ধূলিমলিন উপহার রামাদান PDF: বইঃ ধূলিমলিন উপহার : রামাদান, লেখকঃ শাইখ মূসা জিবরীল, প্রকাশনীঃ সীরাত পাবলিকেশন ৷ ধূলিমলিন উপহার রামাদান বই PDF আপনারা অনেকেই অনলাইনে খুঁজে থাকেন ৷ আজকে আপনারা শাইখ মূসা জিবরীল এর বই ধূলিমলিন উপহার রামাদান বইটির পিডিএফ পেয়ে যাবেন পুরো পোষ্টটি পড়ুন ৷
ধূলিমলিন উপহার রামাদান বই বিবরণঃ
- বইঃ ধূলিমলিন উপহার : রামাদান ৷
- লেখকঃ শাইখ মূসা জিবরীল ৷
- প্রকাশনীঃ সীরাত পাবলিকেশন ৷
- ক্যাটাগরিঃ রোযা/সিয়াম বিষয় বই ৷
- পেইজ সংখ্যাঃ ২২৪ টি ৷
সাহাবিরা রামাদানের চার মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিতেন, রামাদানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতেন। আমাদেরও প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রস্তুতি, রামাদানে কী করব আর কী করব না তার পরিকল্পনা তৈরি করা। শাইখ আহমাদ মূসা জিবরীলের “Gems Of Ramadan” সেই প্রস্তুতির এক অসাধারণ ম্যানুয়াল। সেই বিখ্যাত লেকচার সিরিজের অনুবাদ “ধূলিমলিন উপহার: রামাদান” বই।
নফসকে শিকলবদ্ধ করুন
রামাদান-আল্লাহর অশেষ নিয়ামতের মধ্যে অন্যতম বিশেষ নিয়ামত। আল্লাহর অনুগ্রহে আরেকটি রামাদান আমাদের দোরগোড়ায় এসে হাজির, আলহামদুলিল্লাহ। রামাদান এমন এক নিয়ামত, যার জন্য অনেক কবরবাসীই উদগ্রীব হয়ে আছে। অন্ধকার মাটির ঘরে শুয়ে তারা আফসোস করে যাচ্ছে-ইশ! যদি আরেকটি বারের জন্যেও তারা রামাদান পেত। সেই সাথে আমরা যারা রামাদান পেয়েছি, তাদের মধ্যেও অনেকেই রামাদানের সদ্ব্যবহার না করার জন্য পরে আফসোস করবে।
রামাদানের আগমন উপলক্ষে অভিনন্দন জানানোর কোনো সুনির্দিষ্ট দলিল না থাকলেও, খুশির খবর শুনলে পরস্পরকে অভিনন্দন জানানো যায়। যেমন- কা’ব বিন মালিক (৯) ও তাঁর দুই সঙ্গীর ঘটনা আমরা সবাই জানি। তাবুক যুদ্ধে অংশ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন বলে নবীজি (সাঃ) এর নির্দেশে তাঁদেরকে একঘরে করে রাখা হয়েছিল। এবং পরে আল্লাহ ওহী নাযিলের মাধ্যমে তাঁদেরকে ক্ষমার সুসংবাদ দেন। সূরাহ আত-তাওবায় আল্লাহ তাআলা বলেন,
“আর সে তিন জনের তাওবা কবুল করলেন।”
(সূরাহ তাওবা: আয়াত ১১৮)
এই আয়াত নাযিলের পর সাহাবিরা দলে দলে গিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান। ‘যাদুল মা’আদ’ গ্রন্থে এই ঘটনার ব্যাপারে ইবনুল কাইয়্যিম (৯) বলেন, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে-কোনো ঈমানী সুসংবাদ পেলে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে অভিনন্দন জানানো যায়। ইবনু মুফলিহ (৯) এই বিষয়ে ইমাম আহমাদ (এ)-এর অনেকগুলো মত উল্লেখ করেছেন। আর সবশেষে তিনি বলেন, সবচেয়ে বিখ্যাত মত হলো এই যে-ইমাম আহমাদ এটি জায়েয বলেছেন। আল্লাহ বলেন,
“তুমি বলে দাও, আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ার বদৌলতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা স্তূপীকৃত করছে (পার্থিব সম্পদ), তার চেয়ে তা উত্তম।”
(সূরাহ ইউনুস: আয়াত ৫৮)
তাই মহান রবের কাছে ফরিয়াদ এই যে, তিনি যেন রামাদানে বারাকাহ দান করেন এবং আমাদের আমলগুলো কবুল করে নেন। রামাদানের সদ্ব্যবহার এবং খালিসভাবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমল করার তাওফীক দিয়ে আল্লাহ যেন আমাদেরকে সম্মানিত করেন। সেই সাথে আল্লাহ যেন আমাদেরকে সেসব মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন, যারা এই রামাদানে নিজেদের গুনাহ মাফ করিয়ে জাহান্নাম থেকে নাজাতপ্রাপ্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে।
জীবনের প্রতিটা মুহূর্তই দামি, তার মাঝেও বেশি দামি রামাদানের এই মুহূর্তগুলো। তাই এই মাস হোক নিজেদের ইলমকে আমলে পরিণত করার মাস। আমলে পরিণত করার ব্যাপারটি এমন যে, যখন কুরআনের কোনো আয়াত উল্লেখ করা হয় তখন মনে করুন আল্লাহ আপনার সাথে কথা বলছেন, আর আল্লাহ যা বলছেন আপনি তা মেনে চলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
যখন কোনো হাদিস উল্লেখ করা হবে, মনে করবেন যেন প্রিয় নবীজি )ﷺ( নিজেই এই হাদিস বর্ণনা করছেন-আর আপনি মনোযোগ দিয়ে তা শুনছেন, হাদিস নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং হাদিসটি মেনে চলার জন্যও আপনি প্রস্তুত। যখন সালাফদের ঘটনা শুনবেন, মনে করুন যেন আপনি তাঁদের সময়ে ফিরে গেছেন। যেন আল্লাহর প্রিয় সেসব বান্দারা হৃদয় বিগলিত করে ওয়াজ নসিহত করছেন, আর আপনি সামনে বসে তাঁদের সেসব ইলমের অমিয় সুধা পান করছেন।
রামাদানে শুধু সেসব আল্লাহ্র বান্দারাই সফল, যারা এই একটি মাসের মেহনতের বিনিময়ে আল্লাহ রাব্বুল ইযযাতের কাছ থেকে ক্ষমার পুরস্কার লাভ করবে। আমাদের নবীজি )ﷺ( বান্দার এই সফলতাকে একজন দাসের মুক্তি পাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। এখন প্রশ্ন হলো-তারা কী থেকে মুক্তি পেল? এটা বোঝার জন্য একটু ফিকহ বুঝতে হবে। তালাক, বিয়ে এবং দাস মুক্ত করার ক্ষেত্রে কেউ বুঝে শুনে বলুক আর কৌতুক করে বলুক-সে যা বলেছে তা আর ফিরিয়ে নেয়ার উপায় নেই।
কেউ বুঝেশুনে বা ঠাট্টাচ্ছলে স্ত্রীকে তালাক দিলে বা দাসকে মুক্ত করলে তা কার্যকর হয়ে যায়, কথা আর ফিরিয়ে নেয়া যায় না। মানুষের তো অনেক সীমাবদ্ধতা আর ভুল-ত্রুটি আছে। তারপরও সামান্য এই মানুষের কথাই যদি ফিরিয়ে নেয়া না হয়, তাহলে সর্বশক্তিমান, মহাক্ষমাশীল, মহাদয়ালু, মহাসম্মানিত আল্লাহ রাববুল ইযযাত যদি আপনাকে একবার ক্ষমা করে দেন-আপনার কি ধারণা তিনি তাঁর কথা আবার ফিরিয়ে নেবেন? আপনাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন? প্রশ্নই উঠে না।
রামাদান এমন এক মাস, যখন সবদিক থেকে ক্ষমা আর সফলতা আপনাকে হাতছানি দিয়ে আহবান করে। আর এই মাসে আল্লাহর ক্ষমা না পাওয়ার অর্থ হলো আপনি ক্ষমা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেননি-এটা আপনার ব্যর্থতা। তাই রামাদানের শুরু থেকেই আসুন আমরা আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। আর রামাদানে আল্লাহ্র এই ক্ষমা পাওয়ার জন্য তিনটি মহামূল্যবান সুযোগ থাকছে।…[পুরো বইটি পড়ুন]
ধূলিমলিন উপহার রামাদান PDF Download | Dhulimolin Upohar Ramadan PDF
প্রিয় ভিউয়ার, ধূলিমলিন উপহার রামাদান শাইখ মূসা জিবরীল এর বই PDF(Dhulimolin Upohar Ramadan PDF) লিংক আপনারা অনলাইনে খুঁজে থাকেন ৷ বইটির পিডিএফ লিংক অনেকেই খুঁজে পান না ৷ তাই আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে অনলাইন থেকে বইটির পিডিএফ লিংক সংগ্রহ করে এখানে দেওয়া হয়েছে ৷ আর কারো বইটির হার্ডকপি প্রয়োজন হলে নিচের BUY NOW বাটন থেকে অর্ডার করে নিতে পারেন ৷
Last updated: