উমরাহ কীভাবে করবেন PDF Download -শায়খ আহমাদুল্লাহ বই PDF

5/5 - (1 vote)

উমরাহ কীভাবে করবেন PDF, অনেকে ভাইবোন এই গুরুত্বপূর্ণ বইটি অনলাইনে খুজে থাকেন ৷ বইটির লেখক শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং এটি প্রকাশিত হয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ৷ বাজারে হজ গাইডগুলোতে যৌথভাবে হজ ও উমরাহ সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়। এ কারণে যারা শুধু উমরাহ সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য উমরাহর পদ্ধতি নিয়ে একটি ছোট পুস্তিকা হিসেবে এই বইটি পড়তে পারেন ৷ তাই যারা উমরাহ কীভাবে করবেন -শায়খ আহমাদুল্লাহ বই PDF নিতে চান তাদের জন্য আজকের পোষ্ট ৷

উমরাহ কীভাবে করবেন PDF Download -শায়খ আহমাদুল্লাহ বই PDF

বই বিবরণঃ উমরাহ কীভাবে করবেন?

  • বইঃ উমরাহ কীভাবে করবেন?
  • লেখকঃ শায়খ আহমাদুল্লাহ ৷
  • প্রকাশনীঃ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ৷
  • ক্যাটাগরিঃ হজ্জ ও উমরাহ বিষয়ক বই ৷
  • পেইজ সংখ্যাঃ ৩২টি ৷

সূচিপত্রঃ উমরাহ কীভাবে করবেন?

উমরাহ অর্থ
উমরাহর মাধ্যমে গুনাহ মাফ ও অভাব দূর হয়
রমাদানে উমরাহ নবীজির (সা.) সাথে হজের সমতুল্য
উমরাহর ধারাবাহিক বর্ণনা
ইহরাম
তালবিয়াহ
ইহরামের পর যা নিষিদ্ধ
তাওয়াফ
সাঈ১৩
মাথা মুণ্ডন করা বা চুল ছাঁটা১৫
উমরাহ শেষে অবশিষ্ট দিনগুলো যেভাবে কাটাবেন১৬
মদীনা যিয়ারত১৭
মদীনায় কী কী কাজ করবেন১৭
ব্যাপক অর্থবোধক কয়েকটি দোয়া২১
উমরাহর ইনফোগ্রাফি৩২

উমরাহ অর্থ

উমরাহ শব্দের মূলে আছে যিয়ারত ও আবাদ করার অর্থ। উমরাহকারী যেহেতু যিয়ারতের মাধ্যমে মসজিদুল হারামকে আবাদ করে থাকেন, সেজন্য এটাকে উমরাহ বলা হয়।

উমরাহর মাধ্যমে গুনাহ মাফ ও অভাব দূর হয়

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, এক উমরাহ অন্য উমরাহ পর্যন্ত মধ্যবর্তী (সগিরা) গুনাহসমূহের কাফফারা। আর মাবরুর হজের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত।

অপর বর্ণনায় তিনি বলেন, তোমরা বার বার হজ ও উমরাহ আদায় করো, কেননা এ দুটো দরিদ্রতা ও গুনাহকে এমনভাবে দূর করে দেয়, যেভাবে কামারের হাপর লোহা ও স্বর্ণ-রূপার ময়লাকে দূর করে।

রমাদানে উমরাহ নবীজির (সা.) সাথে হজের সমতুল্য

আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় রমাদান মাসের উমরাহ একটি হজ বা আমার সাথে আদায় করা হজের সমান।

উমরাহর ধারাবাহিক বর্ণনা

উমরাহ খুব-ই সহজ একটি ইবাদত। উমরাহর মৌলিক কাজ মোট চারটি। ইহরাম, তাওয়াফ, সাঈ এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা।

ইহরাম

ইহরামের মাধ্যমে উমরাহর কার্যক্রমে প্রবেশ করতে হয়। ইহরাম শব্দের অর্থ কোনো বস্তু বা কাজকে হারাম করা। যেহেতু ইহরামের পর থেকে উমরাহ সমাপনের আগ পর্যন্ত অনেক বৈধ কাজও হারাম হয়ে যায়, সেজন্য এটাকে ইহরাম বলা হয়। মক্কার চতুর্দিকে পাঁচটি মীকাত-নির্দিষ্ট স্থান আছে; উমরাহকারীর জন্য যে স্থানগুলো ইহরামসহ অতিক্রম করা আবশ্যক।

ইহরাম হলো মীকাত থেকে গোসল করে সেলাইবিহীন পোশাক পরে উমরাহ শুরুর নিয়ত করা। ইহরামের সময় শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নাহ; কাপড়ে নয়। উত্তম হলো মীকাত থেকে ইহরাম পরিধান করা। তবে ইহরামের বিধি-নিষেধ যথাযথ রক্ষা করতে পারলে মীকাতের আগেও ইহরাম পরা যাবে।

ইহরামের নিয়ম হলো, চুল, নখ কেটে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার ও গোসল করে; এককথায় পরিপাটি হয়ে পুরুষরা সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় (এক টুকরো লুঙ্গির মতো, আরেক টুকরো চাদরের মতো) পরিধান করা এবং উমরাহ বা হজের নিয়ত করা।

আর মহিলারা সেলাই করা সাধারণ পোশাকেই থাকবেন। তবে দুই হাতের কব্জি ও মুখমণ্ডল খোলা রাখবেন।৬ অবশ্য গায়রে মাহরাম পুরুষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে মাথার ওড়না টেনে মুখ ঢেকে দেবেন। হাত কাপড়ের ভেতরে নিয়ে নেবেন অবশ্য চাইলে পায়ের মতো হাতমোজাও পরতে পারেন।

অনেকে মাথায় ক্যাপ দিয়ে তার উপর ওড়না টেনে ঝুলিয়ে দেন, কিংবা ক্যাপের সাথে হিজাব সংযুক্ত করেন। তাতে পর্দাও হয়, আবার মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধাও হয় না। এই পদ্ধতিটাও বেশ সুন্দর। মনে রাখতে হবে, ইহরামের কাপড় পরিধান করাটাই ইহরাম নয়, বরং ইহরামের প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষে ইহরামের পোশাক পরে যখন উমরাহ আরম্ভের নিয়ত করবে তখনই ইহরাম করা হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

ইহরামের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর যখন উমরাহ আরম্ভের নিয়ত করবেন, তখন لَبَّيْكَ عُمْرَةً (লাব্বাইকা উমরাতান অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি উমরাহর জন্য হাজির হলাম) বলা সুন্নাহ। এরপর থেকে মসজিদুল হারামে প্রবেশের আগ পর্যন্ত পুরুষরা যথাসম্ভব উচ্চৈঃস্বরে আর মহিলারা অনুচ্চৈঃস্বরে তালবিয়াহ পাঠ করতে থাকবেন।

তালবিয়াহ

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ، وَالنِّعْمَةَ لَكَ، وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ

উচ্চারণ: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।

অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ, আমি উপস্থিত। আপনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি হাজির হয়েছি। আপনার কোনো শরীক নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই।

ইহরামের পর যা নিষিদ্ধ

ইহরামের পর থেকে উমরাহর শেষ কাজ (মাথা মুণ্ডন বা ছাঁটা) সম্পন্ন করার আগ পর্যন্ত বিশেষভাবে যে কোনো বিবাদ, পাপ এবং যৌন সংশ্লিষ্ট কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়া ইহরাম অবস্থায় অনেকগুলো কাজ নিষিদ্ধ। আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা। তবে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাবান বা সেনিটাইজার ব্যবহার করতে সমস্যা নেই। পুরুষের সেলাই করা পোশাক পরা। তবে ঘড়ি, বেল্ট, জুতা ও সাথে থাকা ব্যাগ ইত্যাদিতে সেলাই থাকলে সমস্যা নেই। মাথা এবং মুখমণ্ডল আবৃত করা। অবশ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য একান্ত প্রয়োজন হলে ফেস মাস্ক পরা যাবে চুল, নখ কাটা বা শরীরের লোম তোলা। শিকার করা এবং পোকা-মাকড়, কীট-পতঙ্গ এমনকি মশা হত্যা করা।

এ কাজগুলোর কোনো একটি করলে তাকে দম (মক্কায় ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা জবাই করে বণ্টন করে) দিতে হবে।

তাওয়াফ

মক্কায় পৌঁছার পর ফ্রেশ হয়ে মসজিদুল হারামের দিকে রওনা হতে হবে এবং তাওয়াফ শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যথারীতি তালবিয়া পাঠ করতে থাকবেন। মসজিদুল হারামে প্রবেশের সময় অন্য যেকোনো মসজিদের মতো বিসমিল্লাহ, দরূদ এবং মসজিদে প্রবেশের দোয়া পাঠ করতে হবে। উমরাহকারী ব্যক্তি মসজিদুল হারামে প্রবেশ করেই বাইতুল্লাহর তাওয়াফ আরম্ভ করবেন। এটাকে তাওয়াফে কুদূম (আগমনী তাওয়াফ) বা তাওয়াফে যিয়ারাহ (সাক্ষাৎমূলক তাওয়াফ) বলা হয়।

অন্যান্য সময় প্রবেশের পর দুখুলুল মাসজিদ আদায় করলেও উমরাহকারী প্রথমবার প্রবেশের পর সরাসরি তাওয়াফ আরম্ভ করবেন; দুখুলুল মাসজিদের পরিবর্তে এই তাওয়াফই যথেষ্ট হবে।

তাওয়াফ শব্দের অর্থ প্রদক্ষিণ করা। যেহেতু তাওয়াফকারী ব্যক্তি কা’বার চারপাশ প্রদক্ষিণ করেন সেজন্য এটাকে তাওয়াফ বলা হয়। তাওয়াফ উমরাহর ফরজ বা মূল কাজ। তাওয়াফের সময় ওজু থাকা জরুরি।

তাওয়াফ শুরুর আগে ‘ইদতিবা’ করে নিতে হবে। ইদতিবা হলো, চাদরের মতো গায়ে থাকা ইহরামের কাপড়ের ডান পাশ বগলের নিচে দিয়ে বাম কাঁধের উপর মুড়িয়ে রাখবেন। তাওয়াফ চলাকালীন কোনো সালাতের ওয়াক্ত হলে সেটাকে স্বাভাবিক করে নিয়ে সালাত আদায় করবেন। কেননা, হাদীসে সালাতের সময় কাঁধ খোলা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।..[বই থেকে সংগ্রহ]

..বইটিতে সবকিছু দলিল বা রেফারেন্স সহকারে রয়েছে ৷ পুরো বইটি পড়ুন ৷

উমরাহ কীভাবে করবেন — শায়খ আহমাদুল্লাহ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ

আরও ডাউনলোড করুণঃ- ২০+ উমরাহ করার নিয়ম বই PDF

আরও পড়ুন, শায়খ আহমাদুল্লাহ বই PDF

  1. রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সকাল সন্ধ্যার দু’আ ও যিকর বই PDF
  2. রমাদান প্ল্যানার PDF
  3. উমরাহ কীভাবে করবেন PDF
  4. সীরাত স্মারক-২০২১ PDF

Last updated: