ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস pdf download | Ihudi o Khistren jatir itihas book pdf. আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভিউয়ার, আপনারা অনেকেই অনলাইনে খুঁজে থাকেন ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস বইয়ের পিডিএফ । আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে অনলাইন থেকে কিছু বইয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য দিয়েছি, আশা করি বইগুলোর পিডিএফ পেয়ে খুশি হবেন। আপনারা জানেন যে ইহুদি ও খ্রিস্টান প্রাচীনতম জাতি । এই জাতিগুলোর ইতিহাস জানা প্রত্যেকেরই উচিত । আমাদের সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷
ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস pdf download
ইহুদি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় মূলত দুই প্রধান প্রাচীন উন্মত । মানবজাতির আদি পিতা হযরত ইবরাহিম আ . – এর ছিল দুই ছেলে । একজন হযরত ইসমাঈল আ .। অপরজন হযরত ইসহাক আ .। ইবরাহিম আ . তাঁর এক স্ত্রীকে ( হযরত হাজেরা রা . ) আল্লাহর হুকুমে মক্কায় রেখে আসেন । তার গর্ভেই হযরত ইসমাঈল আ . ভূমিষ্ট হয়েছিলেন । পরবর্তীতে তার বংশধর সেখানে বৃদ্ধি পেতে থাকে । একপর্যায়ে মক্কার কুরাইশ বংশের শাখাগোত্র হাশেমি বংশে আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আবির্ভাব ঘটে ।
অন্যদিকে হযরত ইবরাহিম আ . – এর প্রথম স্ত্রীর ( হযরত সারা রা . ) গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট হন হযরত ইসহাক আ .। তার এক নেক সন্তানের নাম হযরত ইয়াকুব আ .। হযরত ইয়াকুব আ . – এর ছিল বারোজন সন্তান । মূলত এই বারোজন সন্তান থেকেই বনী ইসরাঈলিদের বারোটি গোত্রের গৌরবময় যাত্রা শুরু হয় । হিব্রুভাষায় ইয়াকুব আ . – এর নাম ছিল ইসরাঈল – ইসরা অর্থ বান্দা , আর ঈল অর্থ আল্লাহ । অর্থাৎ , আল্লাহর বান্দা ।
বনী ইসরাঈলিদের মধ্যে নবুওয়তের ধারাবাহিকতা চলতে থাকে । এই ধারাবাহিকতা শেষ হয় হযরত ঈসা মাসিহ আ . – এর আবির্ভাবের মাধ্যমে । তারপর নবুওয়তের গুরুদায়িত্ব স্থানান্তরিত হয় বনি ইসরাইলিদের ভাইদের কাছে , তথা বনি ইসমাঈল বংশে । একথা তারা খুব ভালো করে জেনেছিল । জেনেছিল বলেই তো তারা সুদূর শাম থেকে ভ্রমণ করে শেষ নবীর আগমনের স্থানে এসে অধীর অপেক্ষায় কাটিয়েছে । ইহুদি জাতির ইতিহাস pdf download
আরও পড়ুনঃ
নবীজির আলামত , হিজরতের স্থান মানুষকে বলে বেড়িয়েছে । তার আনুগত্যের শপথ নিয়েছে । অথচ যখন আল্লাহর নবী স্বয়ং তাদের কারও কারও সামনে দণ্ডায়মান , তখন তারা উচ্চারণ করেছে ঘৃণ্য বিদ্বেষপূর্ণ এ কথাটি – এ সেই নবী নয় , যার সুসংবাদ আমরা তোমাদের দিয়েছি । তাদের প্রতীক্ষা আজও চলমান ।
আশাকরি , এই প্রতীক্ষার শেষ হবে মাসিহে দাজ্জালের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে । তারা তারই অনুসারী । তাদের স্বভাব – চরিত্র , অপেক্ষার তাৎপর্য সেদিকেই ইঙ্গিত করে । তারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এতো বেশি জানার পরও নবীজি সা . – এর অনেক বেশি প্রশংসা করার পরও নবীজির উপর ঈমান আনয়ন তাদের ভাগ্যে জোটেনি ।
ইসলামের দৌলত তাদের ভাগ্যে ছিল না বলেই বিদ্বেষবশত নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়তকে অস্বীকার করেছে । আল্লাহ তাআলা যথার্থ বলেছেন , তারা নবীজিকে তাদের সন্তানদের চেয়েও বেশি ভালোভাবে চিনত ৷ নিজের হাতের তালুর চেয়েও বেশি চিনেছিল । যে কারণে সমস্ত নিদর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণীর তির যার দিকে নির্দেশ করে , তাকে দেখামাত্র তারা চিনতে পেরেছিল । খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস pdf download
ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস বই pdf download
আরও পড়ুনঃ
একেবারে নিশ্চিতভাবে তাকে শনাক্ত করেছিল । কোনো ভুল হয়নি । নবী হিসেবে আত্মপ্রকাশের আগেই তার নবুওয়তের ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল- ইহুদি পণ্ডিতদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে । কিন্তু তবু ক্ষমতার লোভ , প্রতিপত্তির আকাঙ্ক্ষা , সম্পদের মোহ ও আত্মগরীমায় প্রলুব্ধ পথভ্রষ্ট জাতি সুপথে ফিরেনি ।
হিংসার অনলে পুড়ে ছাই হলো । আর জাহান্নামের আগুন তাদের প্রতীক্ষায় । ওপর দিকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নিজেদের নবীর মুখ থেকে আখেরি নবীর সমস্ত গুণ সম্পর্কে অবহিত হয়েই ছিল , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাওহিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাজাবাদশাদের দরবারে ইসলামের দাওয়াত প্রেরণ করেন , তখন চক্ষুষ্মান জ্ঞানীগণ ঠিকই নবীজিকে চিনতে পেরেছিলেন ।
তাদের মধ্যে আবিসিনার বাদশাহ আসহামা তো ধন্যই হয়েছেন , বাকিদের কেউ কেউ ঈমানের স্বাদ চেখেছেন , কেউ ধৃষ্টতা দেখিয়েছে । ফলে আল্লাহ তাদের ব্যাপারে তাঁর ফায়সালা বাস্তবায়ন করেছেন । ইহুদি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সরচে বড় ধৃষ্টতা হচ্ছে , তারা সংরক্ষিত কিতাবে পরিবর্তনের প্রয়াসী হয়েছে ।
আল্লাহর আয়াতের উপর অত্যাচারের খড়গ কৃপাণ চালিয়েছে । আল্লাহর ক্ষমতা ও বিশেষণ জানা সত্ত্বেও আলোকিত সত্যকে দুহাতে আড়াল করতে তৎপর হয়েছে । যেন আল্লাহর নূরকে ফুঁ দিয়ে নির্বাপিত করার অপচেষ্টা । তাদের এই প্রয়াস হয়ে উঠেছে দিবসে সূর্যের আলোকে ভর্ৎসনাকারী চামচিকার মতো । তারা বাস্তবতাকে চোখ বুঁজে নাক কুঁচকে এড়িয়ে যাবে ভাবলেও সত্য কখনোই মিথ্যার সাথে আপস করে না । ইহুদি ও খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস বিষয়ক বই pdf download
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানেও ইহুদি – খ্রিষ্টান ও অন্য ধর্মবলম্বীদের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান আসুন আমরা অন্তত একটি কথার উপর একমত হই , আমাদের সৃষ্টিকর্তা এক , তাঁর কোনো শরিক নেই । এই বিশ্বজগতে তাঁর কাজে ক্ষমতায় সিদ্ধান্তে অন্য কারও অংশীদারত্ব নেই । তিনি নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন । কিতাব দিয়েছেন । কিয়ামত অবশ্যাম্ভাবী । জান্নাত – জাহান্নাম সত্য । আর চিরন্তন যে সত্যটি আমরা আজও বিস্মৃত বলে পৃথিবীর দুর্যোগ আমাদের ক্রমাগত গ্রাস করে যাচ্ছে , আমরা সমস্ত মানুষ ও জিন , আল্লাহর হুকুমের অধীন ।
আল্লাহর হাতেই জীবন মৃত্যু , তাঁর হাতেই পরিণতির শেষ অংশ । সুতরাং জ্ঞানের নিয়ামত পেয়ে , বুদ্ধি – বিবেচনার গুণ পেয়ে , সত্য চিনে মানার যোগ্যতা সত্ত্বেও দিব্যসত্যের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত থেকে , মৃত্যুর করাল গ্রাস থেকে এ যাবৎ কেউ বাঁচতে পারেনি মনে রেখো , অবশেষে যখন স্রষ্টার কাছে ফিরে যাবে সব রূহ – তখন সেই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করা হবে , তোমার সেই সাক্ষ্যের কী হবে , তুমি তোমার প্রতিপালককে স্বীকার করেছিলে ।
অথচ পৃথিবীতে চোখ কান থাকা সত্ত্বেও অন্ধ মূক ও বধির সেজেছিলে । মূলত এ ভনিতা পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে গৃহীত হলেও হিসাবের কাঠগড়ায় কড়ায়গণ্ডায় জবাবদিহি নেওয়া হবে । সবশেষে বই নিয়ে দুটো কথা । এর বিষয়বস্তুর উপযোগিতা বর্তমানে তীব্রভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে । বৈজ্ঞানিক চরম উৎকর্ষতার মাঝে মানবহৃদয়ে শান্তির জন্য হাহাকার চারিদিকে ।
হতাশার অন্ধকারে আপাদমস্তক নিমজ্জিত যুবক – পৌড়ের আধো উন্মেলিত চাহনি সেই ত্রানকর্তার পথের দিকে । ন্যায়ের পানপাত্র হাতে যে স্নেহের হাত বুলিয়ে দেয় অবাধ্য অর্বাচীন গর্দান – শিরে । এইখানে ঠিক যেন তাই করা হয়েছে । কোন ধর্মকে খাটো করা হয়নি । শুধু আসমানি গ্রন্থের বর্ণনানুসারে ইহুদি – খ্রিষ্টান ও ইসলাম ধর্মের মাঝে তুলনামূলক সামঞ্জস্য ও ব্যবধান চিহ্নিত করা হয়েছে ৷
Download Now, Ihudi o Khistren jatir itihas book pdf
Last updated: