একজন মুসলিম কোন উপায়ে নিজেকে চোখের গুনাহ থেকে বাঁচাবে, কোন উপায়ে নিজের দৃষ্টিকে করবে সংযত এবং জীবনকে করবে সুসংহত, সেসব উপায় নিয়ে চোখের হেফাজত সম্পর্কিত ৫টি বই(PDF) ৷ আশা করি পাঠকরা পড়ে উপকৃত হবেন ৷
চোখের হেফাজত সম্পর্কিত ৫টি বই এবং কিভাবে নিজের কু-দৃষ্টিকে সংযত রাখা যায় জানতে পারবেন
1. চোখের হেফাজত
- লেখকঃ মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী ৷
- অনুবাদকঃ মাহদী আবদুল হালিম ৷
- প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুন নূর ৷

চোখ মহামূল্যবান সম্পদ ৷ কিন্তু কু-দৃষ্টি অথবা চোখের হেফাজত না করলে তা হয় খুবুই ভয়ংকর ৷ এক মুহূর্তের কুদৃষ্টি কত মানুষের ঈমান, সম্পর্ক, এমনকি মনোবল পর্যন্ত ধ্বংস করে দিতে পারে—এই বইটি পড়ে বুজতে পারবেন ৷
আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না, কোন জিনিসটা আমাদের জন্য ভালো, আর কোনটা ধীরে ধীরে আমাদের ভেতরটা নিঃশেষ করে দিচ্ছে। মন তখন হারিয়ে যায় প্রবৃত্তির অন্ধকারে। অথচ আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ﷺ আমাদের জন্য একেবারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—দৃষ্টি সংযত রাখো, কারণ এটাই আত্মশুদ্ধির প্রথম ধাপ।
2. নজরের হেফাজত
- সম্পাদকঃ ছানা উল্লাহ সিরাজী ৷
- প্রকাশনীঃ বইপল্লি ৷
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি। গুনাহের সয়লাবের এই যুগে দৃষ্টি তথা ‘নজরের হেফাজত’ এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। পবিত্র কুরআন থেকে নিয়ে হাদিস, আছার এবং আত্মশুদ্ধির খেদমতে নিয়োজিত সকল মনীষী বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার কারণ হলো, একজন মুমিনকে ঘায়েল করার জন্য শয়তান সবচেয়ে কার্যকরী যে অস্ত্রটি ব্যবহার করে, তা হচ্ছে এই দৃষ্টি তথা নজর। বুজুর্গদের অনেকেই যাকে গুনাহ তথা শয়তানের দরজা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
অথচ বর্তমানের বাস্তবতা হলো, সাধারণ থেকে বিশেষ; সকল শ্রেণির মুমিন ব্যাপকহারে এই গুনাহে আক্রান্ত। এর বহুবিদ কারণের অন্যতম হলো, এর আলোচনা কম হওয়া, নজরের গুনাহকে তুচ্ছ জ্ঞান করা, এর ভয়াবহতা এবং নজর হেফাজতের উপকারীতা সম্পর্কে অজ্ঞতা ও উদাসীনতা।
3. নজরের হেফাজত
- লেখকঃ মাহমুদ মিসরি ৷
- অনুবাদকঃ আল-আমিন ফেরদৌস ৷
- প্রকাশনীঃ মুহাম্মদ পাবলিকেশন ৷
ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘দৃষ্টিই যৌন লালসা উদ্বোধক। কাজেই এ দৃষ্টির নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ মূলত যৌনাঙ্গেরই সংরক্ষণ। তা ছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মুক্তচিন্তার নামে সর্বত্র নষ্টামি ও নোংরামির যে চর্চা শুরু হয়েছে, তা মানুষকে লাজ-শরম ভুলে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায় লিপ্ত করছে; যুবকদের দেহমনে লাগিয়ে দিচ্ছে যৌবনের আগুন।
ফলে তারা আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, নিমজ্জিত হচ্ছে সীমাহীন পাপাচারে। এসবের কারণ অনুসন্ধান করলে সর্বাগ্রে যে-হেতুটি পাওয়া যায়, তা হলো-দৃষ্টির অসংযত ব্যবহার। কীভাবে করবেন নজরের হেফাজত! নজরের হেফাজত করলে কী পুরস্কার রয়েছে আপনার জন্য? বিপরীতে কুদৃষ্টির ফলে কী শাস্তি অপেক্ষা করছে, তারই অনবদ্য গ্রন্থনা-নজরের হেফাজত : সফলতা হাতিয়ার ৷
4. দৃষ্টি সংযত রাখুন
- লেখকঃ মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী ৷
- অনুবাদকঃ মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ ৷
- প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আরাফ ৷
একজন মুমিনের জন্য নামাজ পড়া যেমন ফরজ, তেমনই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাও ফরজ। গুনাহের মধ্যে অন্যতম হলো কুদৃষ্টি। এই কুদৃষ্টির কারণে একজন খাঁটি ঈমানদার ধীরে ধীরে যাবতীয় গুনাহে লিপ্ত হতে শুরু করে। সমূহ গুনাহের মূলেই আছে—কুদৃষ্টি।
বর্তমানে অনেক নামাজি মুমিন পাওয়া যায়, অনেক ইবাদতকারী মুসলিম পাওয়া যায়, কিন্তু দৃষ্টি সংযতকারী মানুষ পাওয়া দুষ্কর। রাস্তায় চলতে গেলে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এই গুনাহ হয়েই যায়। তার উপরে এখন আবার যুক্ত হয়েছে—স্মার্টফোন। দৃষ্টি সংযত রাখার বিষয়টি যেন আস্তে আস্তে সয়ে যাচ্ছে, এটাকে গুনাহ-ই মনে করা হচ্ছে না। “দৃষ্টি সংযত রাখুন” বইটি আমাদের দৃষ্টি সংযত রাখতে সহায়তা করবে, ইনশাআল্লাহ।
5. চোখের গুনাহ
- লেখকঃ আবু আম্মার মাহমুদ মিসরি হাফিজাহুল্লাহ ৷
- প্রকাশনীঃ সুকুন পাবলিশিং ৷
একজন মুসলিম পুরুষ সব ধরনের নিষিদ্ধ বস্তু থেকে দৃষ্টি হিফাজত করে রাখবে, নয়তো তার গুনাহ হবে। দৃষ্টি হিফাজতে ব্যর্থতা একজন মুসলিমকে চোখের গুনাহয় ফেলে দেয়। মুসলিম পুরুষ তাই বৈধ কোনো ক্ষেত্র ছাড়া আর কোনো কিছুর দিকেই তাকাবে না। পরনারীর দিকে তো অবশ্যই না। কারণ, পরপুরুষের দৃষ্টিতে নারীর সর্বশরীর লজ্জাস্থান। আর সেজন্যেই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বার বার তাকিয়ো না; বরং তৎক্ষণাৎ নজর ফিরিয়ে নিয়ো; কারণ, তোমার জন্য প্রথমবার (অনিচ্ছাকৃত দৃষ্টিপাত) ক্ষমাযোগ্য, দ্বিতীয়বার নয়।
চোখের মাধ্যমেই মানসিক বিপর্যয়ের সূত্রপাত হয়। চোখাচোখি থেকে শুরু হওয়া পাপের স্ফীত জলরাশি মিশে যায় ব্যভিচারের অন্তিম মোহনায়। সংসার জুড়ে নেমে আসে অসংগতির ৷
বর্তমান সময়ে মুসলিম যুবক-যুবতিদের জন্য নজরের হিফাজত করা সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি। অনেক নারী-পুরুষ শরিয়তের অন্য সকল রুকন-আহকামের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর হলেও এই একটিমাত্র ব্যাপারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
এর কারণ কী? প্রধান কারণ হচ্ছে-ঈমানী দুর্বলতা। বান্দার সব কাজের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা যে সবসময়ই ওয়াকিবহাল, তিনি যে তাদের ভেতর-বাহিরের সব খবর রাখেন-এই বিশ্বাসটুকুন তাদের হৃদয়ের গভীরে বিশেষ কোনো উপলব্ধির জন্ম দিতে পারে না।
নজরের হেফাজত সম্পর্কিত ৫টি বই হার্ডকপি এবং পিডিএফ(PDF)
[ বইগুলোর হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]Join Telegram Channels
ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার




