ssc physics book pdf download from Pdfporo.
নবম-দশম শ্রেণি প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজকে তোমাদের জন্য নিয়ে আসলাম বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বই পিডিএফ । তোমরা অনেকে আছো যারা বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বইটি খুঁজেছিলে ৷ তাই তোমাদের কথা মাথায় রেখে বইটির পিডিএফ নিয়ে হাজির হলাম ৷ তাই আর দেরি না করে এখনই বইটি নিচ থেকে নামিয়ে নিন ৷
ssc physics book pdf
বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান ( Science and Physics ) বিজ্ঞান বলতেই হয়তো তোমাদের চোখে বিজ্ঞানের নানা যন্ত্রপাতি , আবিষ্কার , গবেষণা , ল্যাবরেটরি এসবের দৃশ্য ফুটে ওঠে কিন্তু বিজ্ঞানের আসল বিষয় কিন্তু যন্ত্রপাতি , গবেষণা বা ল্যাবরেটরি নয় , বিজ্ঞানের আসল বিষয় হচ্ছে তার দৃষ্টিভঙ্গি ।
এই সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে বিজ্ঞান আর সেটি এসেছে পৃথিবীর মানুষের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে । আমাদের চারপাশে প্রকৃতির যে রহস্য রয়েছে বিজ্ঞান তার উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে- কারো কারো মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই অকারণ কৌতূহল ? না জানলে কী হয় ? মানুষ যেদিন তার মস্তিষ্কে বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তার দুই পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই দিন থেকে তার কিন্তু আর পেছনে ফিরে যাবার উপায় নেই , বেঁচে থাকার জন্য তাকে জানতেই হবে ।
ssc physics book pdf bangla
জানার এই আগ্রহ , এই তাড়না মানুষকে সৃষ্টি জগতের অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে রেখেছে । বিজ্ঞানকে জানার তিনটি সুনির্দিষ্ট পথ রয়েছে , প্রথমটি হচ্ছে যুক্তি তর্ক । একটা উদাহরণ দেয়া যাক : একটা ভারী জিনিস আরেকটা হালকা জিনিস ওপর থেকে ছেড়ে দিলে দুটো কি একসাথে পড়বে নাকি ভারীটা আগে পড়বে ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার জন্য কিন্তু কোনো বৈজ্ঞানিক সূত্রেরও প্রয়োজন নেই , কোনো জটিল পরীক্ষা – নিরীক্ষারও দরকার নেই , আমরা শুধুমাত্র মুক্তি দিয়ে এর উত্তরটা খুঁজে বের করে ফেলতে পারব ।
মাধ্যমিক পদার্থ বিজ্ঞান বই pdf download
ধরা যাক আমার কাছে একটা ভারী আর একটা হালকা জিনিস রয়েছে । এবারে প্রথমে ধরে নিই ওপর থেকে ছেড়ে দিলে ভারী জিনিসটা হালকা জিনিস থেকে আগে নিচে এসে পড়ে । এখন ভারী জিনিসটার সাথে হালকা জিনিসটা বেঁধে দুটো একসাথে ছেড়ে দেয়া হলে , হালকা জিনিসটা যেহেতু ধীরে ধীরে পড়বে তাই ভারী জিনিসটাকে সেটা এত তাড়াতাড়ি পড়তে দেবে না কাজেই বেঁধে রাখা দুটো জিনিস একটু দেরি করে পড়বে ।
ssc physics books pdf free download
বিষয়টা আবার অন্যভাবে দেখতে পারি , ভারী জিনিসটার সাথে আরো একটা জিনিস বেঁধে দেয়া হয়েছে তাই সেটা নিশ্চয়ই আরো ভারী হয়েছে— কাজেই আরো ভারী হিসেবে আরো তাড়াঙ্গুড়ি পড়বে । কাজেই দেখা যাচ্ছে , আমরা একই সাথে আরো ধীরে কিংবা আরো তাড়াতাড়ি দুটো উত্তরই পেতে পারি কিন্তু এক প্রশ্নের তো দুই উত্তর হওয়া সম্ভব না !
এই জটিলতার সমাধান করা সম্ভব শুধু একটি উপায়ে আমরা যদি ধরে নিই , ভারী হোক হালকা হোক সব কিছু একসাথে নিচে পড়ে । তার মানে শুধু মাত্র যুক্তি তর্ক দিয়ে আমরা বিজ্ঞানের একটা সমস্যার সমাধানটা খুঁজে পেয়ে গেলাম ! বিজ্ঞানকে জানার দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে পর্যবেক্ষণ । আমরা যদি আকাশের দিকে তাকাই আর আকাশের নক্ষত্রগুলোকে মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব সব নক্ষত্র পুব আকাশে উঠে পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে ।
এস এস সি পদার্থ বিজ্ঞান গাইড pdf download
আমাদের ধারণা হতে পারে আসলেই বুঝি তাই ঘটছে , অর্থাৎ স্থির একটা পৃথিবীর চারপাশে নক্ষত্রগুলো ঘুরছে । কিন্তু যদি আরো ভালো করে নক্ষত্রগুলোকে পর্যবেক্ষণ করি তাহলে অবাক হয়ে দেখব উত্তর দিকে দিগন্ত থেকে উপরে একটা নক্ষত্র ( ধ্রুবতারা ) কখনো ঘোরে না , সেটা এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে , আর অন্য সব নক্ষত্র আসলে এটাকে কেন্দ্র করে ঘোরে ( ছবি 1.1 ) আমরা তখন হঠাৎ করে বুঝতে পারি যে আসলে পৃথিবীর অক্ষটা ঠিক এই ধ্রুবতারা বরাবর এবং পৃথিবীটাই নিশ্চয়ই এই অক্ষে ঘুরছে তাই মনে হচ্ছে সব কিছু বুঝি ধ্রুবতারাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে ।
শুধুমাত্র পর্যবেক্ষণ করে আমরা বিজ্ঞানের একটা তথ্য বের করে ফেলতে পারি । বিজ্ঞানকে জানার তৃতীয় পদ্ধতিটি হচ্ছে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করা । নিউটন সবচেয়ে সুন্দর করে এটা করে দেখিয়ে বিজ্ঞান গবেষণার নূতন একটা ধারা তৈরি করেছিলেন ।