রমজানে তাকওয়া অর্জনের উপায় pdf download -শায়খ আহমদ মুখতার বই

5/5 - (1 vote)

ramjane taqwa orjoner upay | রমজানে তাকওয়া অর্জনের উপায় pdf download: বই তাকওয়া অর্জনের উপায় | লেখক শায়খ আহমদ মুখতারশায়খ রামি ফারিদ | অনুবাদক মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী | প্রকাশনী মাকতাবাতুল আযহার | রোযা/সিয়াম বিষয়ক বই | পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড Google Drive.

রমজানে তাকওয়া অর্জনের উপায় pdf download

বই রিভিউঃ

বইঃরমজানে তাকওয়া অর্জনের উপায় ৷
লেখকঃশায়খ আহমদ মুখতারশায়খ রামি ফারিদ
অনুবাদকঃমুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী
প্রকাশনীঃমাকতাবাতুল আযহার
ফরম্যাটঃপিডিএফ ফাইল(PDF)
ক্যাটাগরিঃঅনুবাদ উপন্যাস বই PDF ৷

রমজানে তাকওয়া অর্জনের উপায় pdf download

রমজানঃ-

রামাযান মাস মুমিনের জন্য মাসব্যাপী এলাহী প্রশিক্ষণের মাস। ছিয়ামের মাধ্যমে আল্লাহভীরুতা অর্জন যার মুখ্য উদ্দেশ্য। যার আল্লাহভীরুতা যত বেশী হবে, তার আত্মশুদ্ধিতা তত বেশী অর্জিত হবে। মনোজগত পরিশুদ্ধ হ’লে কর্মজগত পরিশুদ্ধ হবে।

আল্লাহ্র হুকুমে মানুষ দুনিয়ায় এসেছে, আল্লাহ্ হুকুমে সে দুনিয়া থেকে চলে যাবে। আল্লাহ্র হুকুম মেনেই সে দুনিয়ায় বসবাস করবে। এটাই আল্লাহ্র কাম্য। জিন ও ইনসান ব্যতীত অন্য সকল সৃষ্টি এটা মেনে চলে বাধ্যগতভাবে।

কিন্তু মানুষ এটা মেনে চলে তার ইচ্ছা অনুযায়ী। কেননা মানুষের দেহজগত বাধ্য হ’লেও তার জ্ঞানজগতকে আল্লাহ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তিনি তাকে ভাল-মন্দ নির্দেশ দিয়ে যুগে যুগে এলাহী হেদায়াত সমূহ পাঠিয়েছেন নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে।

অতঃপর শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মাধ্যমে আল্লাহ মানব জাতির কল্যাণের জন্য ইসলামকে তাঁর সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ দ্বীন হিসাবে প্রেরণ করেছেন। সে লক্ষ্যে রামাযান মাসের কন্দর রজনীতে মানুষের পথপ্রদর্শক হিসাবে এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী মানদণ্ড হিসাবে নুযূলে কুরআনের শুভ সূচনা করেছেন।

সেই সাথে স্বীয় রাসূলের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা নাযিল করেছেন ও তাঁর মাধ্যমে হাতে-কলমে দ্বীন বাস্তবায়ন করেছেন।

সত্যিকারের আল্লাহভীরুতা মানুষকে শয়তানের অনুসরণ থেকে মুক্তি দেয়। সে সর্বদা হকপন্থী থাকে। বাতিলের সঙ্গে আপোষ করে না। যেপথে আল্লাহ খুশী হন, সেপথে সে দৃঢ় থাকে। সেকারণ শয়তান সর্বদা তার অন্তরে সন্দেহের খটকা সৃষ্টি করে। যাতে সে সত্যচ্যুত হয় ও মিথ্যার অনুসারী হয়।

তাই শয়তানের খপ্পর থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে মুমিনের উপর আল্লাহ বছরের একটি মাস রামাযানের ছিয়াম ফরয করে দিয়েছেন তাক্বওয়ার অনুশীলনের জন্য। এই সাথে সারা বছর নফল ছিয়াম সমূহের মাধ্যমে মুমিনের মধ্যে প্রতিনিয়ত আল্লাহভীরুতার প্রশিক্ষণ চলে ।

রামাযানের একমাস আল্লাহভীরুতার অনুশীলন তাকে পরবর্তী মাস সমূহে সঠিক পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। এভাবে জীবন নদীর উত্তাল তরঙ্গে তাক্বওয়ার নোঙর মুমিনকে সর্বদা আল্লাহ্র আনুগত্যে দৃঢ় রাখে। হাযারো তরঙ্গাভিঘাতে সে জান্নাতের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয় না ।

আল্লাহ আমাদেরকে সর্বদা তাঁর রহমতের মধ্যে বেষ্টিত রাখুন এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা হ’তে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন- আমীন!

তাকওয়া কী?

ভাষাগতভাবে তাকওয়া কথাটার অর্থ হচ্ছে : ধৈর্য; ভয় ও নিবৃত্তি; পরিহার করে চলা । কিন্তু ইসলাম ধর্মে এর অর্থটা ভিন্ন মাত্রার। সেখানে তাকওয়া হলো হৃদয়ের এমন একটা অবস্থা যেখানে আল্লাহর স্মরণ সদা উপস্থিত থাকে, যা তাকে আমলে সলেহা (সৎকাজ) করতে উৎসাহিত করে এবং একই সংগে আমলে সাইয়েআহ (অসৎকাজ) করতে নিষেধ করে । তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর রোষ ও শাস্তির বিরুদ্ধে ঢালস্বরূপ ।

‘তাকওয়া’ মূলতঃ মানুষের একটি অভ্যন্তরীণ গুণ বিশেষ । যে মানসিক অবস্থা মানুষকে আল্লাহর ক্রোধ উদ্রেককারী ও অসন্তোষজনক কাজ হতে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে, তাকেই বলা হয় ‘তাকওয়া’ । এই গুণ যার মনে ফুটে উঠবে, তার আলোক-প্রভা সমগ্র জীবনকে উদ্ভাসিত করে তুলবেই ।

কিন্তু এটা উপস্থিত না থাকলেও বাহ্যিক তাকওয়া যতই পরিলক্ষিত হোক, তা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র – তা অন্তঃসারশূন্য । এইরূপ তাকওয়া না আল্লাহর হক রক্ষা করতে পারে, না পারে মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির হক রক্ষা করতে ।

মনের অভ্যন্তরীণ এই গুণ যখন দুর্বল হয়, তখন আমলের মধ্যে বিপর্যয় শুরু হয়ে যায়। আর মুসলিম উম্মাহর বিভ্রান্ত ও বিপর্যস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ এটাই । কাজেই এর সংশোধন ও পুনর্গঠনের জন্য এই গুণটি (আল্লাহকে ভয় করার মনোভাব) সকলের মনে প্রতিষ্ঠা করা একান্ত আবশ্যক ।

পোশাক মানুষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যকীয় একটি বস্তু, কিন্তু তাকওয়া মানুষের বাহ্যিক পোশাকের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কাপড়ের পোশাকের মাধ্যমে মানুষ তার শরীর আবৃত করে, সতর ঢাকে এবং বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর তাকওয়ার পোশাকের মাধ্যমে মানুষ তার অন্তরকে আবৃত করে, তার হৃদয়-মনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

Download Now তাকওয়া অর্জনের উপায় PDF

(বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ লিংক)

       

Last updated: