একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র গাইড pdf অনলাইনে খুজে থাকে ৷ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পৌরনীতি ও সুশাসন বইটির দুটি পার্ট রয়েছে ৷ পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র ও পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র ৷ পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র গাইড পিডিএফ এইসএসসি শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেকের প্রয়োজন হতে পারে ৷ তাই আপনারা যারা এতোদিন পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র গাইড বই pdf খুজে আসছেন, আপনারা আজকে খুব সহজে গাইড বইটি ডাউনলোড করতে পারেন ৷
আরও পড়ুনঃ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ইংরেজি ১মপত্র গাইড পিডিএফ ৷
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর গণিত ১মপত্র গাইড পিডিএফ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ICT Book PDF
পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র বই থেকে(সময় হলে পড়তে পারেন)
পৌরনীতি শব্দের উৎপত্তি: পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ Civics। Civics শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে দুটি ল্যাটিন শব্দ Civis এবং Civitas থেকে। Civis অর্থ নাগরিক, আর Civitas অর্থ নগররাষ্ট্র। সুতরাং শাব্দিক অর্থে ‘Civics’ বা পৌরনীতি হলো নগররাষ্ট্রে বসবাসরত নাগরিকের আচরণ ও কার্যাবলিসংক্রান্ত বিজ্ঞান। উৎপত্তিগত অর্থে নগর ও নগরবাসী সম্পর্কিত রীতিনীতি আচার অনুষ্ঠান নিয়ে জ্ঞানের যে শাখা গড়ে উঠেছে তাই পৌরনীতি। সংস্কৃত ভাষায় নগরকে ‘পুর’ বা ‘পুরী’ এবং নগরের অধিবাসীদের ‘পুরবাসী’ বলা হতো। এজন্যই বাংলায় নাগরিক জীবনের অপর নাম পৌরজীবন। আর নাগরিক জীবন সম্পর্কিত শাস্ত্রের নাম পৌরনীতি।
বিভিন্ন লেখক বিভিন্নভাবে পৌরনীতির সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন। নিচে তা আলোচনা করা হলো:
পৌরনীতির সংজ্ঞা
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতিমান লেখক ই. এম. হোয়াইট (Ebe Minerva White) তার ‘The Philosophy of Citizenship’ গ্রন্থে পৌরনীতিকে সুন্দর ও স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার মতে, পৌরনীতি মানবজ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা যা নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও মানবতার সাথে যুক্ত প্রতিটি বিষয় পর্যালোচনা করে। তিনি আরও বলেছেন, যে শাস্ত্র নাগরিকতার সঙ্গে যুক্ত সব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করে, তাই পৌরনীতি।
এফ. আই. গ্লাউড (F. I. Gloud)-এর মতে, “মানুষ যেসকল প্রতিষ্ঠান, অভ্যাস ও কার্যাবলির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে এবং রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকার ভোগ করে সেই সকল প্রতিষ্ঠান, অভ্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাকে পৌরনীতি বলে।”
Encychopaedia Britanica-তে পৌরনীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে যে, “পৌরনীতিকে সামাজিক বিজ্ঞানের সেই শাখা বলে অভিহিত করা যায়, যেখানে সরকারের সংগঠন ও পদ্ধতি এবং নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্যসমূহ আলোচনা করা হয়।”
ইংরেজ লেখক এবং ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদের পথিকৃৎ ফ্রেডরিক জেমস গুন্ড (Frederick James Gould)-এর মতে, ‘পৌরনীতি হচ্ছে প্রতিষ্ঠান, আচরণ ও চেতনার অধ্যয়ন, যার মাধ্যমে একজন নারী বা পুরুষ রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হিসেবে তার কর্তব্য পালন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে।’
পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয় কেন?
নাগরিক ও নাগরিক জীবনের সাথে জড়িত সব বিষয় আলোচনা করে বলে পৌরনীতিকে নাগরিকতার বিজ্ঞান বলা হয়। নাগরিক জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকার কার্যকলাপ নিয়ে পৌরনীতি অনুশীলন চালায়। নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনের সাথে জড়িত ঘটনাবলি ও কার্যকলাপ এ শাস্ত্রে আলোচিত হয়। নাগরিক জীবনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও নৈতিক তথা সার্বিক দিকের আলোচনা পৌরনীতির বিষয়বস্তু। এসব কারণে পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়।
নাগরিকের উত্তম জীবন প্রতিষ্ঠা করাই পৌরনীতির লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে পৌরনীতি নাগরিকতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করে। যেমন- নাগরিকতা লাভের উপায়, সুনাগরিকের গুণাবলি, নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য, নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং নাগরিকের স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা দিক। এককথায় পৌরনীতির মূল বিষয়বস্তু যেহেতু নাগরিকতাকেন্দ্রিক সেহেতু পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়।
সুশাসন কী?
সুশাসন মানুষের জন্মগত অধিকার। যুগ যুগ ধরে মানুষ সুশাসনের জন্য লড়াই করে আসছে। রাজায়-রাজায় যুদ্ধ, রাজা- প্রজার যুদ্ধ, শাসক ও শাসিতের সংগ্রাম, রাজ্য ও রাষ্ট্রের ভাঙ্গা-গড়ার ইতিহাস সুশাসনের প্রত্যাশা ও দাবির জন্য সংঘটিত হয়েছে। আধুনিক যুগে সুশাসনের মানদণ্ডে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের জয়-পরাজয় নির্ধারিত হচ্ছে। সুতরাং সুশাসনের ধারণা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের শাসন পরিক্রমার সাথে জড়িত। সভ্যতা, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে সুশাসনের দাবি ও ধারণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে বিংশ শতাব্দির শেষ দিকে সুশাসনের ধারণা জনপ্রিয়তা লাভ করে।
‘সুশাসন’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশ্বব্দ হলো ‘Good Governance’। সুশাসন প্রত্যয়টির ধারণা পেতে হলে প্রথমে গভর্ন্যান্স বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা জরুরি। ‘গভর্ন্যান্স’ বা ‘শাসন’ একটি বহুমাত্রিক প্রত্যয়। Governance শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Kubernao’ থেকে এসেছে। যার অর্থ হলো জাহাজ পরিচালনা করা। উৎপত্তিগত অর্থ থেকে বোঝা যায়, শাসন বা Governance এর সাথে শুধু সরকারের কর্তৃত্ব নয় আরও অনেক বিষয় জড়িত।
সুশাসনকে কোন একক ধারণায় সংজ্ঞায়িত করা যায় না। এটি একটি বহুমাত্রিক ধারণা। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ প্রতয়টি ব্যবহার করা হয়।
মূলত সুশাসন ও জবাবদিহিতা, গণতান্ত্রিক এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর একটি। এর কারণ হচ্ছে স্বৈরতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সামরিক স্বৈরতন্ত্র বা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন খুব কম ঘটে। এ অবস্থায় জনগণ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে। কেননা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হচ্ছে প্রতিনিধিত্বমূলক শাসন ব্যবস্থা। এখানে জনগণের ইচ্ছা, কল্যাণ ও অগ্রগতির কথা বিবেচনা করা হয় যা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক।
সুশাসন সম্পর্কে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দিয়েছেন ম্যাককরনী। ম্যাককরনী (Maccoroney) সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করতে যেয়ে বলেছেন- “সুশাসন হলো রাষ্ট্রের সাথে সুশীল সমাজের, সরকারের সাথে জনগণের এবং শাসকের সাথে শাসিতের সম্পর্ককে বুঝায়।”
হ্যারিস (Harris) বলেন, “সুশাসন এমন এক সার্বজনীন ভূমিকা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজের ধারা যা আপনা থেকেই নিয়ম-কানুন ও সেগুলোর কার্যকারিতার সংঘাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে।”
ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) সুশাসন সম্পর্কে বলেন “সুশাসন হলো এমন এক অন্তর্নিহিত ভাষা ও আচরণ কাঠামো যা উত্তম শাসনকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।”
যে শাসন প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ, আইনের শাসন, অবাধ তথ্যপ্রবাহ, জনগণকে উন্নত সেবা প্রদান, কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা ও সাম্য বিরাজ করে, তাই সুশাসন।
HSC পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র গাইড pdf download
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা অথবা যারা অনলাইনে পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র গাইড পিডিএফ খুজছেন, আপনারা আজকে নিচে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে সহজে বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারেন ৷ আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে অনলাইন থেকে বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করে এখানে লিংক দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন ৷ এরকম সকল গাইড বই পিডিএফ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷
Join Telegram Channels
ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার
"ঘরে বসে আয় করুণ"