kopalkundula uponnash by Bankim Chandra Chattapadhyaya book pdf download from Pdfporo.
কপালকুন্ডুলা উপন্যাস pdf download
কপালকুন্ডুলা বই বিবরণ
বইঃ কপালকুন্ডুলা বই pdf
লেখকঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বই pdf
প্রকাশনীঃ শব্দশৈলী বই pdf
ফরম্যাটঃ পিডিএফ বই pdf
ক্যাটাগরিঃ চিরায়ত উপন্যাস বই pdf
কপালকুন্ডুলা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বই pdf download
আরোহীদের স্ফুর্ত্তিব্যঞ্জক কথা সমাপ্ত হইলে , নাবিকেরা প্রস্তাব করিল যে , জোয়ারের বিলম্ব আছে , এই অবকাশে আরোহীগণ সম্মুখস্থ সৈকতে পাকাদি সমাপন করুন , পরে জলোচ্ছ্বাস আরম্ভেই স্বদেশাভিমুখে যাত্রা করিতে পারিবেন । আরোহীবর্গও এই পরামর্শে সম্মতি দিলেন । তখন নাবিকেরা তরি তীরলগ্ন করিলে আরোহীগণ অবতরণ করিযা স্নানাদি প্রাতঃকৃত্য সম্পাদনে প্রবৃত্ত হইলেন ।
স্নানাদির পর পাকের উদ্যোগে আর এক নূতন বিপত্তি উপস্থিত হইল— নৌকায় পাকের কাষ্ঠ নাই । ব্যাঘ্রভয়ে উপর হইতে কাষ্ঠ সংগ্রহ করিয়া আনিতে কেহই স্বীকৃত হইল না । পরিশেষে সকলের উপবাসের উপক্রম দেখিয়া প্রাচীন , প্রাগুক্ত যুবাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন , “ বাপু নবকুমার ! তীরোপরি আরোহণ করিয়া নবকুমার দেখিলেন যে , যতদূর দৃষ্টি চলে , তত দূর মধ্যে কোথাও বসতির লক্ষণ কিছুই নাই । কেবল বন মাত্র ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর বই pdf download
কিন্তু সে বন , দীর্ঘ বৃক্ষাবলীশোভিত বা নিবিড় বন নহে ; কেবল স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ মণ্ডলাকারে কোন কোন ভূমিখণ্ড ব্যাপিয়াছে । নবকুমার তন্মধ্যে আহরণযোগ্য কাষ্ট দেখিতে পাইলেন না ; সুতরাং উপযুক্ত বৃক্ষের অনুসন্ধানে নদীতট হইতে অধিক দূর গমন করিতে হইল । পরিশেষে ছেদনযোগ্য একটি বৃক্ষ পাইয়া তাহা হইতে প্রয়োজনীয় কাষ্ঠ সমাহরণ করিলেন ।
কাষ্ঠ বহন করিয়া আনা আর এক বিষম কঠিন ব্যাপার বোধ হইল । নবকুমার দরিদ্রের সন্তান ছিলেন না , এ সকল কৰ্ম্মে অভ্যাস ছিল না ; সম্যক্ বিবেচনা না করিয়া কাষ্ঠ আহরণে আসিয়াছিলেন , কিন্তু এক্ষণে কাষ্ঠভার বহন বড় ক্লেশকর হইল । যাহাই হউক , যে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইয়াছেন , তাহাতে অল্পে ক্ষান্ত হওয়া নবকুমারের স্বভাব ছিল না , এজন্য তিনি কোন মতে কাষ্ঠভার বহিয়া আনিতে লাগিলেন । কিয়দ্দূর বহেন , পরে ক্ষণেক বসিয়া বিশ্রাম করেন , আবার বহেন ; এইরূপে আসিতে লাগিলেন ।
কপালকুন্ডুলা বই pdf download
এই হেতুবশত : নবকুমারের প্রত্যাগমনে বিলম্ব হইতে লাগিল । এদিকে সমভিব্যাহারিগণ তাঁহার বিলম্ব দেখিয়া উদ্বিগ্ন হইতে লাগিল ; তাহাদিগের এইরূপ আশঙ্কা হইল যে , নবকুমারকে ব্যাঘ্রে হত্যা করিয়াছে । সম্ভাব্য কাল অতীত হইলে এইরূপই তাহাদিগের হৃদয়ে স্থির সিদ্ধান্ত হইল । অথচ কাহারও এমন সাহস হইল না যে , তীরে উঠিয়া কিয়দ্দূর অগ্রসর হইয়া তাঁহার অনুসন্ধান করে । নৌকারোহীগণ এইরূপ কল্পনা করিতেছিল , ইত্যবসরে জলরাশি – মধ্যে ভৈরব কল্লোল উত্থিত হইল ।
নাবিকেরা বুঝিল যে , জোয়ার আসিতেছে । নাবিকেরা বিশেষ জানিত যে , এ সকল স্থানে জলোচ্ছ্বাসকালে তটদেশে এরূপ প্রচণ্ড তরঙ্গাভিঘাত হয় যে , তখন নৌকাদি তীরবর্ত্তী থাকিলে তাহা খণ্ডখণ্ড হইয়া যায় । এজন্য তাহারা অতিব্যস্তে নৌকার বন্ধন মোচন করিয়া নদীমধ্যবর্ত্তী হইতে লাগিল ।
নৌকা মুক্ত হইতে না হইতে সমুখস্থ সৈকতভূমি জল – প্লাবিত হইয়া গেল ; যাত্রিগণ কেবল ত্ৰস্তে নৌকায় উঠিতে অবকাশ পাইয়াছিল , তণ্ডুলাদি যাহা যাহা চরে স্থিত হইয়াছিল , তৎসমুদায় ভাসিয়া গেল । দুর্ভাগ্যবশতঃ নাবিকেরা সনিপুণ নহে ; নৌকা সামলাইতে পারিল না ; প্রবল জলপ্রবাহবেগে তরণী রসুলপুর নদীর মধ্যে লইয়া চলিল । একজন আরোহী কহিল , “ নবকুমার রহিল যে ? ” Also