সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ ইমাম গাজ্জালী রহঃ এর বই ৷ একজন মুসলিমের ঈমানী দায়িত্ব হল- ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে নিঃশর্তভাবে সর্বশেষ অহির পথে মানুষকে আহ্বান জানানো, যার মূল ভিত্তি হবে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ। পথহারা মানুষকে আল্লাহমুখী করা এবং কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী সমাজকে প্রকৃত ইসলামী সমাজে পরিণত করা এক অনন্য মিশন। সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ PDF এবং হার্ডকপি অনেকে খুজে থাকেন ৷ আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে ৷
‘তোমরাই সর্বোত্তম জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দিবে এবং আল্লাহ্ প্রতি ঈমান আনবে’।
-আলে ইমরান ৩/১১০।
বইটির বিবরন
- বইয়ের নামঃ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ৷
- লেখকঃ হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাযযালী রহ. ৷
- অনুবাদকঃ মোহাম্মদ খালেদ ৷
- প্রকাশনীঃ মোহাম্মদী লাইব্রেরী ৷
- পেইজ সংখ্যাঃ ১৪৪টি ৷
- ক্যাটাগরিঃ ইসলামি আমল ও আমলের সহায়িকা বই ৷
- হার্ডকপি দামঃ ১৫১ টাকা মাত্র(রকমারিতে) [ নিচ থেকে হার্ডকপি ক্রয় করুণ ]
সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ-ইমাম গাজ্জালী রহঃ
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ইসলামের একটি অন্যতম আমল। এই আমলের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্যই পৃথিবীতে আম্বিয়া আলাইহিমুসসালামগণের আগমন ঘটেছে। তাঁরা আমরে বিল মা’রূফ ও নেহী আনিল মুনকার তথা “সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ” এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহ পাকের বিধান মানুষের নিকট পৌছে দিয়েছেন। পৃথিবীতে নবীগণের আগমনের ধারা বন্ধ হইয়ে যাওয়ার পর এই দায়িত্ব ওলামায়ে কেরামের উপর অর্পিত হয়েছে।
মুসলমানদের দ্বীন ও ঈমানের প্রশ্নে এই আমলের আবশ্যকতা কতটা গুরুত্ববহ এই প্রসঙ্গে কেবল এতটুকু বলাই যথেষ্ট হতে পারে যে, মানুষ যদি অবহেলা বশে এই আমল পরিত্যাগ করে, তবে দুনিয়াতে নবীগণের আগমনের উদ্দেশ্য ব্যহত হয়ে দ্বীনের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং সমাজ জীবনের প্রতিটি স্তরে চরম অবক্ষয় ও গোমরাহী ছড়িয়ে পড়বে। দ্বীনের এই আহাম ও গুরুত্বপূর্ণ আমলের অনুপস্থিতির কারণে মানুষ ক্রমে আল্লাহর বিধান হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাপাচার-অনাচার ও ফেৎনা-ফাসাদের কঠিন তমসায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মানুষের অপরাধ অনুভূতি লোপ পেয়ে এমন এক অবস্থা সৃষ্টি হবে যে, মানুষ আল্লাহ পাকের অসংখ্য নাফরমানী করার পরও এটিকে কোন অপরাধই মনে করিবে না।
বর্তমান সময়ে সম্ভবতঃ আমাদের সেই আশংকাই বাস্তবে প্রমাণিত হইতেছে। দ্বীনের এই বুনিয়াদী আমল সম্পর্কে মানুষের ধারণা ক্রমেই লোপ পাইতেছে এবং কালক্রমে মানুষ ইহার আমল একেবারেই পরিত্যাগ করিতে বসিয়াছে। মানুষ এখন সৃষ্টিকর্তা খালেকের বন্দেগী ত্যাগ করিয়া মানুষেরই গোলামী করিতে শুরু করিয়াছে। দ্বীনের ছহী সমঝ ও আমল হইতে দূরে সরিয়া পড়ার কারণেই মানুষের স্বভাব-প্রকৃতি এখন চতুস্পদ জন্তুর নিকৃষ্টতাকেও হার মানাইতেছে। ভূ-পৃষ্ঠে এমন সত্যিকার ঈমানদার নিতান্ত দুর্লভ হয়ে পড়তেছে ৷
যারা সব রকম বাঁধা-বিপত্তি ও প্রতিকুলতা উপেক্ষা করিয়া আল্লাহ পাকের বিধানের উপর কায়েম থাকিতে সচেষ্ট হইবে। এহেন নাজুক সময়ে যাহারা সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে দ্বীনের হাল ধরিয়া মানুষের মাঝে আবারো নবীওয়ালা আমল জারীর মেহনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করিবে, তাহারা আল্লাহ পাকের পক্ষ হইতে মহান পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করিবে।
আদেশ ও নিষেধের শর্ত
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের গোটা আমলটি মোটামুটি চার ভাগে বিভক্ত-
- ১. মুহতাসিব (আদেশ ও নিষেধকারী)।
- ২. মুহতাসিব আলাইহি (যাকে আদেশ ও নিষেধ করা হয়)।
- ৩. মুহতাসিব ফীহি (যেই বিষয়ে আদেশ ও নিষেধ করা হয়)।
- ৪. ইহতিসাব (স্বয়ং আদেশ ও নিষেধ)।
প্রথম শর্তঃ মুকাল্লাফ হওয়া
মুহতাসিব তথা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধকারীর প্রথম শর্ত হইল “মুকাল্লাফ” বা শরীয়তের বিধিবিধান পালনে যোগ্য হওয়া। অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধসম্পন্ন হওয়া। কেননা, “গায়রে মুকাল্লাফ” তথা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও বোধহীন ব্যক্তির পক্ষে শরীয়তের বিধান পালন করা জরুরী নহে। এখানে স্মরণ রাখিবার বিষয় হইল, এই পর্যায়ে যেই শর্তের কথা বলা হইতেছে, তাহা ওয়াজিব হওয়ার শর্ত- কেবল জায়েজ হওয়ার নহে। অর্থাৎ একজন বোধসম্পন্ন ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের উপর আমল করা জরুরী। এই কারণেই এই কাজের জন্য বোধসম্পন্ন হওয়া আবশ্যক। কেননা, একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তির পক্ষেই এই কাজ আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব। তো এই কাজের জন্য বালেগ ও প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া জরুরী নহে।
সুতরাং যেই বালক ভাল মন্দের জ্ঞান রাখে সে মুকাল্লাফ না হইলেও তাহার পক্ষে অসৎ কাজের নিষেধ করা জায়েজ। যেমন শরাবের পাত্র মাটিতে ঢালিয়া দেওয়া বা খেলাধুলার সামগ্রী ভাঙ্গিয়া ফেলা ইত্যাদি। এইরূপ করিলে সে ছাওয়াবের পাত্র হইবে এবং এই কাজে তাহাকে বাধা দেওয়া জায়েজ হইবে না। অর্থাৎ তাহাকে এইরূপ বলিয়া বারণ করা যাইবে না যে, “তুমি তো এখনো মুকাল্লাফ নও, সুতরাং কি কারণে তুমি অসৎ কাজের নিষেধ করিতেছ?” কারণ এই যোগ্যতা তাহার মধ্যে ঈমানের কারণে হাসিল হইয়াছে- প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সুবাদে নহে। সুতরাং তাহার পক্ষে বড়দের মতই কোন কাফেরকে হত্যা করা এবং তাহার অস্ত্র ও মালামাল ছিনাইয়া লওয়া জায়েজ। তবে শর্ত হইল এই কাজে যেন কোনরূপ প্রতিকূল অবস্থার শিকার হওয়ার আশংকা না থাকে।
সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ PDF ইমাম গাজ্জালী রহঃ এর বই
Join Telegram Channels
ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার
"ঘরে বসে আয় করুণ"