তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে PDF | Tomar Jonno Dariye Chilam Bole PDF

5/5 - (1 vote)

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে PDF: লেখক সাদাত হোসাইন এর বই “তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলেঅন্যধারা কর্তৃক প্রকাশিত ৷ বইটি নতুন, প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালে ৷ পাঠক প্রিয় বইটির হার্ডকপি নিতে চাইলে নিচে BUY NOW লিংকে ক্লিক করে অর্ডার করতে পারেন ৷ আপনারা অনেকেই সাদাত হোসাইন এর বই তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে পিডিএফ অনলাইনে খুজে থাকেন, তাদের জন্য আজকের পোষ্ট ৷

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে PDF | Tomar Jonno Dariye Chilam Bole PDF

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে বই বিবরণঃ

বইঃতোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে ৷
লেখকঃসাদাত হোসাইন ৷
প্রকাশনীঃঅন্যধারা ৷
প্রকাশঃ২০২৪
ক্যাটাগরিঃথ্রিলার বই
পেইজ সংখ্যাঃ২৪৮ টি ৷

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে বইয়ের ভূমিকা অংশঃ

লিখতে চেয়েছিলাম খাঁটি প্রেমের গল্প। কিন্তু খাঁটি সোনায় যেমন ভালো গহনা হয় না, তাতে খানিক খাদ থাকতে হয়, তেমনি খাঁটি প্রেমের গল্পেও খানিক অপ্রেম না থাকলে তা ঠিক খাঁটি প্রেমের গল্প হয়ে ওঠে না। ফলে এই গল্পেও সেই খাদ হিসেবে একে একে এসে আবির্ভূত হলো নানা অপ্রেম। তাতে প্রকট হয়ে উঠল রহস্য, রোমাঞ্চ, অন্তর্ঘাত, থ্রিল।

সঙ্গে হঠাৎ বজ্রাহত হয়ে থাকার মতো অভাবনীয় সব আবিষ্কারও। লেখা শেষে মনে হলো এই সব খাদের কারণে গয়না মজবুত হয়েছে। কিন্তু সুন্দর হয়েছে কি না সেই বিচার পাঠকের।

প্রিয় পাঠক, ‘তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে’ এক রহস্যময় প্রেমের গল্প। সেই গল্পের ভুবনে প্রেম ও রহস্যপ্রিয় পাঠকদের স্বাগত।

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে বই থেকে কিছু অংশ

রায়হান যখন বাড়িটাতে ঢুকল তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। জায়গাটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। ইট-বিছানো অপ্রশস্ত রাস্তা। সে ফোনের টর্চ জ্বালাতেই জলিল মিয়া বলল, ‘কারেন কিন্তু থাহে না। নেটওয়ার্কেরও সমিস্যা। এইখানে এইটাই বিপদ।’

রায়হান জবাব দিল না। সাবধানে হাঁটতে লাগল। খানিক আগে কিছুর সঙ্গে হোঁচট খেয়েছে সে। নখ উঠেছে কি না, কে জানে! ব্যথায় আড়ষ্ট হয়ে আছে পা। এমন ঝোপঝাড়ওয়ালা পথে সাপখোপেরও অভাব থাকার কথা না। জলিল মিয়া বলল, ‘আগে হ্যাজাক লাইটের ব্যবস্থা আছিল। এহন যুগ পাল্টাইছে। চার্জার লাইট, ফ্যান আছে। কারেন যতক্ষণ থাহে, ততক্ষণই চার্জ দিতে হয়। তয় হাওয়া-বাতাসের প্রবলেম নাই। আপনের ঘর দক্ষিণমুখী। ওই দিকে নয়নতারা নদী। দরজা-জানালা খুললেই হুহু করা হাওয়া।’

নদীর নাম শুনে রায়হানের মন ভালো হয়ে গেল। নয়নতারা-কী সুন্দর নাম! বাংলাদেশের নদীগুলোর নাম কে রেখেছে কে জানে! এমন সুন্দর নদীর নাম পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সে একবার বরগুনা গিয়েছিল, সেখানে এক নদীর নাম আন্ধারমানিক। সাতক্ষীরায় আছে মালঞ্চ নদী। বরিশালের পিরোজপুরের এক নদীর নাম সন্ধ্যা। পঞ্চগড়ে আছে ডাহুক নদী। এত সুন্দর নাম কী করে হয়!

ডাহুক রায়হানের খুব প্রিয় পাখি। যদিও এই পাখি এখন বিলুপ্ত প্রায়। কিন্তু তার স্পষ্ট মনে আছে, ছোটোবেলায় তার বাংলা শিক্ষক মোজাম্মেল স্যার একবার ক্লাসভর্তি ছেলেমেয়ের সামনে তাকে বলেছিলেন, তপুর চোখ যেন ডাহুক পাখির চোখ।

রায়হানের ডাক নাম তপু। সেই থেকে ডাহুক পাখির প্রতি তার প্রবল মায়া তৈরি হয়েছে। সে লক্ষ করে দেখেছে, ভরদুপুরে তেঁতুলগাছের নিচে থাকা পুকুরে গাছের ছায়া পড়লে যেমন শান্তি শান্তি লাগে, ডাহুক পাখির চোখ তেমন শান্তি-শীতল। অমন মায়া আর কোথাও নেই। পৃথিবী অবশ্য দিনদিন মায়াহীন হয়ে উঠেছে। এ কারণেই কি না কে জানে, ডাহুক পাখিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

এই বাড়ির নামটা অদ্ভুত। ঘুম-দুপুর। এমন নামও এর আগে কখনো শোনেনি রায়হান। পুরনো আমলের আড়াইতলা বাড়ি। আড়াইতলা হওয়ার কারণ, ছাদের ওপর দু খানা ঘর। বাকি অংশ ফাঁকা। সেখানে নিকানো উঠানের মতো ঝকঝকে ছাদ। ছাদের রেলিং দেখে অবশ্য অতটা পুরনো মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ছাদ করার অনেক বছর পর এই রেলিং দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাঁড়ালেই মনে হয়, যেকোনো সময় লাফিয়ে নদীতে পড়া যাবে। ছলাৎ শব্দে চারদিকে ছলকে উঠবে জল।..[পুরো বইটি পড়ুন]

তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে PDF | Tomar Jonno Dariye Chilam Bole PDF

প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, আপনারা অনেকেই সাদাত হোসাইনের এবারের নতুন বই(২০২৪) তোমার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বলে বই PDF অনলাইনে খুজে থাকেন ৷ বইটির পিডিএফ অনলাইনে খুজে পাওয়া যায়নি ৷ আমাদের সাথেই থাকুন, পাওয়া গেলে শিঘ্রই এখানে দেওয়া হবে ৷ ততোক্ষন অপেক্ষা না করে নিচ থেকে বইটির হার্ডকপি সংগ্রহ করে পড়ুন ৷

       

Last updated: