Class 4 Math Book PDF Download from PDFporo.com
আরও ডাউনলোড করুণ—চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা বই পিডিএফ | ৪র্থ শ্রেণীর ইংলিশ বই পিডিএফ | চতুর্থ শ্রেণীর গণিত বই পিডিএফ এবং অন্যান্য সকল বই পিডিএফ
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, নতুন বছরের নতুন শ্রেণীতে তোমাদের স্বাগতম ৷ তৃতীয় শ্রেণী শেষ করে তোমরা চতুর্থ শ্রেণীতে উঠেছো, সাথে সবার হাতে হাতে নতুন বই ৷ চতুর্থ শ্রেণীর বইগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বই প্রাথমিক গণিত বই ৷ তোমরা অনেকেই নতুন বই হাতে পেয়ে এতোক্ষনে অংক করা শুরু করে দিয়েছো ৷ তোমাদের ছাড়াও অনেকে আছেন, যারা ৪র্থ শ্রেণীর গণিত বই পিডিএফ খুজে থাকেন ৷ তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে ৷ নতুন বছরের নতুন গণিত বই পিডিএফ আকারে নিচে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন ৷
৪র্থ শ্রেণীর গণিত বই | Class 4 Math Book
সূচিপত্র | Topic
চতুর্থ শ্রেণীর গণিত বই চৌদ্দটি অধ্যায় রয়েছে ৷ প্রথম অধ্যায়টি হলো বড় সংখ্যা ও স্থানীয় মান, দ্বিতীয় অধ্যিয়টি যোগ ও বিয়োগ, তৃতীয় অধ্যায় হলো গুণ, চতুর্থ অধ্যায় ভাগ এবং এভাবে সর্বশেষ অধ্যায় হলো ত্রিভুজ ৷ নিচে নতুন পাঠ্যবই প্রাথমিক গণিত এর পুরো সূচিপত্রটি দেখে নিতে পারেন ৷
নং | বিষয়বস্তু | পৃষ্ঠা |
---|---|---|
০১. | বড় সংখ্যা ও স্থানীয় মান | ২ |
০২. | যোগ ও বিয়োগ | ১৯ |
০৩. | গুণ | ৩৪ |
০৪. | ভাগ | ৪৪ |
০৫. | যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগসংক্রান্ত সমস্যা | ৫৮ |
০৬. | গাণিতিক প্রতীক | ৬৬ |
০৭. | গুণিতক ও পুণনীয়ক | ৭৩ |
০৮. | সাধারণ ভগ্নাংশ | ৮৭ |
০৯. | দশমিক ভগ্নাংশ | ১০৩ |
১০. | পরিমাপ | ১২১ |
১১. | সময় | ১৩৪ |
১২. | উপাত্ত সংগ্রহ এবং বিন্যস্তকরণ | ১৩৮ |
১৩. | রেখা ও কোণ | ১৪৩ |
১৪. | ত্রিভুজ | ১৫৫ |
Class 4 Math Book PDF [2024]
প্রিয়ো ভিউয়ার, যারা অনলাইনে ৪র্থ শ্রেণীর গণিত বই PDF আকারে খুজে থাকেন, তাদের জন্য Class 4 Math Book PDF নিয়ে আসলাম ৷ নিচে বইটির বাংলা এবং ইংলিশ ভার্সন ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলো, প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন ৷
[PDF-2024]প্রাথমিক গণিত—বাংলা ভার্সন || ইংলিশ ভার্সন
সময় থাকলে একটু পড়ে নাও, কাজে দেবে
জ্যামিতির ইতিহাস:
জ্যামিতি গণিতশাস্ত্রের একটি প্রাচীন শাখা। জ্যামিতি শব্দটি দুটি গ্রীক শব্দ ‘জ্যা’ ও ‘মিতি’ নিয়ে গঠিত। এখানে ‘জ্যা’ শব্দের অর্থ ভূমি আর ‘মিতি’ শব্দের অর্থ পরিমাপ। অতএব, জ্যামিতি শব্দের অর্থ ‘ভূমির পরিমাপ’। মূলত কৃষিভিত্তিক সভ্যতার যুগে ভূমি পরিমাপের সমস্যা সমাধানের জন্যই জ্যামিতির উদ্ভব হয়েছিল। তবে আজকাল জ্যামিতি শুধুমাত্র ভূমি পরিমাপের জন্যই ব্যবহৃত হয় না, বহু জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোতে জ্যামিতিচর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীন মিশরে আনুমানিক ৪,০০০ বছর পূর্ব থেকেই জমির পরিমাপে জ্যামিতির ধ্যানধারণা ব্যবহার করা হয়। তবে প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার যুগেই জ্যামিতির পদ্ধতিগত রূপটি লক্ষ করা যায়।
মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গ্রীক পণ্ডিত ইউক্লিড আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০ অব্দে জ্যামিতির বিক্ষিপ্ত সূত্রগুলোকে বিধিবদ্ধভাবে সুবিন্যস্ত করে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Elements’ রচনা করেন। এই গ্রন্থটিই হচ্ছে জ্যামিতিবিষয়ক সর্বপ্রথম গ্রন্থ। ইউক্লিড ছাড়াও গ্রীক পণ্ডিত থেলস এবং পীথাগোরাসও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জ্যামিতিশাস্ত্রের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন।
দুটি বিন্দুকে যে সরলরেখা দিয়ে যুক্ত করা যায়, এটি প্রথম ইউক্লিডই আবিষ্কার করেন। তাই তাঁকে জ্যামিতির জনক হিসেবেই ধরা হয়।
১। প্রশ্ন: জ্যামিতি (Geometry) কাকে বলে?
উত্তর: গণিত শাস্ত্রের যে শাখা পাঠ করলে ভূমি বা জমির পরিমাপ অর্থাৎ জমির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, কোণ, সীমানা, ক্ষেত্রফল ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়, তাকে জ্যামিতি বলে। অর্থাৎ, যা পাঠ করলে ভূমির পরিমাপ সম্পর্কে জানা যায় তাকে জ্যামিতি বলে।
২। প্রশ্ন: জ্যামিতি (Geometry) কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: জ্যামিতি দুই প্রকার। যথা- ১. ব্যবহারিক জ্যামিতি ও ২. তাত্ত্বিক জ্যামিতি। এছাড়াও রয়েছে সমতল জ্যামিতি।
৩। প্রশ্ন: ব্যবহারিক জ্যামিতি (Practical Geometry): কাকে বলে?
উত্তর: জ্যামিতির যে শাখায় রেখা, তল, কোণ, ক্ষেত্র ইত্যাদির অঙ্কনবিধি হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করা যায়, তাকে ব্যবহারিক জ্যামিতি বলে।
জ্যামিতি অঙ্কন যন্ত্রপাতির পরিচয়
জ্যামিতির চিত্রগুলো আঁকার জন্য কিছু যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। এ যন্ত্রগুলো যে বাক্সে থাকে, তাকে জ্যামিতি বক্স বলে। একটি জ্যামিতি বক্সে রুলার, ত্রিকোণী বা সেট স্কোয়ার, কাঁটা কম্পাস, পেন্সিল কম্পাস, চাঁদা এসব যন্ত্র চিত্র আঁকার জন্য খুবই জরুরি। নিচে এগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হলো:
১। প্রশ্ন: জ্যামিতি অঙ্কন বাক্স (Geometrical Drawing Box) কাকে বলে?
উত্তর : জ্যামিতি অঙ্কন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যে বক্সে থাকে, তাকে জ্যামিতি অঙ্কন বাক্স বলে।
২। প্রশ্ন : জ্যামিতি অঙ্কন বক্সে কী কী যন্ত্রপাতি থাকে?
উত্তর: (ক) ১টি রুলার, (খ) ২টি ত্রিকোণী বা সেট স্কোয়ার, (গ) ১টি চাঁদা, (ঘ) ১টি কাঁটা কম্পাস, (ঙ) ১টি পেন্সিল কম্পাস, (চ) ১টি পেন্সিল ও (ছ) ১টি রাবার।
৩। প্রশ্ন: বুলারের (Ruler) পরিচয় দাও।
উত্তর : জ্যামিতি অঙ্কন বক্সে যে রুলারটি থাকে তার দৈর্ঘ্য সাধারণত ৬ ইঞ্চি হয়। রুলারটির একপাশে ইঞ্চি এবং অন্য পাশে সেন্টিমিটারে দাগ কাটা থাকে। রুলারের দাগগুলো কিছু ছোট, কিছু বড় হয়।
৪। প্রশ্ন : কী কী কাজে রুলার ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: ইঞ্চিতে বা সেন্টিমিটারের রেখাংশের দৈর্ঘ্যের পরিমাপ করার কাজে রুলার ব্যবহার করা হয়।
৫। প্রশ্ন: ত্রিকোণীর (Set Square) পরিচয় দাও।
উত্তর : জ্যামিতি অঙ্কন বক্সে দুইটি ত্রিকোণী থাকে। উভয় ত্রিকোণীর একটি কোণ ৯০° থাকে। প্রথম ত্রিকোণীর অপর দুটি কোণ ৪৫° করে। দ্বিতীয় ত্রিকোণীর অপর দুটি কোণের মধ্যে একটি ৬০° এবং অন্যটি ৩০° থাকে। ত্রিকোণীর একপাশে ইঞ্চি এবং অপর পাশে সেন্টিমিটারে দাগ কাটা থাকে।
৬। প্রশ্ন: কী কী কাজে ত্রিকোণী (Set Square) ব্যবহার করা হয়।
উত্তর : সমান্তরাল রেখা ও লম্ব অঙ্কনের কাজে ত্রিকোণী ব্যবহার করা হয়।
৭। প্রশ্ন : কাঁটা কম্পাসের (Cut Compass) পরিচয় দাও।
উত্তর: কাঁটা কম্পাস দেখতে অনেকটা চিমটায় মতো। কাঁটা কম্পাসকে খাড়াভাবে স্থাপন করলে দেখা যায় যে, এর বাহু দুটির উপরের প্রান্ত স্কু দ্বারা এমনভাবে আটকানো থাকে যেন এদের দূরত্ব যেকোনো সময় ইচ্ছেমতো বাড়ানো বা কমানো যায়। কাঁটা কম্পাসের উভয় বাহুর দৈর্ঘ্য সমান।
৮। প্রশ্ন: কী কী কাজে কাঁটা কম্পাস (Cut Compass) ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: রেখাংশের দৈর্ঘ্যের পরিমাপ এবং কোনো রেখা থেকে প্রয়োজনীয় অংশ কেটে নেওয়ার কাজে কাঁটা কম্পাস ব্যবহার করা হয়।
৯। প্রশ্ন : পেন্সিল কম্পাসের (Pencil Compass) পরিচয় দাও।
উত্তর: কাঁটা কম্পাসের মতো পেন্সিল কম্পাসেরও দুটি বাহু থাকে। বাহু দুটির উপরের প্রান্ত স্কু দ্বারা এমনভাবে আটকানো থাকে যেন উভয় বাহুর দূরত্ব ইচ্ছেমতো বাড়ানো বা কমানো যায়। এর এক বাহুতে কাঁটা এবং অন্য বাহুতে পেন্সিল আটকানোর ব্যবস্থা থাকে।
১০। প্রশ্ন: কী কী কাজে পেন্সিল কম্পাস (Pencil Compass) ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: বৃত্ত, বৃত্তচাপ, অর্ধবৃত্ত ইত্যাদি অঙ্কন করার কাজে পেন্সিল কম্পাস ব্যবহার করা হয়।