গীবত ও চোগলখোরী মানবাত্মার এক সর্বনাশা ব্যাধি। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের ইহ জীবন ও পরকাল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেখক ইমাম গাযালী (র) গীবত বই পড়ুন এবং গীবত কী এবং গীবতের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ এবং ভয়াবহতা এবং বেঁচে থাকার উপায় জানতে পারবেন ৷

গীবত বই PDF | গীবত কী এবং গীবতের বিভিন্ন ক্ষেত্রসমূহ এবং বেঁচে থাকার উপায় জানতে বইটি পড়ুন
বইয়ের বিবরণ
- বইয়ের নামঃ গীবত ৷
- লেখকঃ ইমাম গাযালী (র), সাইয়েদ আবদুল হাই লাখনাবী (র) ৷
- প্রকাশনীঃ আহসান পাবলিকেশন ৷
- দামঃ ৬৯ টাকা(হার্ডকপি রকমারিতে)
- পেইজ সংখ্যাঃ ৯২ পেইজ ৷
- ক্যাটাগরিঃ ইসলামি বিধি-বিধান ও মাসআলা-মাসায়েল বই ৷
গীবত কি? এর ভয়াবহতা এবং এর থেকে বাঁচার উপায় জানতে এই পাঁচটি বই পড়ুন,,
গীবত বা পরনিন্দা
গীবত সামাজিক শান্তি বিধ্বংসী একটি ঘৃণ্য পাপ। আল কুরআনে গীবতকে আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। আর হাদীসে একে ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক অপরাধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অথচ আজকাল অপরের দোষ চর্চা যেন আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরের দোষ চর্চা করলে মনে হয় আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের কি যেন প্রয়োজনীয় কাজটি বাদ পড়ে গেছে। গীবত এত গোনাহের কাজ হওয়া সত্ত্বেও আমরা গীবত পরিত্যাগ করতে পারছি না, গীবত বর্জনের কোন চেষ্টাও করছি না। এর জন্য আমাদের অজ্ঞানতা, অসচেতনতা, অবহেলাই মূলত দায়ী। বিস্তারিত জানতে গীবত বই পড়ুন ৷
গীবত কী?
গীবত আরবি শব্দ। আভিধানিক অর্থ- অন্যের দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা, অসাক্ষাতের দুর্নাম করা, কুৎসা রটনা করা ইত্যাদি। গীবতের পরিচয় প্রসঙ্গে রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে এমন কিছু উল্লেখ করা যা শুনলে সে অপছন্দ করবে সেটাই গীবত। রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, “গীবত হচ্ছে, তুমি অপর ব্যক্তির এমন দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করছ যা প্রকৃতপক্ষেই তার মধ্যে বিদ্যমান আছে।” ইমাম গাজ্জালী বলেন, গীবত হচ্ছে তুমি তোমার ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি এমনভাবে উল্লেখ করলে তা যদি তার কানে পৌঁছে তবে সে তা অপছন্দ করবে। ইবনুল আসিরের মতে:
“কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উল্লেখ করা যা সে অপছন্দ করে তা প্রকাশ্যে হোক বা ইশারা ইঙ্গিতে হোক, তাই গীবত।”
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনীর মতে, গীবত হচ্ছে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির অনপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কথা বলা যা শুনলে সে চিন্তান্বিত হবে, তা সত্য হলেও। আর সে কথা মিথ্যা হলে তার নাম অপবাদ। আল্লামা রাগিব ইস্পাহানীর মতে, নিষ্প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তির দোষ প্রকাশ করা হচ্ছে গীবত।
বস্তুত কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার এমন দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা, যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হয়, এটাই গীবত বা পরনিন্দা। গীবত বাচনিক অথবা লেখনীর মাধ্যমে অথবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইশারা-ইঙ্গিতে কিংবা অন্য যে কোনো উপায়েই বর্ণনা করা হোক এবং সে ব্যক্তি মুসলিম অথবা অমুসলিম হোক সর্বাবস্থায় গীবত ঘৃণ্য কাজ। যদি এমন দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা হয়, যা ঐ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায় না, তবে তা মিথ্যা অপবাদ হিসেবে গণ্য হবে। যাকে কুরআনের পরিভাষায় বুহতান বলে।
আজকাল এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে কম-বেশি গীবত বা পরচর্চা হয় না। অবশ্য যারা এই পরচর্চার জড়িত তাদের কাছে গীবতের সংজ্ঞা একটু ভিন্নতর। যেমন তাদের মতে, কারো এমন কোনো দোষ বর্ণনা করাকে গীবত বলে, যা তার সামনে বলা সম্ভব নয়। অতএব, সামনে বর্ণনা করা যায় এমন দোষ-ত্রুটি বলাবলি করলে গীবত হয় না। অথচ রাসূলের (সা.) হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায় যে, কারো সামনে বলার মতো দোষ হোক কিংবা নাই হোক উভয় প্রকার দোষ-ত্রুটির চর্চাই গীবতের শামিল।
সমাজের কিছু লোক এ কথাও বলে যে, কারো মধ্যে যে দোষ নেই তাকে সেই দোষে দোষী বরাকে গীবত বলে। কিন্তু যে দোষ প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যে আছে তা বর্ণনা করলে গীবত হবে না। তাদের এ ধারণাটিও অমূলক। কেননা উপরের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানতে পারলাম পারলাম যে, যে দোষ বর্ণনা করা হচ্ছে তা যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে না থেকে থাকে তবে তা বুহতান (অপবাদ) আর যা গীবতের চেয়েও জঘন্য অপরাধ।
আজকের সমাজের অন্য একশ্রেণির মতে, যে দোষটি অন্যের জানা নেই, সে ধরনের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত। কিন্তু যা সকলে জানে, তা বর্ণনা করা গীবত হবে না। তাদের গীবত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে, এটা গীবত নয়। কেননা আমি যা বলছি, তা সবাই জানে। এটা গীবত হয় কী করে? আসলে এটাও তাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। কেননা দোষ প্রকাশিত হোক বা গোপন থাক সব ধরনের দোষ বর্ণনা করাই গীবত। বরং কারো গোপন দোষ বলে বেড়ালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুটো গুনাহ হবে। একটি গীবত করার গুনাহ, আর অন্যটি দোষ প্রচার ও প্রকাশ করার গুনাহ।
মাধ্যমে অথবা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ইশারা-ইঙ্গিতে কিংবা অন্য যে কোনো উপায়েই বর্ণনা করা হোক এবং সে ব্যক্তি মুসলিম অথবা অমুসলিম হোক সর্বাবস্থায় গীবত ঘৃণ্য কাজ। যদি এমন দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা হয়, যা ঐ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া যায় না, তবে তা মিথ্যা অপবাদ হিসেবে গণ্য হবে। যাকে কুরআনের পরিভাষায় বুহতান বলে।
আজকাল এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে কম-বেশি গীবত বা পরচর্চা হয় না। অবশ্য যারা এই পরচর্চার জড়িত তাদের কাছে গীবতের সংজ্ঞা একটু ভিন্নতর। যেমন তাদের মতে, কারো এমন কোনো দোষ বর্ণনা করাকে গীবত বলে, যা তার সামনে বলা সম্ভব নয়। অতএব, সামনে বর্ণনা করা যায় এমন দোষ-ত্রুটি বলাবলি করলে গীবত হয় না। অথচ রাসূলের (সা.) হাদিস থেকে স্পষ্ট জানা যায় যে, কারো সামনে বলার মতো দোষ হোক কিংবা নাই হোক উভয় প্রকার দোষ-ত্রুটির চর্চাই গীবতের শামিল।
সমাজের কিছু লোক এ কথাও বলে যে, কারো মধ্যে যে দোষ নেই তাকে সেই দোষে দোষী বরাকে গীবত বলে। কিন্তু যে দোষ প্রকৃতপক্ষে তার মধ্যে আছে তা বর্ণনা করলে গীবত হবে না। তাদের এ ধারণাটিও অমূলক। কেননা উপরের সংজ্ঞা থেকে আমরা জানতে পারলাম পারলাম যে, যে দোষ বর্ণনা করা হচ্ছে তা যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে না থেকে থাকে তবে তা বুহতান (অপবাদ) আর যা গীবতের চেয়েও জঘন্য অপরাধ। আজকের সমাজের অন্য একশ্রেণির মতে, যে দোষটি অন্যের জানা নেই, সে ধরনের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা গীবত।
কিন্তু যা সকলে জানে, তা বর্ণনা করা গীবত হবে না। তাদের গীবত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে, এটা গীবত নয়। কেননা আমি যা বলছি, তা সবাই জানে। এটা গীবত হয় কী করে? আসলে এটাও তাদের একটি ভ্রান্ত ধারণা। কেননা দোষ প্রকাশিত হোক বা গোপন থাক সব ধরনের দোষ বর্ণনা করাই গীবত। বরং কারো গোপন দোষ বলে বেড়ালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দুটো গুনাহ হবে। একটি গীবত করার গুনাহ, আর অন্যটি দোষ প্রচার ও প্রকাশ করার গুনাহ। বিস্তারিত জানতে গীবত বই পড়ুন ৷
গীবতের বিভিন্ন ধরন বা ক্ষেত্র
গীবতের ধরন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান। দৈনন্দিন জীবনে গীবতকে আমরা বিভিন্নভাবে লক্ষ্য করি। যেমন:
- মুসলমানের গীবত
এক মুসলমান অপর মুসলমানের গীবত করা সম্পূর্ণ হারাম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন: “তোমরা একে অপরের গীবত করো না। তোমরা কেউ কি তোমাদের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করো? আসলে তোমরা তা ঘৃণা করো।”
- অমুসলিম নাগরিকের গীবত
ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিকের গীবত করাও হারাম। কেননা অমুসলিম নাগরিক ইসলামী রাষ্ট্রে মান-মর্যাদা ও ইজ্জত-আবরু রক্ষার ক্ষেত্রে সমমর্যাদাসম্পন্ন। তাই এদের মান-সম্মানে আঘাত লাগে এরূপ গীবত করা হারাম।
- যুদ্ধরত অমুসলিম শত্রুর গীবত
ইসলামী আইন শাস্ত্রের গ্রন্থসমূহ থেকে জানা যায় যে, অমুসলিম শত্রুর গীবত করা জায়েয। তাফসিরে কাবিরে ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী সূরা হুজুরাতের ১২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন যে, কাফেরদের গীবত করা জায়েয। সম্ভবত তিনি কাফের বলতে যুদ্ধরত শত্রু কাফেরদেরকেই বুঝিয়েছেন। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাই সর্বাধিক পরিজ্ঞাত।
- জীবিত ব্যক্তির গীবত
জীবিত ব্যক্তির গীবত করাও হারাম। যা উপর্যুক্ত তিন প্রকারের বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
- দৈহিক কাঠামোর গীবত
- পোশাক-পরিচ্ছদের গীবত
- বংশের গীবত
- অভ্যাস ও আচার-আচরণের গীবত
- ইবাদতের গীবত
- গুনাহের গীবত
- মুখের গীবত
- ইশারা-ইঙ্গিতে গীবত
- সরাসরি কিংবা অভিনয়ের মাধ্যমে গীবত
- কানের গীবত
- অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গীবত
গীবত বই PDF ইমাম গাযালী (র.) বই
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]Join Telegram Channels

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

"ঘরে বসে আয় করুণ"