উঠোন পেরিয়ে দুই পা PDF: বই উঠোন পেরিয়ে দুই পা, লেখক হুমায়ূন আহমেদ, প্রকাশনী অনন্যা ৷ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ লিংক রয়েছে, ইচ্ছা করলে পড়তে পারেন ৷ আপনারা অনেকেই উঠোন পেরিয়ে দুই পা বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএ লিংক খুজে থাকেন ৷
উঠোন পেরিয়ে দুই পা—হুমায়ূন আহমেদ
- বইঃ উঠোন পেরিয়ে দুই পা ৷
- লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ ৷
- প্রকাশনীঃ অনন্যা ৷
হুমায়ুন আহমেদে উঠোন পেরিয়ে দুই পা বইটিতে তার একটি অসাধারণ ভ্রমণ কাহিনীর অভিজ্ঞতা ও মজাদার ঘটনা গুলোর কথা উপস্থাপন করেছেন। বিশেষ করে বিদেশে গিয়েও নিজের দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসা এছাড়াও তাঁর পারিবারিক কিছু তথ্য যেগুলো পাঠককে আরো আকর্ষিত করে, সব মিলিয়ে বইটি অসাধারণ।
উঠোন পেরিয়ে দুই পা বই থেকে কিছু অংশ
হোটেল গ্রেভার ইন
এলেম নতুন দেশে। লরা ইঙ্গেলস ওয়াইল্ডারের প্রেইরি ভূমি, ডাকোটা রাজ্য। ভোর চারটায় পৌঁছলাম, বাইরে অন্ধকার, সূর্য এখনো ওঠেনি, হেক্টর এয়ারপোর্টের খোলামাঠে হু-হু করে হাওয়া বইছে। শীতে গা কাঁপছে। যদিও শীত লাগার কথা নয়। এখন হচ্ছে- ফল, শীত আসতে দেরি আছে।
আমার মন খুব খারাপ।
দেশ ছেড়ে দীর্ঘদিনের জন্যে বাইরে যাবার উৎসাহ আমি কখনো বোধ করিনি। বর্ষাকালে বৃষ্টির শব্দ শুনবো না, ব্যাঙের ডাক শুনবো না, চৈত্র মাসের রাতে খোলা ছাদে পাটি পেতে বসবো না, শীতের দিনে গ্রামের বাড়িতে আগুনের কাছে হাত মেলে ধরবো না, এটা হতে পারে না।
অনেকের পায়ের নিচে সর্ষে থাকে। তাঁরা বেড়াতে ভালোবাসেন। বিদেশের নামে তাঁদের রক্তে বাজনা বেজে ওঠে। আমার কাছে ভ্রমণের চেয়ে ভ্রমণকাহিনী ভালো লাগে। একটা বই হাতে, নিজের ঘরে নিজের চেনা জায়গাটায় বসে থাকবো, পাশে থাকবে চায়ের পেয়ালা, অথচ আমি লেখকের সঙ্গে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। লেখক হয়তো সুন্দর একটা হ্রদের বর্ণনা দিচ্ছেন, আমি কল্পনায় সেই হ্রদ দেখছি। সেই হ্রদের জল নীল। জলে মেঘের ছায়া পড়েছে। আমার কল্পনাশক্তি ভালো। লেখক তাঁর চোখে যা দেখছেন আমি আমার কল্পনার চোখে তাঁর চেয়ে ভালো দেখতে পাচ্ছি। কাজেই কষ্ট করে যাযাবরের মতো দেশ-বিদেশ দেখার প্রয়োজন কি?
প্রেইরি ভূমি সম্পর্কে আমি ভালো জানি। লরা ইঙ্গেলস-এর প্রতিটি বই আমার অনেকবার করে পড়া। নিজের চোখে এই দেশ দেখার কোন আগ্রহ আমার নেই। আমি এসেছি পড়াশোনা করতে। নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কেমিস্ট্রির মতো রসকষহীন একটি বিষয়ে পি-এইচ-ডি ডিগ্রি নিতে হবে। কতো দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী কেটে যাবে। ল্যাবরেটরিতে, পাঠ্য বইয়ের গোলকধাঁধায়। মনে হলেই হৃৎপিণ্ডের টিক্টিক্ খানিকটা হলেও শ্লথ হয়ে যায়। হেক্টর এয়ারপোর্টের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওয়ার মতো বুকের ভেতরটাও হু-হু করে।
মন খারাপ হবার আমার আরেকটি বড় কারণও আছে। দেশে সতেরো বছর বয়সী আমার স্ত্রীকে ফেলে এসেছি। তার শরীরে আমাদের প্রথম সন্তান।..পুরো বইটি পড়ুন
উঠোন পেরিয়ে দুই পা PDF | Uthon Peria Doi Pa eBook
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ লিংক ]
Also Link: কোথাও কেউ নেই পিডিএফ
Last updated: