ইতিহাসের ইতিহাস pdf download | itihaser itihas book pdf. ইতিহাসের ইতিহাস বইটির লেখক আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা (Allama Golam Ahmad Mortoja) এবং মদীনা পাবলিকেশান্স (Modina Publications) কর্তৃক প্রকাশিত ইতিহাস বিষয়ক বই ৷ আমাদের সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷
ইতিহাসের ইতিহাস pdf download
বইয়ের বিবরণঃ ইতিহাসের ইতিহাস
বইঃ | ইতিহাসের ইতিহাস |
লেখকঃ | আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা |
প্রকাশনীঃ | মদীনা পাবলিকেশান্স |
ফরম্যাটঃ | পিডিএফ ফাইল(PDF) |
ক্যাটাগরিঃ | ইতিহাস বিষয়ক বই PDF |
ইতিহাসের ইতিহাস বই pdf download
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ভারতের প্রাচীন নিজস্ব ইতিহাস বলতে বেদ নামে পরিচিতি চারখানি ধর্ম পুস্তকের বিশেষত ঋগ্বেদ । ‘ আবার রামায়ণ ও মহা – ভারত প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থগুলো অনেকের মতে মূল ইতিহাস বলে গ্রহণীয় । কিন্তু বাইরের ইতিহাসগুলো বাদ দিলে এগুলোতে যে তথ্য বা তত্ত্ব আছে তা প্রকৃত ইতিহাসের উপাদান হিসেবে নগণ্য ।
তবে মুসলিম ইতিহাস ও ইংরেজদের ইতিহাস পরিপক্ক জ্ঞান থাকলে ঐ সমস্ত গল্প কাহিনী হতে কিছু কিছু যোগ বিয়োগের মাধ্যমে কোন কোন স্থানে খাপ খাওয়ানো যেতে পারে । জানা দরকার , পুরাতন পুস্তক মাত্রই ইতিহাস নয় । অনেক মুসলমান পুঁথি লেখকও লিখেছেন এই কায়দায় , যথা “ লাখে লাখে মর্দ ছব ছহিদ হইল , লোহুতে লাল হয়ে দরিয়া বহিল ” ইত্যাদি ইত্যাদি । এর নাম ইতিহাস নয় ।
তেমনি আবার অনেক বিজ্ঞজনের মতে রামায়ণ মহাভারতের মধ্যেও অনেক কিংবদন্তি ও অসার কল্প কাহিনী আছে , যা ইতিহাসরূপে মর্যাদার অধিকারী নয় । যেমন বিখ্যাত ঐতিহাসিক রমেশ মজুমদারের মতে আর্য জাতির জন্ম সম্বন্ধে পুরাণ ও মহাভারতে আছে ” দীর্ঘতমা নামে এক বৃদ্ধ অন্ধ ঋষি যযাতির বংশজাত পূর্ব দেশের রাজা মহাধার্মিক পণ্ডিত প্রবর সংগ্রামে অজেয় বলিয়া আশ্রয় লাভ করে এবং তাহার অনুরোধে তাঁহার রানী সদেজ্ঞা গর্ভে পাঁচটি পুত্র উৎপাদন করেন । ইহাদের নাম অঙ্গ , কলিঙ্গ , পুন্ড্র , সুক্ষ ও বঙ্গ ।
তাঁহাদের বংশধরেরা ও তাঁহাদের বাসস্থানও তাঁহাদেরই নামে পরিচিত । অঙ্গ বর্তমানে ভগলপুর এবং কলিঙ্গ , উড়িষ্যা ও তার দক্ষিণবর্তী ভূভাগ ; পুণ্ড্র , সুক্ষ ও বঙ্গ যথাক্রমে বাংলার উত্তর – পশ্চিম ও দক্ষিণ ও পূর্ব ভাগ । সুতরাং এই পৌরাণিক কাহিনী মতে উল্লিখিত প্রদেশগুলোর অধিবাসীরা এক জাতীয় এবং আর্য ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয়ের মিশ্রণে সমুদ্ভূত । এই কাহিনী ঐতিহাসিক বলিয়া গ্রহণ করা যায় না । ” ক্ষত্রিয় রমণীগণ স্বামীর আদেশক্রমে পরপুরুষ বা অপর ব্রাহ্মণের দ্বারা সন্তান উৎপাদন করলে সেই সন্তানকে বলা হয় ক্ষেত্রজ সন্তান ।
আরও দেখুনঃ মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস PDF
ইতিহাসের ইতিহাস আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা pdf download
কিন্তু বর্তমান যুগে কেউ – ই সেটাকে ধর্ম বলবে না বরং বলবে ব্যভিচার । ধর্মগ্রন্থের শাস্ত্রকারগণ বাংলাদেশের অধিবাসীদিগকে রাক্ষস , পিশাচ , অসুর প্রভৃতি বলে উল্লেখ করেছেন , এমনকি স্বয়ং “ ভগবান মনু ” ব্যবস্থা দিয়েছেন যে , “ তীর্থ যাত্রা ব্যতীত গমন করিলে তাহাকে পুনরায় সংস্কার গ্রহণ করিতে হইবে । ” ঋগ্বেদের ওপর অনেকেরই বিশ্বাস যে , তার নাকি একটি অক্ষরেরও পরিবর্তন হয়নি , অবিকলরূপে পূর্বাবস্থায় বর্তমান আছে ।
কিন্তু এ কথা যে সর্ববাদী সম্মত সত্য নয় তা নিচের আলোচনায় পরিষ্কার হয়ে উঠবে । হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা মারাত্মকভাবে প্রচলিত , কিন্তু বর্তমান যুগে বহু শিক্ষিত মানুষ ধর্মের ঐ অংশের ভুল অর্থ করতে দ্বিধা করছেন না । ঋগ্বেদের ১০ ম মণ্ডলের ৯০ সুক্তটি “ পুরুষ সুক্ত ” বলে বিখ্যাত । এই সুক্তের শেষের দিকে জাতি বিচারের ব্যবস্থা দেওয়া আছে যথা- “ সেই বিরাট পুরুষের মুখ হতে ব্রাহ্মণ , তাঁর বাহুদ্বয় হতে ক্ষত্রিয় , উরুদ্বয় হতে বৈশ্য ” পরে আরও বলা হয়েছে পদভ্যাং শূদ্র অজায়ত ‘ অর্থাৎ পা হতে শূদ্র হয়েছে ; কিন্তু বর্তমানে ঐটুকু ঢাকতে গিয়ে ভুল অর্থ করতে কুণ্ঠাবোধ করা হচ্ছে না ।
অনেকে বলেছেন , এর অর্থ হবে “ শূদ্রই উহার পদদ্বয় ” । আবার স্বনামখ্যাত অনুবাদক ও টীকাকার রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় ঐ সুক্ত সম্বন্ধে বলেছেন , “ ঋগ্বেদে অন্য কোন অংশে ব্রাহ্মণ , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শূদ্র এই চার জাতির উল্লেখ নেই । জাতি বিভাগ প্রথা ঋগ্বেদেব সময় প্রচলিত ছিল না । ঋগ্বেদে এই কু প্রথার একটি প্রমাণ সৃষ্টি করার জন্য এই অংশ প্রক্ষিপ্ত হয়েছে । ” সুতরাং প্রমাণ হচ্ছে ‘ ঋগ্বেদে কোন প্রকার পরিবর্তন ঘটোন ‘ এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।
Also Link: সাহাবিদের চোখে দুনিয়া PDF
Download Now itihaser itihas book pdf
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ লিংক ]
You Read this Book: ভারতে মুসলিম শাসনের ইতিহাস PDF
-
ইতিহাসের ইতিহাস বইটির লেখক কে?
উত্তরঃ আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা ৷
-
বইটির প্রকাশনির নাম কি?
উত্তরঃ মদীনা পাবলিকেশান্স ৷
Last updated: