Surah Yaseen PDF | সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ PDF: কুরআনের প্রাণ হলো সূরা ইয়াসীন। কারণ এ সূরায় কুরআনী জীবনাদর্শের মৌলিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং এ সূরাটি বার বার পাঠ করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। যেনো মানুষ হিদায়াত পায়, জান্নাতে ফিরে যাওয়ার সোজা রোডম্যাপটি পেয়ে যায়। যেনো মানুষ আল্লাহ্র মনোনীত জীবনাদর্শ পায়। প্রিয়ো ভাই-বোনেরা অনেকেই আছেন, সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ PDF খুজছেন ৷ তাদের জন্য এই পোষ্ট ৷ আশা করি উপকৃত হবেন ৷
সূরা ইয়াসিন | Surah Yaseen
আল কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি। এ কুরআনে জান্নাতে যাওয়ার সহজ সরল পথের রোডম্যাপ রয়েছে। এ রোডম্যান অনুসরণ করলে একেবারে সোজা জান্নাতে ফিরে যাওয়া যায়। পথভ্রষ্ট হওয়া বা পথভ্রষ্ট হয়ে বিপদে পড়ার কোন ভয় থাকে না। নিশ্চিন্তে জান্নাতে যাওয়া যায়। অর্থাৎ কুরআনের জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে দুনিয়াতেও শান্তি পাওয়া যায়, আখিরাতেও জাহান্নামে যাওয়ার ভয় থাকে না। বরং জান্নাতে অনন্তকালীন শান্তির জীবন নিশ্চিত হয়।
সূরা ইয়াসিনকে কুর’আনের আত্মা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। পবিত্র কুর’আনে মহান আল্লাহ শপথ নিয়েছেন যে তিনিটি সূরায় তার অন্যতম হল সূরা ইয়াসিন।
সূরা ইয়াসিনে অনেক বৈজ্ঞানিক ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে মূলত জীবন ও জগতকে বুঝাবার জন্য। জগত ও জীবনের উৎপত্তি, বিকাশ থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের শেষ অবধি কোন কিছুই বাদ যায়নি এই সূরাতে। এখানে যাবতীয় বৈজ্ঞানিক ঘটনার বিবরণ রয়েছে। অথচ অধিকাংশ লোকই বিজ্ঞান ও কুর’আনের জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে সূরা ইয়াসিনকে বুঝে উঠতে পারে না।
তাই এই সূরার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব যেমন অত্যধিক তেমনি মানব জীবনের ক্ষেত্রে এর তাৎপর্যও অধিক। এই সূরার শুরুতেই মহান আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনকে বিজ্ঞানময় বলে ঘোষণা করেছেন, ‘ইয়াসিন অল কুরআনিল হাকিম’ সম্বোধনের মাধ্যমে। সূরাতে ‘জ্ঞানগর্ভ কুর’আন’ থেকে শুরু করে মানুষের সৃষ্টি, আকাশ জমিনের সৃষ্টি, জীবজন্তু ও অন্যান্য জানা, অজানা জিনিসের সৃষ্টিসহ আল্লাহর নিদর্শন, আল্লাহর অপরিসীম ক্ষমতা (তিনি যখন কোন ঘটনার জন্য বলেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়), মানব জীবনের ধাপগুলো, মানুষকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য আল্লাহর ব্যবস্থাদি, রোজ কিয়ামতে মানুষের কর্মের হিসাব নিকাশ ও সাক্ষ্য, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, আল্লাহর একত্ববাদ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে।
সূরা ইয়াসীন পাঠ করার দুটি দিক আছে। প্রথম, সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করা, বা শুধু পাঠ করা, যাতে এর অর্থ বা মর্ম বুঝার চেষ্টা নেই। দ্বিতীয়, সূরাটিতে আল্লাহ কি বলেছেন, তা বুঝার চেষ্টা করা। আসলে এর মাধ্যমেই এ সূরা থেকে হিদায়াত ও আদর্শ পাওয়া সম্ভব। অর্থ ও মর্ম না বুঝলে তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে বটে, কিন্তু তা থেকে জান্নাতে ফিরে যাওয়ার আসল দিক-নির্দেশনা বা রোডম্যাপ পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ
- বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ সূরা মূলক পিডিএফ ৷
- সূরা ওয়াকিয়া বাংলা উচ্চারণসহ পিডিএফ ৷
- সূরা বাকারা তাফসীর পিডিএফ ৷
- আল কুরআন বাংলা পিডিএফ ৷
- আল কুরআনের তাফসীর পিডিএফ ৷
- আর রাহীকুল মাখতুম পিডিএফ(নবীজী সাঃ জীবনী)
সূরা ইয়াসিন এর ফজিলত
নবী কারীম (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি প্রাণ আছে আর আল কোরআনের প্রাণ হলো সুরা ইয়াসিন। যে ব্যক্তি সুরা ইয়াসিন একবার পড়বে আল্লাহ তাআলা তাকে দশবার পুরো কোরআন পড়ার সওয়াব দান করবেন। (তিরমিজী, হাদীস-২৮৮৭)
সূরা ইয়াসিন বাংলা উচ্চারণ সহ PDF | Surah Yaseen PDF
অনেক পাঠক বন্ধুরা আছেন, যারা আল কুরআনের অন্যতম ফযীলতপূর্ণ সূরা(সূরা ইয়াসিন) এর বাংলা উচ্চারণসহ পিডিএফ চান ৷ আবার কেউ আছেন বাংলা অর্থসহ ইয়াসিন সূরার পিডিএফ ৷ তাই সবার কথা মাথায় রেখে সূরাটির বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ দুটোই পিডিএফ আকারে দেওয়া হয়েছে ৷ নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন ৷ ডাউনলোড করে রেখে দিলেই হবে না, নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়ার জন্য শেয়ার করুন ৷ ধন্যবাদ সবাইকে ৷
সূরা ইয়াসিন নিয়ে কিছু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নঃ
-
সূরা ইয়াসিন অর্থ কি?
উত্তরঃ সূরা ইয়াসিন অর্থ হলো ইয়াসিন ৷ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, ইয়াসীন দ্বারা আল্লাহ্ শপথ করেছেন, যা আল্লাহর একটি নাম বুজায় ৷ উনার অন্য বর্ণনায় এর অর্থ: হে মানুষ রয়েছে।(তাফসীরে জাকারিয়া)
-
সূরা ইয়াসিন আল কুরআনের কততম সূরা?
উত্তরঃ সূরা ইয়াসিন আল কুরআনের ৩৬তম সূরা ৷
-
সূরা ইয়াসিন কত আয়াত?
উত্তরঃ ইয়াসিন সূরার আয়াত সংখ্যা হলো ৮৩ ৷
-
সূরা ইয়াসিন কত পারায়?
উত্তরঃ সূরা ইয়াসিন কুরআনের ২২ এবং ২৩ পারায় আছে ৷
-
ইয়াসিন সূরার রুকুর সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ পাঁচটি(৫) ৷
-
কোন সূরাকে কুরআনের অন্তর বলা হয়?
উত্তরঃ ইয়াসিন সূরাকে কুরআনের অন্তর বা হৃদয় বা দিল বা হৃদপিণ্ড বলা হয় ৷
-
সূরা ইয়াসিন এর এমন একটি আয়াত আছে যেটা জিকির করলে জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়ে যায়! আয়াতটি কি?
উত্তরঃ আয়াত—“সালামুন কাওলাম মীর রাব্বীর রাহীম”(আয়াত নং:৫৮)