নাইয়রি PDF: বইঃ নাইয়রি, লেখকঃ মৌরি মরিয়ম, প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ ৷ প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, নাইয়রি বইটির হার্ডকপি প্রয়োজন হলে নিচের BUY NOW তে ক্লিক করে অর্ডার করতে পারেন ৷ তাছাড়া আপনারা অনেকেই মৌরি মরিয়ম এর বই নাইয়রি PDF অনলাইনে খুজ করে থাকেন ৷ তাদের জন্য আজকের পোষ্ট, পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন ৷
নাইয়রি বই বিবরণঃ
বইয়ের নামঃ | নাইয়রি ৷ |
লেখকঃ | মৌরি মরিয়ম ৷ |
প্রকাশনীঃ | অন্যপ্রকাশ ৷ |
ক্যাটাগরিঃ | সমকালীন উপন্যাস বই ৷ |
প্রকাশঃ | ২০২৪ |
পেইজ সংখ্যাঃ | ২০০ টি ৷ |
‘নাইয়রি’ লেখক মৌরি মরিয়ম এর তেরোতম উপন্যাস। এবং এখন পর্যন্ত বোধহয় সবথেকে সেরা উপন্যাসটিও। গ্রামবাংলার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই উপন্যাসটিকে লেখক যেভাবে লেখার চেষ্টা করেছেন তা বেশ দারুণভাবে ছিল।
নাইয়রি বইয়ের ভূমিকা থেকেঃ
আমার মা যখন ছোট তখন তাদের গ্রামে অসম্ভব এক রূপবতীর সাথে পরিচিত হন। সেই ভদ্রমহিলার বাপের বাড়ি ছিল পটুয়াখালী। তাঁর সেখানকার ফেলে আসা জীবনে নাইওরে গিয়ে এক বীভৎস ঘটনা ঘটে। তারপর তিনি পালিয়ে চলে আসেন আমার মায়ের গ্রামে।
ঘটনাটি আম্মুর মুখে শুনেই আমার মনে হয়েছিল, এটি দারুণ একটি উপন্যাস হতে পারে। যেহেতু আগের কিংবা পরের ঘটনা আমি জানি না আর ওই মানুষগুলোকেও চিনি না, তাই ওই বীভৎস ঘটনাটুকু এক রেখে বাকি সব কাল্পনিকভাবে সাজিয়ে লিখে ফেলি। পাঠক উপন্যাসটি উপভোগ করবে এই কামনায়।
নাইয়রি বই থেকে কিছু অংশ
পটুয়াখালী জেলার কেশবপুর গ্রামের সর্বদক্ষিণে মির্জাবাড়ি। বাড়ির মালিক জয়নাল মির্জা উক্ত এলাকার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। প্রভাবশালী লোক। লোকে তাকে সম্মান করে, মেনে চলে, ভয়ও পায়। তার জনপ্রিয়তার কারণ, তিনি অত্র এলাকার উন্নয়নের জন্য যে সকল কাজ করেছেন, তা বিগত বছরগুলোতে কোনো চেয়ারম্যান করে যেতে পারেন নি। এ ছাড়া তিনি দিলদরিয়া মানুষ। লোকমুখে প্রচলিত আছে, জয়নাল মির্জার কাছে সাহায্যের হাত পেতে কেউ কোনো দিন ফিরে যায় নি। তা যে সাহায্যই হোক না কেন।
জয়নাল মির্জার বিভিন্ন রকম ফসলের খেত আছে। সেসব ফসল বিক্রি বাবদ তার ভালো রকম আয় হয়। স্ত্রী কোহিনুর বানু, একমাত্র কন্যা জেসমিন, দুই পুত্র জালাল ও জব্বার এবং দুই পুত্রবধূ আসমা ও মিনুকে নিয়ে তার সংসার।
আষাঢ় মাস, ১৯৭৪ সাল। আজ সন্ধ্যার পর জয়নাল মির্জার কাছারিঘরে আসর বসেছে। এ ধরনের আসর প্রায়ই বসে। এই আসরে কোনো দিন চলে কলের গান, কোনো দিন চলে রেডিও। আজ রেডিওতে ‘মধুমালা মদন কুমার’ নাটক সম্প্রচারিত হবে, তাই লোকজনের আনাগোনা বেশি। কাছারিঘরে সকলের জায়গা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে বসার পরও অনেক লোক সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সারা দিন ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় উঠানজুড়ে প্যাচপ্যাচে কাদা, না হলে উঠানেও লোকজনের বসার ব্যবস্থা করা হতো।
এ নাটক যে আগে কেউ শোনে নি, ব্যাপারখানা তা নয়। রেডিওতে একই নাটক বারবার সম্প্রচারিত হয়। একাধিকবার শোনার পরও নাটক শোনার ব্যাপারে গ্রামবাসীর আগ্রহের শেষ নেই। এ ছাড়া যেদিন ভানুর কৌতুক শোনায়, সেদিনও বেশ ভিড় হয়।
লম্বা কাছারিঘরের এক দিকে একটা চৌকি পাতা। কোনো বহিরাগত অতিথি এলে এখানেই ঠাঁই হয়। ঘরের অন্য দিকে দুই পাশে লম্বা লম্বা দুটো বেঞ্চ পাতা। গ্রামের গণ্যমান্য লোকেরা এই বেঞ্চে বসেন। আর নিচু জাতের লোকেদের জায়গা হয় মাটিতে পাটির ওপরে, যাকে স্থানীয় ভাষায় হোগলা বলা হয়। চেয়ারম্যান সাহেবের বসার জন্য একখানা গদির ব্যবস্থা আছে বৈকি। তিনি সেখানেই বসেন। কাছারিঘরে মহিলাদের আসা সম্পূর্ণ নিষেধ। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেবের ষোড়শী কন্যা জেসমিনের নাটক শোনার খুব শখ। তার খুব জানতে ইচ্ছা হয় নাটকে কী হয়। কেন এত মানুষ ছুটে আসে এই নাটক শুনতে? বছরখানেক ধরে সে তার বাপ-ভাইদের কাছে নাটক শোনার জন্য বায়না করে আসছে। অবশেষে এত দিনের বায়নার পর চেয়ারম্যান সাহেব কাছারিঘরের পেছন দিকে একটা খোলা বারান্দা দিয়েছেন, যাতে জেসমিনসহ অন্য মহিলারাও নাটক শুনতে পারেন।
নাটক শেষে ধীরে ধীরে কাছারিঘর খালি হতে লাগল। জয়নাল মির্জা যখন উঠে যাচ্ছিলেন, তখন তার ছোট পুত্র জব্বার মির্জা তাকে ইশারা করল বসার জন্য। সম্ভবত তার কিছু বলার আছে। তিনি বসলেন। ঘর খালি হলে জব্বার বড় ভাই জালালকে নিয়ে বাবার পাশে এসে বসল।
জয়নাল মির্জা বললেন, ‘বিষয় কী?’
জব্বার বলল, ‘আব্বা, হারুন ব্যাপারীর বিষয়।’
জয়নাল মির্জা বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘এখন এই সব বলার সময় না। মোর ঘুমের সময় অইছে। এই সব কইয়া মেজাজ খারাপ করবা না, জব্বার।’ জয়নাল মির্জা ছেলেদের আর কথা বাড়ানোর সুযোগ দিলেন না। তিনি খাবার ঘরের দিকে গেলেন। অন্যান্য দিন এতক্ষণে রাতের খাবার খেয়ে এক ঘুম হয়েও যায়। আজ নাটক শুনতে শুনতে দেরি হয়ে গেছে।
যেদিন সমুদ্র আমায় ইশারা করেছিল, রৌদ্রময় দিনের স্তব্ধতায় এটুকু লিখে রঞ্জ পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে ফেলে দিল। কী লিখছে সে এসব? কিসের ইশারা! সমুদ্র কীভাবে ইশারা করবে, ধুর! পৃষ্ঠা ছিঁড়তে ছিঁড়তে ডায়েরির অর্ধেক খালি হয়ে গেছে। ডায়েরির এমন বেহাল দশা দেখে আপাতত কবিতা লেখা বাদ দিল সে। বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও ছোটবেলা থেকেই তার বেশ সাহিত্যপ্রেম রয়েছে। মাঝে মাঝে কবিতা লেখে। কবিতা লিখলে তার বেশ একটা সুখ সুখ অনুভূতি হয়। কিন্তু ইদানীং শত চেষ্টা করেও ভালো কিছু লিখতে পারছে না। যা লিখছে, সেটা তার নিজেরই পছন্দ হচ্ছে না।
কাঠের দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় তার শোবার ঘর। সেই ঘরের সামনে খোলা বারান্দা। বারান্দার এক পাশে সে এখন পা ছড়িয়ে বসে আছে। দৃষ্টির সীমানায় এই সূর্যমণি গ্রাম, এই বাড়ি, বাড়ির উঠোন, উঠোন পেরিয়ে পুকুর। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সরু খাল। খালের পাশে পানের বর। বাড়িতে ঢোকার পথে সারি সারি সুপারিগাছ। পেছনে মেহগনিবাগান। রান্নাঘরের পাশে ঝিঙে-কাঁকরোলের মাচায় ফুল ধরেছে। বৃষ্টিতে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ বাতাস বয়ে নিয়ে আসছে এই বারান্দাতে। এই সবকিছুই তার নিজের। কিন্তু এসব কিছুই তার ভালো লাগে না। তার মন পড়ে রয়েছে নিজ হলের ২১৩ নম্বর ঘরে, রেসকোর্স ময়দানে, শহীদ মিনারে, মধুর ক্যানটিনে এবং পাবলিক লাইব্রেরির বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে।
রঞ্জ সূর্যমণি এসেছে বেশি দিন হয় নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে পড়ে সে। হাজি মোহাম্মদ মহসিন হলে থাকে। কিছুদিন আগে তার হলেই আকস্মিকভাবে সাত ছাত্র খুন হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন বাবার আদেশমতো গ্রামে চলে আসে। পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো কিছুতে সে নিজেও জড়াতে চায় না। তার কয়েক দিন পরই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। কবে সব স্বাভাবিক হবে, কবে সে ফিরে যাবে তার প্রিয় শহরে, সেই অপেক্ষায় প্রতিটি প্রহর গুনছে।..[পুরো বই পড়ুন]
মৌরি মরিয়ম এর বই
- তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো ৷
- অভিমানিনী ৷
- ফানুস ৷
- সুখী বিবাহিত ব্যাচেলর ৷
- হাওয়াই মিঠাই ৷
- মহাযাত্রা ৷
- অলিন্দ অনলে ৷
- দুয়ারে দ্বিধার দেয়াল ৷
- শিকদার সাহেবের দিনলিপি ৷
- দেয়াল ভাঙার গান ৷
- প্রেমাতাল ৷
- লগ্নজিতা ৷
নাইয়রি PDF Download | Nayoree book pdf
প্রিয় ভিউয়ার, আপনারা অনেকে নাইয়রি মৌরি মরিয়ম এর বই PDF অনলাইনে খুঁজে থাকেন ৷ বইটি নতুন প্রকাশিত হয়েছে বিধায় এখনও বইটির পিডিএফ অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যায় নি ৷ বইটির পিডিএফ পাওয়াগেলে শিঘ্রই এখানে লিংক দেওয়া হবে ৷ ততোক্ষনে অপেক্ষা না করে, আপনার যদি মনে হয় বইটি পড়া খুব প্রয়োজন, তাহলে নিচের BUY NOW বাটনে ক্লিক করে বইটির হার্ডকপি অর্ডার করুন ৷
Last updated: