গাজওয়াতুল হিন্দ(Ghazwatul Hind) হচ্ছে ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা:) একটি ভবিষ্যদ্বাণী। যেখানে উল্লেখ আছে, ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে, যাতে মুসলমানদের বিজয় ঘটবে। ইসলামের বেশ কিছু হাদিসে, মুহাম্মদ (সা:) গাজওয়াতুল হিন্দের ভবিষ্যৎবাণী করেছেন।

গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে কিছু বই
[ বইগুলোর হার্ডকপি এবং পিডিএফ নিচে দেখুন ]
বইঃ গাজওয়াতুল হিন্দ কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে
- লেখকঃ ড. আইমান সাদীদ ৷
- সম্পাদনায়ঃ মাওলানা আবু মুসআব হাফিজাহুল্লাহ ৷
- প্রকাশনীঃ আর রিহাব পাবলিকেশন ৷
গাযওয়াতুল হিন্দ ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় উজ্জ্বল অধ্যায়। ঈসা আলাইহিস সালাম -এর আগমনের পূর্বেই কাঙ্ক্ষিত মোবারক “গাযওয়াতুল হিন্দ”-এর সূচনাঘন্টা বাজবে।
অপরদিকে দ্বীনি বুনিয়াদ এবং শরয়ী উসুল বা মূলনীতিসমূহ নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করলে এবিষয় সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাস্তবেই গাযওয়াতুল হিন্দ এক দিক থেকে নববি গাযওয়াহ্ এবং সারিয়া সমূহেরও অন্তর্ভুক্তও বটে।
গাযওয়া দুই প্রকার
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গাযওয়াহসমূহ সংগঠিত হওয়ার দিক থেকে দুটি বৃহৎ ভাগে বিভক্ত।
১. “গাযওয়ায়ে ওয়াকিআহ্”।
2 “গাযওয়ায়ে মাওইদাহ্”।
১. “গাযওয়ায়ে ওয়াকিআহ বা অতীতে সংগঠিত গাযওয়াহসমূহ।
বইঃ গাজওয়াতুল হিন্দ ধেয়ে আসছে কি?
- লেখকঃ মোঃ সাইফুল আনোয়ার ৷
- প্রকাশনীঃ লোকমান প্রকাশনী ৷
গাজওয়াতুল হিন্দ ইসলামের ইতিহাসে এক গৌরবময় উজ্জ্বল অধ্যায়। হযরত ঈসা (আঃ) এর আগমনের পূর্বে, কাঙ্ক্ষিত মোবারক গাজওয়াতুল হিন্দ এর সূচনা ঘণ্টা বা প্রারম্ভিক ঘন্টাধনি বাজবে। গাজওয়া শব্দের অর্থ অভিযান আর হিন্দ বলতে ভারতবর্ষের চারদিক বুঝায়। এই হিন্দ মানে শুধুমাত্র ভারতবর্ষ নয়।
নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এবং ভারত বর্ষ নিয়ে গাজওয়াতুল হিন্দ এর অবস্থান বলে, ইসলামিক স্কলার ও বিশেষজ্ঞগণ নিশ্চিন্ত করেছেন। ইসলামিক বিভিন্ন দলিল অনুসারে, বর্তমান সীমারেখা অনুযায়ী, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের কিছু অংশ, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং আরাকান ও মিয়ানমারের কিছু অংশ সহ এইসব এলাকা, হাদীসে বর্ণিত হিন্দের অন্তর্ভুক্ত।..(পুরো বইটি পড়ুন)
বইঃ গাজওয়াতুল হিন্দ
- লেখকঃ প্রফেসর ড. ইসমতুল্লাহ ৷
- ভাষান্তরঃ মোল্লা আবু খাওলা ৷
বইঃ গাজওয়াতুল হিন্দ এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা
কখন হবে গাজওয়াতুল হিন্দ
গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থ হিন্দুস্থানের যুদ্ধা যার পারিভাষিক অর্থ হিন্দুস্থানের তথা ভারতের মুশরিকদের সঙ্গে ইমানদার মুসলমানদের যুদ্ধা আবার অনেকেই ভাবেন মুহাম্মাদ বিন কাশিমের সময় এই যুদ্ধটি হয়ে গেছে। তাদের এই ধারণাটা ভুল।
কেননা, যদি সেই যুদ্ধটা হয়েই যেত তাহলে এতো দিনে খলিফা মাহদী সহ মরিয়াম তনয় ইসা (আ.) এ আত্বপ্রকাশ হয়ে যেত। আর এই যুদ্ধটা যেহেতু হিন্দুস্থান থেকে মুশরিকদের চিরতরে উৎখাতের যুদ্ধা উদাহরণ স্বরূপ যেমনটি মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে আরব থেকে মুশরিকদের চিরতরে উৎখাত করা হয়েছে। আর সেজন্যই এই যুদ্ধটাকে গাজওয়া বলা হয়। আর ‘গাজওয়া’ সেই যুদ্ধকে বলা হয় যে যুদ্ধে আল্লাহর রসূল )ﷺ( স্বশরীরে উপস্থিত থেকেছেন।
আর বাকী যুদ্ধগুলোকে ‘সারিয়া’ বলা হয়। আর এ যুদ্ধে আল্লাহর রসূল (স) স্বশরীরে উপস্থিত থাকছেন না। কিন্তু মক্কা বিজয়ের কিছু সাদৃশ্য এ যুদ্ধে রয়েছে। এ যুদ্ধ ব্যতিত তথা গাজওয়াতুল হিন্দ ব্যতিত আল্লাহর রসূল )ﷺ( এর মৃত্যুর পরে আর কোন যুদ্ধকে গাজওয়া বলা হয় নাই। তবে হিন্দুস্থানের মুশরিকদের সঙ্গে মুসলমানদের সকল ধর্মীয় যুদ্ধগলোই গাজওয়াতুল হিন্দের অন্তর্ভুক্ত।
আর গাজওয়াতুল হিন্দ শুরু হয়েছে ২৩ হিজরীতে খলিফা আমিরুল মুমিনীন হযরত উমর বিন খাত্তাব (রা.) এর শাসন আমল থেকে। আর এই গাজওয়াতুল হিন্দের চূড়ান্ত পর্যায়ে মুসলমানগণ পূর্ণাঙ্গ হিন্দুস্থান বিজয় করবে। যার ফলে হিন্দুস্থান থেকে মুশরিকরা চিরতরে উৎখাত হবে। আর সম্মানিত প্রতিশ্রুতি চূড়ান্ত যুদ্ধের সময় সম্পর্কে আল্লাহর রসূল )ﷺ( ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বো ৷
[ বইটির পিডিএফ ]
Please Wait...
গাজওয়াতুল হিন্দ PDF এবং হার্ডকপি বই | Ghazwatul Hind Bangla Book
Join Telegram Channels

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

"ঘরে বসে আয় করুণ"