বাজিগর PDF | Bajighor By Mahobub Nahid Book PDF

5/5 - (1 vote)

বাজিগর PDF: বইঃ বাজিগর, লেখকঃ মাহবুব নাহিদ, প্রকাশনীঃ দাঁড়িকমা ৷ প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, বাজিগর বইটির হার্ডকপি পেতে নিচের BUY NOW বাটনে ক্লিক করে এখনি অর্ডার করে নিতে পারেন ৷ আপনারা অনেকেই অনলাইনে বাজিগর বই PDF খুঁজে থাকেন ৷ বইটির পিডিএফ এবং বই সম্পর্কে অন্যান্য তথ্যের জন্য পুরো পোষ্টটি পড়ুন ৷

বাজিগর PDF | Bajighor By Mahobub Nahid Book PDF

বাজিগর বই বিবরণঃ

বইঃবাজিগর ৷
লেখকঃমাহবুব নাহিদ ৷
প্রকাশনীঃদাঁড়িকমা ৷
ক্যাটাগরিঃসমকালীন উপন্যাস ৷
পেইজ সংখ্যাঃ১৪৪টি ৷
প্রকাশঃ২০২৪ ৷

বাজিগর—মাহবুব নাহিদ(একটু পড়ুন)

হারিয়ে যাওয়া উর্বশীর শহর

খুব সকালে সূর্যের আলোটা যখন এই শহরের পিচ ঢালা রাস্তায় পড়ে চিকচিক করতে থাকে তখন শহরটাকে মনে হয় উর্বশীদের চারণভূমি।

এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সূর্যের তেজ। মানুষ সকালের নাশতাটুকু মুখে দিয়ে নেমে পড়ে জীবনযুদ্ধে। সকালের রোদে চিকচিক করতে থাকা পিচ ঢালা রাস্তাটা কেমন যেন বদলে যেতে থাকে ব্যস্ত মানুষের সীমাহীন পদচারণায়। তখন হয়তো শহর থেকে সেই অদৃশ্য উর্বশীরা আবার পাড়ি জমিয়ে ফেলেছে তাদের আকাশ ঠিকানায়। তারা আবার হয়তো আকাশে বসে ক্ষণ গুণতে থাকে পরের দিনের সূর্যটার জন্য। কিন্তু এ শহরের মানুষের তেমন কিছু আসে যায় না তাতে। সকালের স্নিগ্ধ আলোর মিষ্টি উচ্চারণটুকু দিন গড়াতেই হারিয়ে যেতে থাকে লাখো মানুষের ব্যস্ততায়।

রাজধানী শহর ঢাকা থেকে এই শহরের দূরত্ব ঘণ্টা তিনেকের। একবার ঢাকার পথে পা বাড়ালে দেখতে দেখতে সময়টুকু কেটে যায়। কিন্তু ঘোর কাটেনা শহরের মানুষগুলোর। ঘোর লাগা শহরে তাদের দিনগুলো কাটতে থাকে নিরানন্দ-নিরামিষে। এই শহরের উপাখ্যানগুলো এতটাই নিরানন্দ- নিরামিষ যে আপনি শহরের রাজপথে কারও দ্বারা ছুরিকাহত হয়ে কাতরাতে থাকলেও কেউ আপনার দিকে চোখ তুলে চাইবেনা। কারণ গৎবাঁধা জীবনে এ পৃথিবীতে কেউই নিজের গায়ে উটকো ঝামেলা টেনে নিতে চায় না।

তাই চুরি-ছিনতাই হোক কিংবা খুন-ডাকাতি, কোন কিছুতেই কেউ কখনও মাথা ঘামায় না। অবশ্য মানুষের এই নির্লিপ্ততাটুকু মাঝে মাঝে শহরে টেনে আনে সীমাহীন অরাজকতা আর ত্রাসের রাজত্ব। কারণ এই শহরে অরাজকতার আখ্যান যারা লেখে তারা খুব ভাল করেই জানে, তাদের ত্রাস-ব্যবসার মূল পুঁজি হল মানুষের ভয়। যতদিন মানুষের মনের ভেতর এই ভয় আছে ততদিন তাদের ব্যবসা লালে লাল। যখন মানুষের ভেতর থেকে ভয় হারিয়ে যাবে সেদিন থেকে তাদের ব্যবসাও লাটে উঠবে।

কিন্তু বহু বছরে এই শহরে এসব ত্রাস-ব্যবসায়ীদের ব্যবসা লাটে ওঠার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে বলেও মনে হয় না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ত্রাস-ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার জাল ছড়িয়েছে শহরের আনাচে-কানাচে। এ শহরের ছোট ছেলেটা যার মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই, সেও সারাটাদিন মত্ত থাকে মাদকের নেশায়। সূর্য খানিক পশ্চিমে হেললেই তারা রাস্তা ঘাটে নেমে পড়ে শয়তানের শিষ্যদের মতন। কেউ আবার সূর্য ডোবার অপেক্ষাতেও থাকে না। দিনের আলোতেই তারা ভয়ানক রক্তের নেশায় মাতে।

কি এক আজব শহর! যখন মানুষের রক্তে শহরটা লাল হয়ে ওঠে তখন শহরের মেয়র, এমপিরা রাস্তায় নামে মহাধুমধাম করে। টিভি সাংবাদিকরা ছুটে আসে তাদের ভিডিও ক্যামেরাগুলো নিয়ে। পত্রিকার সাংবাদিক দামী ক্যামেরায় ক্লিক ক্লিক শব্দে তুলতে থাকে একের পর এক ছবি। মেয়র-এমপি মিলে শহর থেকে সন্ত্রাস নামের জঞ্জাল উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণা দেওয়ার সময় তাদের কর্মীসারি, এমনকি তাদের পেছনে বীরদর্পে দাঁড়িয়ে থাকে শহরের চিহ্নিত সব সন্ত্রাসীরা। মাঝে মাঝে এসব নিয়ে জলঘোলা হয় না এমনটাও নয়।

কিছু কিছু সাংবাদিক সেসব ‘ওপেন সিক্রেট’ আবার ফাঁস করে দেন ফলাও করে। তখন শহরের মেয়র, এমপিরা খানিক বিরত হন। তারা সাংবাদিকদের ডেকে এনে আবার ক্যামেরার সামনে এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের খানিকটা বকাবকি করেন কিংবা সবার সামনে ফোন করে টুকটাক হুমকিধামকি দেন। মাঝে মাঝে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয় সেসব সন্ত্রাসীকে। শহরের নিরানন্দ-নিরামিষ মানুষগুলো গৎবাঁধা জীবনে খানিক বিনোদনের খোঁড়াক পায়। কিন্তু পৃথিবীর যত বড় বিনোদনই হোক, তা সাময়িক।

এই বিনোদনের সময়টা যখন পেরিয়ে যায় তখন বেরিয়ে যাওয়া সন্ত্রাসীর দল আবার খুঁজে নেয় তাদের মাথার ওপরের ছাতাটিকে। ব্যাপারটা যে গোপনে হয় তা না। জনগণের চোখের সামনে, সাংবাদিকদের ক্যামেরার ফ্ল্যাশগুলোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সব কিছু ঘটে চলে দিনের আলোকে সাক্ষী রেখে। কেন যেন তখন প্রতিবাদী সাংবাদিকটাও ভাঁজা মাছটি উল্টে খেতে ভুলে যায়। নেতার দলের লোকেরা এসব সাংবাদিককে মাঝে মাঝে দুষ্টুমি করে ডাকে ‘ভেজা বিড়াল’ বলে।

এভাবেই চলে যায় শহরের দিনকাল। তবে নানা রঙ্গমঞ্চের সদরদপ্তর হলেও পরম করুণাময়ের কিছু কৃপা শহরটাকে ঘিরে রেখেছে মমতা দিয়ে। শহরের শেষ সীমা থেকে শুরু হয়েছে নদীর স্রোত। শহরের নিঃশ্বাস নেবার বাতাসটুকুতে বিষ মিশলেও এখনও এই নদীর পানিতে খুব একটা বিষের ছোঁয়া লাগেনি। এখনও শহরের মানুষগুলো খানিকটা ক্লান্ত হলে পরিবারকে

নিয়ে নদীর পাড় থেকে খানিকটা সময় কাটিয়ে আসে। প্রেমে পড়া তরুণী এখনও প্রেমিকের কাঁধে মাথা রেখে নির্ভরতার নিশ্বাস ফেলে নদীর বয়ে যাওয়া জলে দৃষ্টি রাখতে চায়। তবে মধুর মাঝে একেবারেই যে বিষক্রিয়া হয় না ব্যাপারটা এমনও না। মাঝে মাঝে দুয়েকটা ছিনতাইয়ের কথা শোনা যায়। কয়েক বছর আগে ছিনতাইকারীদের হাতে দুইজনের প্রাণ হারাবার রেকর্ডও রয়েছে এই নদীর পাড়ে।..[বাকি অংশ বই থেকে পড়ুন]

আরও পড়ুনঃ ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে PDF(মাহবুব নাহিদ)

বাজিগর PDF Download | Bajighor By Mahobub Nahid Book PDF

প্রিয় ভিউয়ার, আপনারা অনেকেই বাজিগর বই PDF(Bajighor By Mahobub Nahid Book PDF) অনলাইনে খুঁজে থাকেন ৷ বইটির পিডিএফ অনলাইনে কোথাও খুজে পাওয়া যায় নি ৷ পাওয়া গেলে শিঘ্রই এখানে লিংক দেওয়া হবে ৷ পাঠক বন্ধুরা, আপনি যদি বইটি(হার্ডকপি) পড়তে খুব আগ্রহী হয়ে থাকেন, নিচের BUY NOW বাটনে ক্লিক করে এখনি অর্ডার করে নিন ৷

       

Last updated: