“লুকিং ফর দ্য এনিমি” বইটির লেখক বেটি ড্যাম এবং অনুবাদক মো. আবু বকর সিদ্দীক ৷ বইটি প্রকাশিত হয়েছে ইন্তিফাদা বুকস প্রকাশনী দ্বারা ৷ বইটি মোল্লা ওমরের রহস্যময় জীবন ও তালেবান আন্দোলনের আদ্যোপান্ত নিয়ে লেখা ৷ বইটি পড়তে পারেন ৷ অনেকে বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ খুজে থাকেন ৷ (Looking For The Enemy Bangla Book)

বই বিবরণ
- বইয়ের নামঃ লুকিং ফর দ্য এনিমি ৷
- লেখকঃ বেটি ড্যাম ৷
- অনুবাদকঃ মো. আবু বকর সিদ্দীক ৷
- প্রকাশনীঃ ইন্তিফাদা বুকস ৷
- দামঃ ৪৪৪ টাকা(হার্ডকপি রকমারিতে)
- পেইজ সংখ্যাঃ ৩৪৪ পেইজ ৷
- ক্যাটাগরিঃ রাজনীতির অনুবাদ বই ৷
লুকিং ফর দ্য এনিমি( বই থেকে মুখবন্ধ)
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বইটি ডাচ ভাষায় প্রথম প্রকাশিত হয়। তখনও ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তান’ টিকে ছিল। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। কিন্তু ইতিমধ্যেই আফগানযুদ্ধ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করতে মরিয়া যুক্তরাষ্ট্র দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক অফিসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে।
ঠিক এক বছর পর, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দুপক্ষ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিটি ২০২১ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে সকল সৈন্য প্রত্যাহারের সুযোগ করে দেয়। মার্কিনিরা এই চুক্তিকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ শান্তিপ্রক্রিয়ার সূচনা মনে করেছিল। কিন্তু তাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। প্রস্তাবিত শান্তিপ্রক্রিয়া কখনোই আলোর মুখ দেখেনি। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে মার্কিনিদের উপস্থিতি হ্রাস করা শুরু হয়। একইসঙ্গে আফগান সামরিক বাহিনী তালেবানের কাছে ধীরে ধীরে পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণ হারায়। জেলার পর জেলা, প্রদেশের পর প্রদেশ। কদাচিৎ তীব্র লড়াই হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি বাহিনী তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ এবং চুক্তি করাকেই বেছে নিয়েছিল। কাবুল সরকার তখন এগুলোকে সাময়িক বাধা বলে প্রচার করছিল। শেষ পর্যন্ত ২০২১-এর ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলে প্রবেশ করে। প্রেসিডেন্ট গনির তাৎক্ষণিক পলায়নের পর তারা ক্ষমতা দখল করে। মার্কিন সৈন্যরা তখন পুরোপুরি আফগানিস্তান ছেড়ে যায়নি।
যে গতিতে সরকারের পতন হয়েছিল তা সবাইকে, এমনকি তালেবানকেও অবাক করেছিল। তারা বর্তমানে নিজেদের সামরিক আন্দোলনকে সরকারের মতো কিছু একটাতে রূপান্তরের চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা কতটুকু সফল হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণের পর তালেবানের শাসনামল কেমন হবে, তা বুঝতে পুরো বিশ্ব হন্তদন্ত হয়ে উঠেছে। ৯০-এর দশকে তালেবান যেভাবে নিজেদের পূর্বের শাসনকে পোক্ত করতে চেয়েছিল, সে সময়ের সঙ্গে এবারের স্পষ্ট মিল রয়েছে। বিশেষ করে নারীশিক্ষা ও নারীর কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের মতো প্রসঙ্গে অস্পষ্টতা, প্রতিহিংসামূলক হামলার হুমকি এবং কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রবণতার মতো বিষয়ে। তবে পূর্বের তালেবানের সঙ্গে এই তালেবানের বাহ্যিক কিছু ভিন্নতাও লক্ষণীয়। যেমন: সামাজিক গণমাধ্যম, ভিডিও এবং ছবির ব্যাপক ব্যবহার, ইউনিফর্ম পরা নিরাপত্তাবাহিনী প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ইত্যাদি। যাইহোক, আফগানিস্তান ও এর রাজনীতি সম্পর্কে গভীর এবং অর্থবহভাবে জানার জন্য এত বছরের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পরও সাংবাদিক ও বিশ্লেষকদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো যেন ৯০-এর দশকেই আটকে আছে। মনে হচ্ছে যেন সামষ্টিকভাবে আমরা কিছুই শিখতে পারিনি।
বিগত ২০ বছর ধরে সামরিক ও নীতিনির্ধারক মহল এবং গণমাধ্যমের অগণিত ভুলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্রোধই হচ্ছে এই বইয়ের অনুপ্রেরণা। ওয়ার অন টেরর, রাষ্ট্রনির্মাণ প্রকল্প, কাউন্টার ইনসার্জেন্সির মতো বিভিন্ন কাঠামোর আলোকে আফগানিস্তানের ঘটনাগুলোকে শুধু আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ও ব্যাখ্যা করা হতো। তাই সেসব ব্যাখ্যা ও বর্ণনাগুলো প্রায়ই পক্ষপাতদুষ্ট থাকত।
কৌতূহলও এই বইয়ের অন্যতম চালিকাশক্তি। বইটিতে মোল্লা মুহাম্মদ ওমর মুজাহিদ ও তার আন্দোলনকে তাদের ভাষায় এবং তাদেরই দৃষ্টিকোণ থেকে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে, যা একেবারে ভিন্ন কিছু। বইটিতে আফগান দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনাবলি তুলে ধরা হয়েছে।
বেটির বহু বৎসরের গবেষণার মধ্যে নিয়মিতই তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হতো, বিশেষ করে আফগানিস্তানে তার কাটানো সময়ের শেষদিকে। বইটির প্রথম ডাচ সংস্করণ প্রকাশের এক সপ্তাহ আগে সে একটি নতুন সোর্সের সন্ধান পায়। মোল্লা ওমর তার জীবনের শেষের দিনগুলো কোথায় এবং কীভাবে কাটিয়েছিলেন-সেটার একটি নতুন ও নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। আমরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিক নিয়ে তখন আলোচনা করেছিলাম। বারবার আমরা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ যাচাই করেছিলাম। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর এই জিনিসটিই সবচেয়ে বেশি মনোযোগ ও সমালোচনার কারণ হবে। কারণ, বেটির এই বয়ান আফগান সরকার, মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং অধিকাংশ পশ্চিমা মিডিয়ার প্রচলিত বয়ান, সংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও আত্মোপলব্ধির পুরোপুরি বিপরীত।
ব্যাপক গবেষণালব্ধ হলেও বইটি কোনোভাবেই আফগানিস্তানের ঘটনাবলি, তালেবান আন্দোলন কিংবা মোল্লা ওমরের জীবন সম্পর্কে চূড়ান্ত নয়। তবে এটি আফগানিস্তান-বিষয়ক স্বল্পসংখ্যক বইয়ের একটি, যেখানে লেখিকা স্বয়ং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি জানা তথ্যের গণ্ডির বাইরে গিয়ে অস্পষ্টতা দূর না হওয়া পর্যন্ত সূত্র ধরে ধরে এগিয়েছেন। তালেবানের নতুন যুগে পদার্পণ, পুরো বিশ্বের সঙ্গে তাদের আচরণ এবং বিগত দিনের ঘটনাবলিকে তারা কীভাবে দেখে-সেগুলো জানতে এই বইয়ের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
লুকিং ফর দ্য এনিমি PDF মোল্লা ওমরের রহস্যময় জীবন বই | Looking For The Enemy Bangla Book
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]Join Telegram Channels

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

"ঘরে বসে আয় করুণ"