনশাআল্লাহ। প্রিয় ভিউয়ার, আপনারা যারা বই কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধি পিডিএফ অনলাইনে খুজছেন তাদের জন্য আজকের পোষ্টটি ৷
কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধিঃ বই বিবরণ
- বইঃ কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধি ৷
- লেখকঃ হাফিজুর রহমান ৷
- প্রকাশকঃ মুহাম্মদ পাবলিকেশন ৷
- প্রকাশঃ ২০২৪
- পেইজ সংখ্যাঃ ৯৬ টি ৷
- ক্যাটাগরিঃ ইসলামি আত্ম-উন্নয়নমূলক বই ৷
কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধিঃ সূচিপত্র
বিষয় | পৃষ্ঠা |
---|---|
ঈমান | ১৭ |
নামাজ | ২০ |
নফস | ২৩ |
কুদৃষ্টি | ২৫ |
মৃত্যুচিন্তা | ২৭ |
চুপ থাকা | ২৯ |
গিবত বা পরনিন্দা | ৩১ |
হিংসা | ৩৪ |
অহংকার | ৩৬ |
ফজর | ৩৮ |
লোভ | ৪১ |
কবর | ৪৩ |
ওয়াদা রক্ষা | ৪৫ |
আত্মহত্যা | ৪৭ |
সুদ | ৪৯ |
ক্রোধ-রাগ | ৫২ |
উৎকোচ/ঘুষ | ৫৫ |
ডিপ্রেশন বা হতাশা | ৫৭ |
লেখকের কথা
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তাআলার। শান্তি বর্ষিত হোক হজরত মুহাম্মদ (সা)-এর ওপর ও তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবিদের ওপর।
একদা ইসলামের প্রায় সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী জীবনই ছিল আমার। দুনিয়ার মোহে অন্ধ ছিলাম। ভোগ-বিলাসিতা ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য। অনলাইনের অশ্লীলতা, ধূমপান, অসৎ সঙ্গ আমাকে সর্বদা ঘিরে রাখত। সে সময় একবারও মনে হয়নি যে আমার একজন রব আছেন। পরিচালক ও নিয়ন্ত্রক আছেন। কখনো মনে হয়নি রাসুল (সা)-এর মাঝেই আমার জীবনাদর্শ। একসময় জীবনের মানে খুঁজতে শুরু করলাম। কেন এসেছি, কী করছি, কোথায় যাব?
আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারের কথা ও আরিফ আজাদ ভাইয়ের লেখা আমাকে দ্বীনের পথে ফিরতে অনুপ্রাণিত করেছে। ‘বেলা ফুরাবার আগে’ বইটির ‘চলো বদলাই’ অধ্যায়টি পড়ে নিজেকে আবিষ্কার করলাম নতুনভাবে। আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছে তাওফিক চাইলাম। আল্লাহর অসীম কৃপায় নিজেকে অনলাইন থেকে মুক্ত করলাম। এককথায় একবাক্যে ছেড়ে দিলাম ধূমপান ও জীবনের যত অনাচার। জানার দুর্বার সংকল্প নিয়ে বইমুখী হওয়ার চেষ্টা করলাম। প্রথমে পড়তে একদম ইচ্ছে করত না। নিজের সাথে যুদ্ধ করতে থাকলাম। আলহামদুলিল্লাহ কখন যে বই পড়াটা নেশায় পরিণত হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
দুটি মানুষ আমাকে লিখতে উৎসাহ দিয়েছেন। একজন এখন বহুদূরে থাকলেও অপরজন আমার সহধর্মিণী। সে আমাকে বলল, তুমি শুরু করো; পারবে ইনশাআল্লাহ। তার উৎসাহ নিয়ে হৃদয় উজাড় করে শুরু করলাম। ইতিহাসের বরেণ্য মানুষদের সিন্ধু পরিমাণ জ্ঞানের আলোকে লেখা আত্মশুদ্ধির বইগুলো পড়ে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ঐকান্তিক হৃদয়ে তার ক্ষুদ্র অংশ লিপিবন্ধ করলাম কাগজের পাতায়।
গভীরভাবে উপলব্ধি করলাম লোভ, হিংসা, অহংকার- এই আত্মিক দোষগুলো সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষের মাঝে বিদ্যমান। এই মোহময় পৃথিবীতে সুদ, ঘুষ ও জেনার মতো দৃশ্যমান পাপগুলো নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, পক্ষান্তরে হিংসা, বিদ্বেষ, রাগ, ক্ষোভ, অহংকার ও প্রবৃত্তির আসক্তির মতো মনের অসুখগুলো দূরীকরণে ততটাই উদাসীন। সেই আদিযুগ থেকেই মানুষের মন সবসময় তার দেহের বিপরীতে চলতে চায়। আত্মিক এই বিচ্যুতিগুলো সংশোধনের লক্ষ্যে অতীতের মনীষীরা এর শত উপায় বাতলে দেওয়ার পরও যেন আমরা তা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি।
এই বাঁধনহারা মনকে শৃঙ্খলার ডোরে আবদ্ধ করতে প্রয়োজন সঠিক কিছু পদক্ষেপ। যে পদক্ষেপগুলো নিতে আপনাকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনি যদি একবার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে জীবন-পথে সফল হতে পারেন, তবে ইহকালের এই সংঘাতময় জীবন আপনার হয়ে উঠবে আরও মধুময়। বিপরীতে দুনিয়ার সফর শেষে পরকালে আপনার ঠিকানা হবে চির প্রশান্তির আবাস জান্নাত। এ আমি আমার ক্ষুদ্র জীবন দিয়ে উপলব্ধি করেছি।
বই থেকে ভালোলাগার মতো কিছু কাব্যকথা
আলোচ্য শ্রদ্ধেয় লেখক বইয়ে সুন্দরভাবে মোটিভেশনাল কিছু কাব্যিক কথামালা গেঁথে পাঠক সমীপে আঞ্জাম দিয়েছেন আত্মশুদ্ধির অভিনব শব্দের বাঁধন। এবং প্রতিটি বিষয় শুরু করার আগে উক্ত বিষয়ের সঙ্গে সামঁজস্যপূর্ণ একটি আয়াত ও হাদিস যুক্ত করেছেন। যা নিজেকে পড়ার সময় অনেক মডিফাইড করেছে। আমি বইটি পড়ার সময় সকল টপিকে দু- চার লাইন কাব্যকথা মার্ক করেছিলাম। তদানুসারে তুলে ধরা হলো-
ঈমান:
যদি দেখো ইবাদাতে তোমার এসেছে অলসতা,
মনে রেখো শুরু হয়ে গেছে ঈমানের দুর্বলতা।
অশ্লীলতা আর পাপাচারে যখন তুমি ডুবে রও,
দেখতে মানুষ হলেও তখন মুমিন নও।
নামাজ:
তুমি দান করছ, সাদাকা করছ, করছ আল্লাহর শোকর,
অথচ রাসুল বলেন নামাজ আদায় না করে করছ তুমি কুফর।
হে যুবক, তুমি জেনা করেছ, নেশা করেছ, করেছ সকল পাপ,
আন্তরিক তাওবা করে নামাজ পড়ো হয়ে যাবে মাফ।
নফস:
প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করি নফসের বিরুদ্ধে,
কখনো হারি কখনো জিতি এই ভয়ানক যুদ্ধে।
জয়-পরাজয়ের এই যুদ্ধ আমার চলবে নিরবধি,
এভাবে হয়তো পৌঁছে যাব আমি করব অবধি।
কুদৃষ্টি:
পবিত্র আত্মাকে কলুষিত করার জন্য আছে যত উপকরণ,
কুদৃষ্টি হলো সর্বাগ্রে-রাখিও তা স্মরণ।
যদি দ্বীনের পথে থাকতে চাও তুমি চির অজয়,
দৃষ্টি হেফাজত করো তবে আসবেই তোমার বিজয়।
কবর:
প্রতিটি মানুষের কবর হলো পরকালের প্রথম ঘাঁটি,
সে ঘাঁটিতে পার হতে চাইলে ঈমান করতে হবে খাঁটি।
কবরের আজাব থেকে বাঁচতে সদা করতে হবে দুআ,
তাহলে আমরা মৃত্যুর পর পাব জান্নাতের ছোঁয়া।
জীবন পাল্টে দেওয়ার মতো আরও কাব্যকথা জানতে পুরো বইটি পরুন,,
কাব্যকথায় আত্মশুদ্ধি — হাফিজুর রহমান বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ
Last updated: