“চিত্ত চিরে চৈত্রমাস” বইটির লেখক মম সাহা ৷ বইটি প্রকাশিত হয়েছে নবকথন প্রকাশনী দ্বারা ৷ বইটি পড়তে পারেন ৷ অনেকে বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ খুজে থাকেন ৷ (Chitto Chire Chatramas Book)

বই বিবরণ
- বইয়ের নামঃ চিত্ত চিরে চৈত্রমাস ৷
- লেখকঃ মম সাহা (বিষাদিনী) ৷
- প্রকাশনীঃ নবকথন প্রকাশনী ৷
- দামঃ ৩৬৪ টাকা(হার্ডকপি রকমারিতে)
- পেইজ সংখ্যাঃ ২৩২ পেইজ ৷
- ক্যাটাগরিঃ সমকালীন উপন্যাস বই ৷
চিত্ত চিরে চৈত্রমাস বইয়ের ভূমিকা
লোকে বলে বেকারকে নাকি কেউ ভালোবাসে না। অথচ আমি চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখলাম এমন কত মেয়ে আছে যারা পাগল হয়ে যায় বেকারকে ভালোবেসে। এক জীবন উৎসর্গ করে দেয় সেই ভালোবাসায়। এই মেয়েদের এমন উৎসর্গের কথা কেন লোকে বলে না?
এই ভাবনা থেকেই আমার লেখা শুরু। তার ওপর হুমায়ূন আহমেদের কোথাও কেউ নেই পড়ে বাকের ভাইয়ের প্রতি কী এক অগাধ মায়া হয়েছিল! সেসব থেকেই ভাবলাম আমার গল্পে লোকের বলা কথাকে মিথ্যে প্রমাণ করব। আমি দেখাব বেকারকে ভালোবেসে সে একটি একটি অষ্টাদশী অবধি এক জীবন দিয়ে দিতে চায়।
“চিত্ত চিরে চৈত্রমাস”-গল্পে পাঠক বাহার ভাইকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন তা ঠিক। তবে, মূলত আমি দেখাতে চেয়েছিলাম চিত্রার পাগলামো করা প্রেমকে। কী সেই প্রেমের গভীরতা!
তবে হ্যাঁ, আমার পাঠক আমার এই কাঁচা হাতের ইচ্ছেকে ভীষণ ভালোবেসে ছিল তাই বইটি এসেছে কেবল তাদের ভালোবাসার সম্মান রক্ষার্থে।
আশাকরি লোকে বুঝবে, বেকার বাহারদের ভালোবেসে কেউ কেউ বোকা রঙ্গনা হয়ে থেকে যায়।
আরও পড়ুনঃ- অপেক্ষা হুমায়ূন আহমেদ বই(পিডিএফ এবং হার্ডকপি)
চিত্ত চিরে চৈত্রমাস PDF মম সাহা বই | Chitto Chire Chatramas Book
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]Join Telegram Channels

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

"ঘরে বসে আয় করুণ"
চিত্ত চিরে চৈত্রমাস বই থেকে একটু পড়ুন
গোসল করে লাল টকটকে একটা থ্রি-পিস পরল চিত্রা। অতঃপর চেরির হাত ধরে বাড়ির বাগানের দিকে এগিয়ে গেল। মূলত অনুষ্ঠানটা সেখানেই।
বিরাট আয়োজন করা হয়েছে চাঁদনির জন্য। কত রকমের খাবারের যে আয়োজন করা হয়েছে তা হিসেব করেও শেষ করা যাবে না যেন! চিত্রা ছুটে এসেই ধপ করে তার আপুর পাশ ঘেঁষে বসে পড়ল। চিত্রাকে দেখে ভারী পেটের গোলগাল, ফরসা ধবধবে চাঁদনি মুচকি হাসল। বাম গালটা টেনে দিয়ে বলল, “কই ছিলি, চিতাবাঘ? এতক্ষণ লাগিয়ে কী পরীক্ষা দিয়েছিস, শুনি? পরীক্ষাকে এত সিরিয়াসলি নেওয়ার মেয়ে তো তুই না? কী ব্যাপার, শুনি?”
বড়ো আপার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ বাঁকাল চিত্রা। বেশ ভাব নিয়েই বলল, “তোমাদের মতন জজ-ব্যারিস্টার হওয়ার মতন ছাত্রী হয়তো না, তাই বলে পাশ মার্কটা তুলব না? বাবাকে তো চেনো। ফেল করার অপরাধে না আবার জেলে দিয়ে দেয়! নিজের ক্ষমতার যে দাপট দেখায় সে!”
কথাটা বলেই হাসল চিত্রা। মেয়েটা তার বাবাকে বেশ ভয় পায়। একমাত্র নিজের বাবাকে ছাড়া পুরো পৃথিবীকে উত্ত্যক্ত করার ক্ষমতা তার আছে। বাবার সাথে তার যে শীতল একটা যুদ্ধ প্রতিনিয়ত হয় তা সবারই জানা আছে। তবুও নিজের বাবাকে তো আর এমন কথা বলা শোভা পায় না। সেজন্যই চাঁদনি চোখ রাঙাল, ছোটো ধমক দিয়ে বলল, “এমন বলে না, চিতাবাঘ। তুই না ভদ্র মেয়ে!” র
“হ্যাঁ, আমি কি তা অস্বীকার করেছি? ভদ্র বলেই তো পিছে পিছে বলছি। অভদ্র হলে তো মুখের সামনে বলতাম।”
কথাটা বলেই ফিচেল হাসল চিত্রা। চাঁদনি চেয়েও রাগী রাগী মুখ করে রাখতে পারল না। চিত্রাটা এমনই, যেখানে থাকবে সেখানেই হাসির মেলা বসবে।
চাঁদনি আর চিত্রার কথার মাঝে চোখের গোল চশমাটা ঠেলতে ঠেলতে হরেক পদের ভাজার থালা নিয়ে উপস্থিত হলো অহি। ঘাড় অবধি চুলগুলো গরমে বেশ বিরক্ত করছে তাকে। অহির মুখমণ্ডলে একটা নিষ্পাপ নিষ্পাপ ভাব থাকে সবসময়। আর মেয়েটা বেশ গম্ভীরও। বড়ো পিতলের থালাটার মাঝে সাত রকমের ভাজাভুজি। ভারী থালাটা চাঁদনির সামনে রেখে ক্ষান্ত হলো সে। সব খাবার আপাতত চলে এসেছে। থালাটা রেখেই ওড়না দিয়ে নিজের মুখটা মুছে নিল অহি। চেরিকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে ধীর স্বরে বলল, “তোমার খিদে লেগেছে, চেরি? আপা কি তোমাকে খাবার খাইয়ে দিব?”