moshtishker-malikana book by Md. Abdul Hamid PDF Download from pdfporo.
মস্তিষ্কের মালিকানা pdf download
মস্তিষ্কের মালিকানা বইয়ের বিবরনঃ pdf download
বইঃ মস্তিষ্কের মালিকানা বই pdf
লেখকঃ মো. আব্দুল হামিদ এর বই pdf
প্রকাশনীঃ স্বরে অ এর বই pdf
ফরম্যাটঃ পিডিএফ (Pdf)
ক্যাটাগরিঃ ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ও সেলিং বই pdf
মস্তিষ্কের মালিকানা রিভিউঃ pdf download
মােঃ আব্দুল হামিদ স্যারের ” মস্তিষ্কের মালিকানা ” বইটি মাইন্ড , মার্কেটিং ও মােটিভেশন এর সমন্বয় করে লেখা একটি আত্মউন্নয়নমূলক বই।
মােঃ আব্দুল হামিদ স্যার তাঁর এই বইটিতে ৯৮ টি অসাধারণ ও মজার কিছু কনসেপ্ট নিয়ে আলােচনা করেছেন , যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় অনেক বিষয়কে ভিন্ন । দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে সাহায্য করবে । চলুন কিছু উদাহরণ দেখে নেয়া যাক
১. প্রতিটা বাচ্চাই বড়দের অনুকরণ করে শিখে । ছােটবেলায় প্রায় প্রতিটি বাচ্চা শুনেছে- পড়তে বস , পড়তে বস । কিন্তু বাচ্চাটা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না , যারা তাদের দিন – রাত পড়তে বলেন তারা নিজেরা কেন সেটা করেন না ! কখনাে ভেবেছেন আমরা যারা বারবার তাদের পড়তে বলি , নিজেরা ভুলেও কি একটা বই পড়ার জন্য হাতে নেই ?
২. একজন ঘুষখাের ব্যক্তি তার অসৎ উপায়ে অর্জিত খাবার খেয়ে স্ফীত করা উদর জনগণকে দেখতে মােটেই লজ্জা পায় না । আহাম্মকের মতাে সেটা দুলিয়ে দুলিয়ে রাস্তায় চলে । সহকর্মীর বাসায় দাওয়াত খেয়ে পরম তৃপ্তি সহকারে তাতে হাত বুলায়।বাসে উঠলে পাশের যাত্রীর নাভিশ্বাস অবস্থা করে ছাড়ে । অথচ মানবজাতির বংশরক্ষার মহান দায়িত্ব পালনকারী একজন গর্ভবতী মা বঙ্গদেশে তার উঁচু পেট নিয়ে বাইরে যেতে ভীষণ বিব্রতবােধ করেন । কার লজ্জা পাওয়া উচিত ; আর কে পায় ?
মো. আব্দুল হামিদ এর বই pdf download
৩. ছােটবেলা থেকেই শুনছি – প্রাক্টিস মেকস এ মন পারফেক্ট । আমাদের দেশে সবাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন – রান্না মূলত মহিলাদের কাজ । অথচ আজ পর্যন্ত ( বিয়ে , পিকনিক , কুলখানির মত ) বড় কোনাে অনুষ্ঠানে রান্নার দায়িত্বে নিয়ােজিত কোনাে মহিলা বাবুর্চির সাক্ষাৎ পেলাম না ! এমনকি মফস্বলের হােটেল থেকে শুরু করে টমি মিয়া পর্যন্ত সব শেফও পুরুষ – আজব না ব্যাপারটা ?
৪. স্বল্পতম সময়ে খাবার কাজটি সম্পন্ন করার জন্য উদ্ভব হয়েছিল যে ” ফাস্টফুড ” আইটেমগুলাের , এখনকার তরুণরা পরিকল্পনা করে , একবেলা সময় বরাদ্দ রেখে সেগুলাে খেতে যায়।খাবার অর্ডার দিয়ে দীর্ঘ সময় বসে আডডা দেয় । অথচ আমার এক শিক্ষক বলেছিলেন , বিদেশে পড়ালেখার সময়ে অধিকাংশ দিনই তিনি ক্লাস থেকে বের হয়ে কোনােরকমে একটা বার্গার বা অন্য আইটেমের সাথে একটা কোক নিয়ে বাসে উঠতেন ।
বাস থামার আগেই খাওয়া শেষ করতে হতাে।কারণ নেমেই কাজে লেগে যেতে হতাে । অথচ আমাদের ফাস্টফুড লাভারদের কোনাে তাড়াহুড়া থাকেনা । তাদের এতই যদি অবসর সময় থাকে , তবে ফাস্টফুড কেন , বাঙাল তথাকথিত ” স্লো ফুড ” খেতে সমস্যা কোথায় ? তবে তাদের সমস্যা না হলে ইতিহাস – ঐতিহ্য – সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন ব্যক্তিরা বড় ক্ষতির ইঙ্গিত পাচ্ছেন ।
৫. খেয়াল করবেন , ধুলােবালিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি হওয়া জুতা – স্যান্ডেল বিক্রি হয় পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে । অথচ শাক – সবজির মতাে খাদ্যবস্তু বিক্রি হয় রাস্তায় ধুলার মধ্যে । আমাদের এরূপ আচরণ প্রত্যক্ষ করেই হয়তাে কেউ বলেছে ” রঙ্গ ভরা বঙ্গ দেশ ” অথবা ” সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ ” !
মস্তিষ্কের মালিকানা pdf download
৬. কিন্ডারগার্টেন স্কুল গেটে প্রায়শ এমন কিছু মাকে দেখি , যারা ” ছেলে কেন দুই নম্বরের একটা অংক ভুল করেছে ” তা নিয়ে সন্তানকে হেনস্তা করছে । অথচ তার বাচ্চা ৯৮ % সমস্যার সমাধান করেছে সেজন্য তাকে অভিনন্দন জানায় না ! এমন আচরনে সেই শিশুটি এক সময় উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে । আমাকে দিয়ে হবে না- এমন ভাবনায় নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারে । এমন চর্চায় অসংখ্য সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় । তাছাড়া আপনার এই অসন্তুষ্ট হওয়ার অভ্যাস যদি সে একবার রপ্ত করে ফেলে , বুঝতে পারছেন সমস্যা কোথায় হবে ?
৭. অতীতে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত মানুষের সাথে যােগাযােগ করতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাস পর্যন্ত লাগতাে । বর্তমানে আধুনিক যােগাযােগ ব্যবস্থায় বদৌলতে জল – স্থল – আকাশ সর্বত্র আমরা এখন মােবাইল টেলিফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত । আলু – পটল এর চেয়েও ফোনের সংযােগ কেনাটা সহজতর হয়েছে ।
উত্তম যােগাযােগব্যবস্থা মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াবে- সেটাই স্বাভাবিক । কিন্তু বাস্তবে কি সেটা হচ্ছে ? পারস্পরিক সন্দেহ ও অবিশ্বাস বৃদ্ধির চরম হাতিয়ার এ পরিণত হয়েছে । দু’বার চেষ্টা করে ফোন ব্যস্ত পেলেই অপরপক্ষ রাগ – ক্ষোভে ফুসতে শুরু করছে । আগের দিনে একটা চিঠি লিখে জবাব পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করা যেত ।
Pdf book
অথচ এখন মেসেঞ্জারে রিপ্লাই দিতে ৩০ সেকেন্ড দেরি হলেই অন্যপক্ষ সন্দেহ করে- সে আবার অন্য কাউকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত নয় তাে !
মাে . আব্দুল হামিদ স্যার বইটিতে অনেক জটিল বাস্তবিক বিষয় মজার ছলে উপস্থাপন করেছেন , ফলে বইটি পড়তে একঘেয়েমি অনুভব হয় না ।
পাঠ্যানুভূতি : বইটি পড়ে আমার বেশ ভালাে লেগেছে এবং কিছু বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে সাহায্য করেছে । আপনাকে একবারের জন্য হলেও বইটি পড়ার অনুরােধ করলাম । বইটি পড়ে বেশ মজা পাবেন ।
