আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন । আজকের বিষয় আল কোরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত এর বাংলা উচ্চারণ-অর্থসহ ও ফজিলত সম্পর্কে ৷ স্বাগতম আপনাকে আমাদের সাইটে ৷
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
একজন মুমিন মুসলমানের ইহকালীন সফলতা ও পরকালীন মুক্তির অন্যতম মাধ্যম হল পবিত্র কুরআনুল কারীম । যা অসীম ফযীলতপূর্ণ এক অমূল্য রত্নভান্ডার । পরম কল্যাণময় , কামিয়াবীপূণ এক শাশ্বত গ্রন্থ । যার তিলাওয়াত ও শ্রবণ সবই মানুষের জন্য সৌভাগ্য লাভের ওসীলা । যার এক একটি সূরা এক একটি আয়াতও অসীম রহমত , বরকত ও পুণ্য লাভের কারণ । এভাবে পূর্ণ কুরআনের অসীম ফযীলতের পাশাপাশি কতিপয় সূরা কতিপয় আয়াতের কথাও বিশেষভাবে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন ।
সূরাসমূহের মধ্যে সূরা ফাতেহা , সূরা ইয়াসীন , সূরা বাকারা , সূরা ইখলাস ইত্যাদি । আর আয়াতসমূহের মধ্যে যে সকল আয়াত সম্পর্কে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখ করেছেন , তন্মধ্যে সর্বশীর্ষে বলা যায় আয়াতুল কুরসী । সূরা বাকারার সর্ববৃহত আয়াত এটি । বলা হয় , হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম ৮০ হাজার মতান্তরে ৪০ হাজার ফেরেশতাসহ এই আয়াতখানি , নিয়ে উপস্থিত হন । ফলে এই আয়াতের গুরুত্ব , ফযীলত ও বরকত অফুরন্ত ৷
আয়াতুল কুরসি আরবি | ayatul kursi in arbi
আরবি আয়াতুল কুরসি উচ্চারণ

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ | ayatul kursi bangla uccharon
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু , আলহাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম লা তাখুযুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম । লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ । মান যাল্লাযী ইয়াশফায়ু ’ ইনদাহু ইল্লা বি ইযনিহ ৷ ইয়া'লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম্ মিন ইল্'মিহি ইল্লা বিমা শাআ ' । ওয়াসিয়া ’ কুরসিইউ হুছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ , ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল ‘ আলিয়্যুল আজীম ।
আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ | ayatul kursi with bangla meaning
বাংলা অর্থ আয়াতুল কুরসি সূরা আল – বাকারা : ২৫৫
অনুবাদ : “ তিনি আল্লাহ যিনি ছাড়া আর কেউই সার্বভৌমত্বের মালিক নয় । তিনি চিরঞ্জীব , চির প্রতিষ্ঠিত । ঘুম ও তন্দ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না । আকাশ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই তাঁর । কে আছে এমন যে তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে তাঁর অনুমতি ছাড়া ? তিনি সবার অগ্র - পশ্চাতের খবর রাখেন । তাঁর জ্ঞাত বিষয়ের কিছুই মানুষের জ্ঞান সীমার আয়ত্তাধীন হতে পারে না । অবশ্য তিনি যা ইচ্ছা করেন ( বা ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে কিছু জ্ঞান দান করেন তবে তা ভিন্ন কথা ) তার একচ্ছত্র ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আকাশ ও পৃথিবীর সর্বত্র পরিব্যপ্ত । ঐ সবের ( আকাশ ও পৃথিবীর ) রক্ষণাবেক্ষণে তাঁকে কিছু মাত্র ক্লান্ত করে না । আর তিনি হচ্ছেন এক মহান ও শ্রেষ্ঠতম সত্তা । ” ( আল - বাকারা : ২৫৫ )
আয়াতুল কুরসির ফজিলত | Ayatul kursi fazilat
১/ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে , তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোনো কিছু বাধা হবে না । [ নাসায়ী , সুনানে বায়হাকী ]
২/ শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযুক্ত থাকে । যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে । [ বুখারী ]
৩/ রাসূল ( সাঃ ) বলেছেন , সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে , যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে । [ মুসতাদরাকে হাকিম ]
৪/ যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে , প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন । [ সুনানে বায়হাকী ]
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি | ayatul kursi bangla pic



ডাউনলোড করুনঃ আয়াতুল কুরসি HD PDF File
আরও ডাউনলোড করুনঃ আল-কোরআন বাংলা অর্থসহ
Also Link: ছেলেমেয়েদের ইসলামিক নাম
আয়াতুল কুরসীর বৈশিষ্ট্য | ayatul kursi bangla anubad
মহা পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা বাকারার সবচেয়ে বড় আয়াতটি হল , আয়াতুল কুরসী । যার সমান কোন আয়াত পবিত্র কুরআনুল কারীমে নেই । আয়াতটির ক্রমিক নম্বর হল ২৫৫। আখেরী নবী , সাইয়্যেদুল বাশার , হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরতের পর কোন এক রাত্রে এ মহান আয়াতটি অবতীর্ণ হয় । এ মহান আয়াতটি যখন অবতীর্ণ হয় , তখন হযরত জিব্রাঈল ( আঃ ) -এর সাথে আশি হাজার ফেরেশ্তা অবতীর্ণ হয়েছিল । অন্য এক বর্ণনায় চল্লিশ হাজারের কথা উল্লেখ রয়েছে । যদ্বারা এ মহান আয়াতের মাহাত্ম ও বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয় । আয়াতুল কুরসী নাযিল হওয়ার পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত যায়েদ বিন সাবেত ( রাযিঃ ) কে তা লিপিবদ্ধ করার হুকুম দেন । ওহী লেখক সাহাবীগণের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ।
মক্কা বিজয়ের পর ওহী লেখার মূল দায়িত্ব ছিল হযরত যায়েদ বিন সাবেত ও হযরত আমীরে মু’আবিয়া ( রাযিঃ ) -এর উপর । এ মহান অয়াতটি নাযিল হওয়ার পর শয়তানদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায় । এরপর তাদের গুরু ইবলীস তার অনুসারী শয়তানদের এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলে । ইবলীসের অনুসারীরা এ নির্দেশ পালনে ভূ – ভাগে ছড়িয়ে পড়ে । অবশেষে মদীনা মুনাওয়ারা পৌঁছার পর তারা জানতে পারল আল্লাহ্ তা’আলা একটি মহান আয়াত নাযিল করেছেন , যা সমস্ত শয়তানদের এ অস্থিরতার কারণ । আর এ মহান আয়াতটি হল আয়াতুল কুরসী ।
আল কোরআনের দ্বিতীয় সূরা আল বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত ।
আয়াতুল কুরসি যে কোন সময় পড়া যায়। বিশেষ করে ফজর নামাজের পড়ে। এর ফজিলত অনেক যা লিখে শেষ করার মতো নয়। রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়তে হয় ৷ তাহলে আল্লাহ একজন ফেরেশতাকে পাহারাদার নিযুক্ত করবেন। ফলে সারারাত সয়তান ও যাবতীয় বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ৷
হ্যা, আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ছবি hd photo রয়েছে ৷ HD Quality photo download করার জন্য লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন ৷
হ্যা, পিডিএফ রয়েছে ৷ লিংকে ক্লিক করে পিডিঊফ ফাইল ডাউনলোড করে নিন ৷