“তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা” বইটির লেখক সাদাত হোসাইন ৷ বইটি প্রকাশিত হয়েছে অন্যধারা প্রকাশনী দ্বারা ৷ তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা একটি সমকালীন উপন্যাস বই ৷ বইটি পড়তে পারেন ৷ অনেকে বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ খুজে থাকেন ৷ (Tumi Sondhya Alokananda Book)

বই বিবরণ
- বইয়ের নামঃ তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা ৷
- লেখকঃ সাদাত হোসাইন ৷
- প্রকাশনীঃ অন্যধারা ৷
- দামঃ ৪১০ টাকা(হার্ডকপি রকমারিতে)
- পেইজ সংখ্যাঃ ২৬৪ পেইজ ৷
- ক্যাটাগরিঃ সমকালীন উপন্যাস বই ৷
তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা বইয়ের ভূমিকা অংশ
‘তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা’কে আমি বলি আমার বুকের খুব কাছে থাকা এক উপন্যাস। এই উপন্যাস লিখতে গিয়ে কি নিজের অগোচরেই কোথাও আমি আমার নিজেকেই লিখে ফেলেছি? নিজের অনুভব, উপলব্ধি, ভাবনা? হয়তো। আবার হয়তো না। এই দ্বিধার কারণ, আমার চারপাশের মানুষ।
যত ঝলমলে হাসিমুখের মানুষের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে, পরিচয় হয়েছে-দুদিন যেতে না যেতেই আবিষ্কার করেছি, তাদের বুকের ভেতর বিপুল বিষাদের অতল অন্ধকার। বরং ঝলমলে ওই হাসিমুখটুকু কেবলই রংমাখা এক ‘বিপুল বিভ্রমের বিলবোর্ড।’ ফলে, এই উপন্যাসে সম্পর্ক, প্রেম, একাকীত্ব, আশ্রয়, উপলব্ধি, জীবন ও যাপন, সংসার ও সংবেদনশীলতার অতল গহিন থেকে প্রবল যত্নে যে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতি কিংবা চোরাগলি খুঁজে তাতে আলো ফেলার চেষ্টা করেছি, আতশি কাচের দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করেছি, তা হয়তো হয়ে উঠেছে আর সব মানুষেরও হৃদয়ের গভীর গোপন দীর্ঘশ্বাস, অব্যক্ত অনুভূতির অনুবাদ।
আমার বিশ্বাস, এই উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রের গল্পেই পাঠক কোথাও না কোথাও খুঁজে পাবেন নিজেকে। আর তার মনে হবে, এই কথাটি তো আমারই। এই অনুভবটিও আমার। কিন্তু এভাবে তো কখনো ভেবে দেখিনি! বরং তা রয়ে গিয়েছিল এই জীবনের সবচেয়ে গোপন, গভীর, অব্যক্ত অনুভব হয়েই।
‘তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা’ তাই সেই সব অব্যক্ত গোপন অনুভূতির বাত্ময় প্রকাশ। হঠাৎ সরব হয়ে ওঠা নির্বাক সব অনুভূতির সবাক গল্প।
আরও পড়ুনঃ- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও – খেতে আসেননি লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বই(পিডিএফ এবং হার্ডকপি)
তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা PDF সাদাত হোসাইন বই | Tumi Sondhya Alokananda Book
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]Join Telegram Channels

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

"ঘরে বসে আয় করুণ"
তুমি সন্ধ্যা অলকানন্দা বই থেকে একটু পড়ে দেখুন
ধ্রুব যখন বাড়ি ফিরল তখন রাত দুটা। মীরা ঘুমিয়ে পড়েছে। সকালে অফিস আছে তার। অভ্রকে স্কুলেও দিতে হবে। অভ্রর বয়স পাঁচ। তার স্কুল আটটায়। অত ভোরে স্কুল মানে মীরাকে উঠতে হবে আরো আগে। সব গোছগাছ করে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে তারপর অফিস। ফিরতে ফিরতে রাত। তারপর আবার ঘরের নানান কাজ। রান্নার বুয়ার কাজ খুব একটা পছন্দ নয় তার। যদিও বাঁধা কাজের মেয়েও একজন আছে। নাম খোদেজা।
মেয়েটা ভালো। নিজের পরিবারের মতোই সব দেখাশোনা করে। কাজকর্মে তেমন ফাঁকিঝুঁকিও নেই। কাপড় কাঁচা থেকে ঘর মোছা, অভ্রর দেখভাল থেকে শুরু করে মঝেমধ্যে বাজার সদায় করা-সবই করে সে। নাহলে একা হাতে এই সংসার সামলানো সম্ভব ছিল না। এখনো যে খুব সহজেই সব সম্ভব হচ্ছে তা নয়। তার পরও নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে মীরা।
এর কারণ ধ্রুব। সে শিল্পী মানুষ। গান গায়। খুব অল্প সময়েই খ্যাতির প্রায় মধ্যগগন ছুঁয়ে ফেলেছে। কিন্তু ভীষণ উদাসীন। কখন ঘুমায়, ওঠে, খায়-তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। এই স্বভাব তার চিরকালের। সংসারী মানুষ সে একদমই নয়। হয়তো সেকারণেই তার কাজের স্বাধীনতাটুকু দিতে চায় মীরা। আর ওই করতে গিয়েই দিশাহারা হতে হয় তাকে। দশদিক সামলাতে হয় একহাতে।
কিন্তু ধ্রুব আনমনা, উদাস। খুব সামান্য একটি কাজ করতে গিয়েও হাজারটা গোলমাল বাধাবে সে। মীরা ওই কথাটা এখনো ভুলতে পারে না। বছরতিনেক আগের ঘটনা। মীরার ছোটো বোন ইরা তখন শুধু ঢাকায় এসেছে। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেবে। তাকে পরীক্ষা শেষে আনতে যেতে হবে ধ্রুবকে। ইরা তখন ঢাকার পথঘাট কিছু চেনে না। অফিসে যাওয়ার সময় মীরা তাকে পরীক্ষকেন্দ্রে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। কথা ছিল ধ্রুব গিয়ে নিয়ে আসবে। তার কেন্দ্র পড়েছে আজিমপুরের কাছে। পরীক্ষা শেষে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করল ইরা। ধ্রুবকে অসংখ্যবার ফোন করল। কিন্তু ধ্রুব ফোন ধরল না। মীরাও না।