the new world book by Mushtaq Ahmed pdf download from pdfporo.
দ্যা নিউ ওয়ার্ল্ড বইয়ের বিবরনঃ pdf download
বইঃ দ্যা নিউ ওয়ার্ল্ড বই pdf
লেখকঃ মোশতাক আহমেদ বই pdf
প্রকাশনীঃ অনিন্দ্য প্রকাশ প্রকাশনীর বই pdf
ফরম্যাটঃ পিডিএফ ফাইল(Pdf)
ক্যাটাগরিঃ সায়েন্স ফিকশন বই pdf
সায়েন্স ফিকশন বই pdf download || মোশতাক আহমেদ এর বই pdf

দ্যা নিউ ওয়ার্ল্ড বইয়ের রিভিউঃ pdf download
দ্যা নিউ ওয়ার্ল্ড বইটি একটি সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস । বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে মনে হচ্ছিল দুইজন নভােচারী সমুদ্রের ওপারে কিছু একটি দেখছেন অথবা সমুদ্রের ঐপারে যাবেন । কিন্তু বইটি যখন পড়তে থাকবেন তখন বুঝতে পারবেন এরা আসলে নভােচারী নয় । এই বইটি পড়বার সময় মনে হয়েছিল জীবনের বেঁচে থাকার জন্য আমি কতটুকু প্রস্তুত ।
জীবনে বেঁচে থাকতে হলে নিজেদেরই কিছু অভ্যাসগত পরিবর্তন করার প্রয়ােজন হয় । তা না হলে বিপদ যেকোনাে মুহূর্তে সম্মুখীন । পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসে হাইবিন নামক ধুমকেতু । হাইবিন নামক এই ধূমকেতুটি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসে , পুরাে পৃথিবী কে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে ফেলে । পৃথিবীতে দিন ও রাত কোন পার্থক্য থাকে না ।
Link: মিলক গ্রহে মানুষ pdf download
সূর্যের আলাে না থাকার ফলে , গাছপালা থেকে শুরু করে মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে যায় । এক একটা মৃত্যু একেকটা হৃদয়কে স্পর্শ করেছে । আত্মীয় – স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশী এই দুর্যোগে কেউ এগিয়ে আসছে না । পৃথিবীর নদ নদী সমুদ্র সব হয়ে যায় বরফ আর বরফ । খাবার পানির মূল্য কত গুরুত্বপূর্ণ বইটি পড়লে বুঝতে পারবে ।
ধীরে ধীরে তাপমাত্রা মাইনাস ১০৪ হয়ে গিয়েছিল । লেখক এই পরিস্থিতিতে কিভাবে বেঁচে থাকা যায় তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে । হাইবিন ধূমকেতুটি তিন মাস অবস্থান করেন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে । পুরাে পৃথিবী হয়ে যায় অচলাবস্থা । হসপিটাল আছে ডাক্তার নাই , অপরাধীরা একে একে জেলখানা থেকে বের হয়ে আসে , এয়ারপাের্ট আছে কিন্তু প্লেন চালানাের পাইলট নাই , ব্যাংকের কার্ড আছে কিন্তু লেনদেন করতে পারছেন না , সকল ওষুধের দোকান গুলাে বন্ধ ।
Also Link: বিজ্ঞানের ভুল pdf download
বইটা পড়ে মনে হচ্ছিল , সৃষ্টিকর্তা একজন আছেন , উনি মানুষের অন্তরে থাকেন এবং মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেন , এই পৃথিবী আমি সৃষ্টি করেছে ও আমি চাইলেই পরিসমাপ্তি করতে পারি । তারই একটি নমুনা উঠে এসেছে এই বইটিতে । আমার কাছে মনে হয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনাবলী ও বেদনাদায়ক ঘটনা অবলম্বনে এই বইটি পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করবে । এই বইটি পড়ে ৬ টি শিক্ষণীয় মেসেজ পেয়েছি
১. যেকোনাে পরিস্থিতির জন্য আপনাকে তৈরি করতে হবে আগে থেকে , এর জন্য তিন বেলায় খেতে হবে । এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে । কঠিন পরিস্থিতি মােকাবেলা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে অভ্যাসগত পরিবর্তনের ফলে ।
২. এই বইয়ের অন্যতম একটি ব্যক্তি হলাে হায়দার আহমেদ । এই ব্যক্তিটির মাধ্যমে লেখক যে ম্যাসেজ দিয়েছে তা হল পরােপকারিতা ও একজন ব্যক্তি পারে সমাজকে পরিবর্তন করতে । সারাক্ষণ শুধু নিজের কথা না ভেবে , আপনার আশেপাশে মানুষের উপকার করতে না পারলে এ পৃথিবী ও প্রকৃতি আপনাকে অভিশাপ দিবে ।
৩. এই বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ছেলেটির নাম ইফান । লেখক এই ইফান চরিত্রটি মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্ববােধ পাঠক শিখিয়েছেন । ইফান কে আমার মনে হয়েছে আমাদের ছােটবেলার সেই ম্যাকগাইভার সিরিয়ালটি সেই নায়ক টি ।
Link: Science Fiction pdf download
৪. ডক্টর হাইবিন একজন বিজ্ঞানী । আমার কাছে মনে হয়েছে শুধু বিজ্ঞানী বললে ভুল হবে উনি পুরাে পৃথিবী কে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য নিজেকে সার্বক্ষণিক চেষ্টা করেছেন । ডক্টর হাইবিন আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষরূপী প্রকৃত ভালাে মানুষ ।
৫. ইনিশা অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রের মাধ্যমে লেখক মানুষের জীবনে যেসব দুর্যোগগুলাে আসে এবং এই বিপদগুলাে কত ভয়াবহ হয় তা উল্লেখ করেছেন । দুর্যোগের মুহূর্ত স্বার্থপর জগত থেকে বের হয়ে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় লেখক দুর্দান্তভাবে এই চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন ।
৬. পৃথিবী আর মানব সভ্যতা কে টিকে থাকার জন্য আমাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে । একেকটা দুর্যোগ ফলে পৃথিবী থেকে মানুষের চলে যেতে হবে , আরে চলে যাবার আগে আমাদের ভালাে কাজ গুলি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবেন । লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটি বই শ্বাসরুদ্ধকর বই লিখবার জন্য ।