দ্য গ্রেট গেইম PDF মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ বই | The Great Game Book

Rate this post

দ্য গ্রেট গেইম” বইটির লেখক মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ ৷ বইটি প্রকাশিত হয়েছে মাকতাবাতুল আযহার প্রকাশনী দ্বারা ৷ বইটি পড়তে পারেন, খুব ভালো একটি বই ৷ অনেকে বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ খুজে থাকেন ৷

দ্য গ্রেট গেইম PDF মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ বই | The Great Game Book

বই বিবরণ

  • বইয়ের নামঃ দ্য গ্রেট গেইম ৷
  • লেখকঃ মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ ৷
  • প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আযহার ৷
  • পেইজ সংখ্যাঃ ৪৬৪ টি ৷
  • দামঃ ৪৬০ টাকা(অনলাইন হার্ডকপি রকমারিতে)
  • ক্যাটাগরিঃ ইসলাম ও সমকালীন বিশ্ব নিয়ে বই ৷

দ্য গ্রেট গেইম

ক্ষমতা কারো চিরদিনের জন্য নয়। ক্ষমতা বারবার পক্ষ বদল করে; ধর্ম বদল করে; জাতি বদল করে; স্থান বদল করে; দল বদল করে। ক্ষমতার পালাবদলে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশ ‘আমেরিকা’। ভবিষ্যতে বিশ্ব নেতৃত্বে আসতে হলে অতীত ও বর্তমান বিশ্বনেতৃত্ব সম্পর্কে জানা জরুরি।

এখন দুনিয়াতে এক মহাখেল (Great Game) চলছে। এই গেইমে মূলত তিনটি পক্ষ। প্রধান পক্ষ নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা এককভাবে পরাশক্তির সুবিধা ভোগ করে আসছে। আমেরিকার সুপার পাওয়ার আজ হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে আমেরিকার সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, তার সুপার পাওয়ার স্ট্যাটাস রক্ষা করা।

আমেরিকার মোকাবেলায় অপরদিকে আছে চীন ও রাশিয়া। চায়না-রাশিয়ার অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, তারা আজ উঠতে বসতে আমেরিকার পরাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে। দুই দেশের চ্যালেঞ্জ জানানোর ভঙ্গি ও পন্থা আলাদা হলেও উদ্দেশ্য এক। চায়না ও রাশিয়া মূলত আমেরিকার একটি ‘ডকট্রিন’ বা মতবাদকে চ্যালেঞ্জ করছে। ঘটনার শুরু অনেক আগে।

আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন হলেন জেমস মনরো (১৭৫৪-১৮৩১)। মনরো আমেরিকা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট (১৮১৭-১৮২৫)। জেমস মনরোই সর্বপ্রথম আমেরিকাকে পরাশক্তি হওয়ার দৌড়ে নামিয়েছিল। মনরো ১৮২৩ সালে এক ডকট্রিন (Doctrine) পেশ করেছিল। সেই মনরোনীতি ছিল, পৃথিবীর শক্তিমান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে এক ধমকি ও হুমকি। সেই মতবাদে আমেরিকা নিজেকে প্রকাশ্যে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীতে মনরোনীতিকে আরো সম্প্রসারিত করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম প্রেসিডেন্ট থিউডোর রুজভেল্ট (১৮৮২-১৯৪৫)। তিনি ১৯০১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তিনি চার মেয়াদে ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। তারা গৃহীত পররাষ্ট্র নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য আরো ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রভাব-প্রতিপত্তি, তার জনক মনে করা হয় রুজভেল্ট-কেই। তার শাসনামলেই যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শক্তি থেকে প্রধান বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। সেই আধিপত্য ১০০ বছরের বেশি সময় পরও বহাল আছে।

মনরো নীতির প্রধানতম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারা ছিল:

প্রথম ধারা: এখন থেকে নয়াদুনিয়া (New World)-এর উভয় মহাদেশে, অর্থাৎ উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কোনো ভূখণ্ড, ইউরোপ থেকে কোনো দেশ এসে দখল করবে না; কলোনি বানাবে না।

এই নিষেধাজ্ঞা এজন্য, নয়াদুনিয়া (আমেরিকা মহাদেশ) আবিষ্কৃত হওয়ার পর এখানকার অমূল্য খনিজ সম্পদ লুঠ করার জন্য দলে দলে ইউরোপিয়ান শক্তিগুলো হানা দিচ্ছিল। যে যার মতো দেশ দখল করে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ কবজা করে নিজ দেশে পাচার করছিল। আমেরিকার আবিষ্কারক ও নির্মাতারাও এখানকার আদি বাসিন্দাদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে ইউরোপিয়ানদের মতোই লুণ্ঠনকর্ম চালিয়েছিল। নিজেরা যা করেছে, সে কাজ করতে আমেরিকা এখন অন্যদের বাধা দিচ্ছে।

ল্যাটিন আমেরিকা বলতে সাধারণত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের যেসব অঞ্চলের জনগণ ল্যাটিন ভাষা থেকে উদ্ভূত স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ ভাষা ব্যবহার করে, তারা। ল্যাটিন আমেরিকার আওতায় দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দশটি, মধ্য আমেরিকার ছয়টি, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের তিনটি ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি দেশ আছে।

দ্বিতীয় ধারা: মনরোনীতির দ্বিতীয় ধারা ছিল, এখন থেকে কোনো দেশ যদি ল্যাটিন আমেরিকায় এসে উপনিবেশ স্থাপন করতে চায়, সেটা হবে আমেরিকার উপর সরাসরি হামলার নামান্তর। অর্থাৎ, সেই রাষ্ট্রকে আমেরিকার সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।

তৃতীয় ধারা: ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কোন্দলে নাক গলাবে না।

চতুর্থ ধারা: ল্যাটিন আমেরিকায় এখন যেসব ইউরোপিয়ান উপনিবেশ আছে, সেগুলোতেও আমেরিকা নাক গলাবে না; হস্তক্ষেপ করবে না। সেগুলোকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবে।…….

আরও পড়ুনঃ ইহুদি জাতির ইতিহাস(PDF)

দ্য গ্রেট গেইম PDF মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ বই | The Great Game Book

[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ ]
       

Join Telegram Channels

PDFporo
PDFporo Join Now

ফ্রি পিডিএফ বইয়ের সমাহার

IncomeSource
IncomeSource Join Now

"ঘরে বসে আয় করুণ"