২০+ উমরাহ করার নিয়ম pdf download | Umrah Korar Niyom PDF

5/5 - (1 vote)

বাংলায় উমরাহ করার নিয়ম pdf বা Umrah Korar Niyom pdf বই অনলাইনে অনেকে খুজে থাকেন ৷ যারা হজ্জের পাশাপাশি উমরাহ করতে চান কিন্তু উমরাহ কখন করতে হয় এবং কিভাবে করে এসম্পর্ক আরও বিস্তারিত জানতে চান তাদের জন্য এই পোষ্টটি খুবুই গুরুত্বপূর্ণ ৷ এখানে বিখ্যাত লেখকদের হজ্জ ও উমরাহ সম্পর্কে বিখ্যাত বইগুলোর পিডিএফ পেতে আপনাকে সহায়তা করবে ৷ বইগুলোর পিডিএফ অনলাইন থেকে সংগ্রিহিত ৷

হজ্জ ও উমরার পরিচয়ঃ

হজ্জ(حج) এর অর্থ: ইচ্ছা পোষণ করা। পরিভাষায়- আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার আশায় বছরের একটি নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত স্থানে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশেষ ইবাদত সম্পন্ন করার নাম হজ্জ।

হজ্জ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। ইসলাম যে পাঁচটি খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে আছে, হজ্জ তার একটি। মহান আল্লাহর নিকট থেকে গোনাহ মাফ করিয়ে নিজেকে নিষ্পাপ শিশুর মতো মা’ছুম করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় এই হজ্জের মাধ্যমে।

উমরা(عمرة)এর অর্থ: বসতিপূর্ণ স্থানে যাওয়ার ইচ্ছা করা, যিয়ারত করা। পরিভাষায়- আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বছরের যে কোনো সময়ে নির্ধারিত নিয়মে মক্কায় গিয়ে আল্লাহর ঘর যিয়ারত করাকে উমরা বলে।

আবার এভাবেও বলা যায়- আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কা’বা ঘর তওয়াফ, ছাফা-মারওয়া সাঈ ও মাথা ন্যাড়া বা চুল ছোট করার মাধ্যমে বিশেষ ইবাদত করাকে উমরা বলে।

হজ্জ ও উমরার মাঝে পার্থক্যঃ

হজ্জ ও উমরা দুটোই ফযীলতপূর্ণ ইবাদত। দুটোই মক্কায় গিয়ে সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু দুটো ইবাদত এক নয়। বরং দুয়ের মাঝে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন:

  • ১. হজ্জ ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি। যা ফরয। কিন্তু উমরা কোনো রুকন নয়।
  • ২. হজ্জ নির্ধারিত সময়ে পালন করতে হয়। কিন্তু উমরা যে কোনো সময় পালন করা যায়।
  • ৩. তামাণ্ডু ও কিরান হজ্জ পালন করলে সাথে একটি উমরা আদায় হয়ে যায়, কিন্তু উমরা করলে হজ্জ পালন হয় না।
  • ৪. উমরার চেয়ে হজ্জের গুরুত্ব অনেক বেশি। এজন্য সামর্থ্য থাকার পরও হজ্জ না করলে ঈমান নিয়ে টিকে থাকা কঠিন।

উমরাহ করার নিয়ম pdf download | Umrah Korar Niyom PDF

উমরাহ করার নিয়ম pdf download | Umrah Korar Niyom PDF

০১. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উমরাহ করার নিয়ম- ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া PDF(Click to Download) —পেইজ সংখ্যা ১৪টি ৷

উমরাহ্ পরিচয়ঃ

আভিধানিক অর্থ: উমরাহ্ শব্দের আভিধানিক অর্থ নিয়ে মতভেদ রয়েছে:

  • ১- শব্দটি মু’তামির শব্দ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ যিয়ারতকারী।
  • ২- আল্লামা কিরমানী হানাফী তার মানসাক গ্রন্থে বলেন, উমরাহ্ শব্দটি ‘উমর’ থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ জীবন; কারণ সারা উমরে বা জীবনে সেটা করা যায়।
  • ৩- কেউ কেউ বলেন, শব্দটি ‘আমের’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। যার অর্থ আবাদী; আর সে হিসেবে উমরাকে এ নাম দেওয়া হয়েছে; কারণ এ কাজটি আবাদকৃত স্থানে সম্পন্ন করা হয়।
  • ৪- সুহাইলী বলেন, উমরাহ্ শব্দটি ‘ইমারাতুল মাসজিদুল হারাম’ কথা থেকে এসেছে।

পরিভাষিক সংজ্ঞা: শরী’আতের পরিভাষায় উমরাহ্ হচ্ছে,

নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে ইহরাম-সহ আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ’র তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝখানে সা’ঈ করা। অতঃপর চুল ছোট করার মাধ্যমে ইহরাম থেকে হালাল হওয়া।’

আব্দুল্লাহ ইবন শাদ্দাদ রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু ও মুজাহিদ রাহিমাহুল্লাহ্ থেকে এসেছে, তারা উমরাকে ছোট হজ বলতেন।

০২. উমরাহ নির্দেশিকা – আব্দুল হামীদ আল ফাইযী PDF(Click to Download) —পেইজ সংখ্যা ৮১টি ৷

মহান আল্লাহর অসংখ্য অনুগ্রহের মধ্যে একটি অনুগ্রহ এই যে, তিনি আমাদের জন্য ‘উমরাহ’ আদায় বিধিবদ্ধ করেছেন। যা যে কোন সময়ে আদায় ক’রে গোনাহ থেকে পবিত্র হওয়া যায়। মহান প্রতিপালকের প্রাচীন গৃহের নিকট ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (হে আল্লাহ! আমি হাজির) বলে বান্দা উপস্থিত হয়। তার প্রত্যুত্তরে তিনি তাঁর রসূল-এর মুখে বলেন, “এক উমরাহ অপর উমরাহ পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত পাপরাশির কাফফারাহ।” (বুখারী ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯ নং)

অবশ্য শর্ত হল, তা তাঁর নিকট গৃহীত হতে হবে। আর প্রত্যেক ইবাদত কবুল হওয়ার মৌলিক শর্ত হল দু’টি;

১। ঈমান ও ইখলাসের সাথে তা কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হতে হবে। অর্থাৎ, কোন স্বার্থ ও সুনাম লাভের উদ্দেশ্য হলে হবে না।

২। তা নবী মুহাম্মাদ-এর নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী হতে হবে। অন্য কারো অথবা নিজস্ব মনগড়া পদ্ধতিতে হলে হবে না।

প্রথম শর্তটি পালন সহজ হলেও দ্বিতীয় শর্তটি পালন করতে শিক্ষার দরকার আছে। এই মহান ইবাদত পালনের পদ্ধতি তথা তার জন্য সফর ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের নানা আদব নিয়ে লিখিত এই পুস্তিকা প্রত্যেক মুসলিমের কাজে দেবে, যিনি উমরাহ আদায় করতে এবং তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য করতে চান।

০৩. উমরায় করণীয় কাজসমূহ – মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন PDF(Click to Download) —পেইজ সংখ্যা ৩৪টি ৷

০৪. উমরাহ কীভাবে করবেন—শায়খ আহমাদুল্লাহ PDF(Click to Download)

যারা উমরাহ সম্পর্কে এবং কিভাবে উমরাহ করবেন তা জানতে চান তাহলে শায়খ আহমাদুল্লাহ এর লেখা এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত এই বইটি পড়তে পারেন ৷

হজ্জ ও উমরা নিয়ে অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই PDF

হজ্জ ও উমরাহ্ঃ– বাইতুল্লাহর সাথে দু’টি ইবাদত সম্পর্কিত। প্রথমত: হজ্জ যার অধিকাংশ আহ্কাম ও কার্যাবলী শুধু জিলহজ্জ মাসের পাঁচটি দিনে আদায় করা হয়ে থাকে। অন্য কোন সময় তা আদায় করা যায় না। (পরে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে) দ্বিতীয়তঃ উমরাহ্ যা হজ্জের পাঁচ দিন ব্যতীত বৎসরের যে কোন মাসে যে কোন সময় আদায় করা যায়। এর হলো তিনটি আকাম।

  • প্রথমত: মীকাত থেকে অথবা এর পূর্বে উমরাহ্র ইহরাম বাঁধতে হবে।
  • দ্বিতীয়তঃ মক্কা মুয়াজ্জমায় পৌঁছে বাইতুল্লাহ্ শরীফ তওয়াফ করবে।
  • তৃতীয়তঃ সাফা মারওয়ার সায়ী করতে হবে। এর পর মাথার চুল কেটে অথবা মুড়িয়ে ইহ্রাম খুলতে হবে।

উমরাহকে হজ্জের সাথে একত্র করা বা না করার প্রেক্ষিতে হজ্জ তিন প্রকার হয়ে থাকে।

প্রথমতঃ হজ্জে গমনের সময় শুধু হজ্জের নিয়ত করবে এবং ইহ্রাম বাঁধতে হবে। উমরাহকে হজ্জের সাথে একত্র করবেনা। এ হজ্জের নাম হলো ইফরাদ এবং হজ্জ আদায়কারীকে বলা হয় মুফরিদ।

দ্বিতীয় প্রকার হলো প্রথম থেকেই হজ্জের সাথে উমরাহ্ একত্র করে নিয়ত করবে এবং উভয়ের ইহ্রাম একত্রে বাঁধতে হবে এর নাম হলো ক্কিরাণ। এরূপ হজ্জ আদায়কারীকে বলা কারিন।

তৃতীয় প্রকার হলো হজ্জের সাথে উমরাহকে এভাবে একত্র করবে যে, মীকাত থেকে শুধু উমরাহ্র ইহ্রাম বাঁধবে। এ ইহ্রামের মধ্যে হজ্জকে একত্র করবে না।

এরপর মক্কা শরীফ পৌঁছে উমরাহ্র আকাম শেষ করে এবং চুল কেটে বা মুড়ানোর পর ৮ই জিলহজ্জ মজ্জিদে হারাম (কা’বা শরীফ) থেকে হজ্জের ইহরাম বাঁধবে। এর নাম হলো তামাতু। এরূপ হজ্জ আদায়কারীকে ‘মুতামাত্তি’ বলা হয়। হজ্জ পালনকারীর জন্য এ সুযোগ রয়েছে যে, উপরোক্ত তিন প্রকারের মধ্যে যেটা ইচ্ছা গ্রহণ করবে। কিন্তু ক্বিরাণ হলো উত্তম। এই তিন প্রকারের ইব্রামের নিয়তে এবং কোন কোন আকামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাই এগুলো ভালভাবে স্মরণ রাখা উচিৎ।