পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস pdf download | pashcatto dorshner itihash book pdf. পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস বইটির লেখক ড. রশীদুল আলম (Dr. Roshidul Alom), এবং মেরিট ফেয়ার প্রকাশন (Merit Fair Prokashon) কর্তৃক প্রকাশিত ইতিহাস বিষয়ক বই ৷ আমাদের সাথেই থাকুন ৷ ধন্যবাদ ৷
পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস pdf download
বইয়ের বিবরণঃ পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস
বইঃ | পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস |
লেখকঃ | ড. রশীদুল আলম |
প্রকাশনীঃ | মেরিট ফেয়ার প্রকাশন |
ফরম্যাটঃ | পিডিএফ ফাইল(PDF) |
ক্যাটাগরিঃ | ইতিহাস বিষয়ক বই PDF |
পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস বই pdf download
দর্শনের বিভিন্ন যুগ ও বৈশিষ্ট্য
প্রাচীন যুগ : প্রাচীন যুগ মানে গ্রীক দর্শনের যুগ । এ যুগ ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ থেকে ৫২৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত । এ বিরাট জগতের মৌলিক তত্ত্ব কি ? তার অনুসন্ধানকে কেন্দ্ৰ করেই গ্রীক দর্শনের শুভ যাত্রা শুরু হয়েছিল । দর্শনের আদি গুরু থেলিসের ( Thales 1140 550 B. C. ) দৃষ্টি প্রথমে প্রকৃতির দিকে নিবদ্ধ হয় ।
এরপর দর্শন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মানবজীবনের লক্ষ্য , জ্ঞান এবং কল্যাণ ইত্যাদি । প্রথম দিকে এ দর্শন ছিল জড়বাদী , প্রকৃতিবাদী ও তত্ত্ববিদ্যামূলক ( Ontological ) । এ দর্শন ছিল অদৈতবাদী( Monistic ) , কারণ একটিমাত্র তত্ত্বকে অনুসন্ধান করাই ছিল এর লক্ষ্য ।
গ্রীক দর্শন ছিল নির্বিচারবাদী ( Dogmatic ) , কারণ সমস্যা সমাধানের জন্য মানব মনের ক্ষমতাকে এ দর্শন বিনা প্রশ্নে স্বীকার করে নিয়েছে । তবে দর্শনের ইতিহাসে গ্রীক দর্শনের সমধিক গুরুত্ব রয়েছে । সভ্যতার শৈশবকাল থেকেই মানুষের কল্পনা দেবতারা সৃষ্টি করেছে । এ দেবতাই মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক । দেবতার এ চিন্তা মানবমনকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বেষ্টন করে তাকে পঙ্গু করে দিয়েছিল । পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস pdf download
গ্রীক দর্শন মানুষের ধারণা পাল্টে দিল এবং মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাল কোন্ আদিম উপাদান দিয়ে এ বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি হয়েছে ? এ আদিম উপাদানের অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্রীক দর্শনের সূত্রপাত হয় । “ জল হয় সবকিছুর উৎস ” —— থেলিস চিন্তার রাজ্যে নবধারার উন্মেষ ঘটালো যার জন্য তাঁকে গ্রীক দর্শনের জনক বলা হয় ।
চোখ খুললেই প্রকৃতির যে অপরূপ বৈচিত্র্য আমাদের সামনে উপস্থিত হয় সে বৈচিত্র্য গ্রীক দার্শনিকদের মন আকৃষ্ট করে । তাই প্রকৃতির সৌন্দর্যানুভূতির প্রতি তাঁরা লক্ষ্য করল । বিচার , বিশ্লেষণ , সত্যানুসন্ধান এবং যুক্তিতর্কের চেয়ে বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে সৌন্দর্য আস্বাদনের আগ্রহ গ্রীক দার্শনিকদের মধ্যে প্রবল ছিল ।
চিন্তা করা , জ্ঞান লাভের আকাঙ্ক্ষাও তাঁদের মধ্যে কম ছিল না , কিন্তু সৌন্দর্যাস্বাদনের আকাঙ্ক্ষা সে পথে কিছুটা বাধার সঞ্চার করেছিল । গ্রীক দার্শনিকদের মধ্যে থেলিস , অ্যানাক্সিমেন্ডার , অ্যানাক্সিমিনিস , পিথাগোরাস , হেরাক্লিটাস , জেনোফেন , জেনো , এমপিডোকলেস , অ্যানাকসাগোরাস , প্রোটোগোরাস , সক্রেটিস , প্লেটো , অ্যারিস্টটল প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য । পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস pdf download
Also Link: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস PDF
মধ্যযুগ : মধ্যযুগের সময়কাল হচ্ছে ৫২৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত । এ যুগকে দুটি ক্ষুদ্র যুগে ভাগ করা হয়েছে ।
( ক ) যাজকদের যুগ ( Patristic ) এবং
( খ ) স্কলাস্টিক বা পণ্ডিতীয় যুগ ( Scholastic Period ) |
যাজকদের সময়কাল ছিল ষষ্ঠ থেকে নবম শতাব্দী কাল পর্যন্ত । এ যুগ প্রধানত খ্রিস্টধর্ম ও দর্শনের সমন্বয় প্রচেষ্টার যুগ । প্রধান প্রধান দার্শনিকগণ প্রত্যাদেশে বিশ্বাস করতেন । চিন্তাবিদরা প্রকৃত দার্শনিক তত্ত্বের বদলে ধর্মতত্ত্বের আলোচনাতে অত্যন্ত উদগ্রীব ছিলেন । গ্রীক দর্শন যুগের শেষ দিকে খ্রিস্টধর্মের আবির্ভাব ঘটে ।
সম্রাট কনস্ট্যান্টাইনের এ ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর এর প্রভাব চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে , যার ফলে যাজকদের কথাই বড় বলে গণ্য হত । এ যুগে সমাজের সর্বস্তরে চার্চের আদেশ মান্য না করে উপায় ছিল না । চার্চই ছিল সব বিষয়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি । দার্শনিকরা তাঁদের চিন্তায় ধর্মতত্ত্বের বাণীকে এড়িয়ে চলতে পারতেন না ।
দর্শন ছিল ধর্মতত্ত্বের পরিচারিকা । তাই এ যুগের দার্শনিক চিন্তায় ধর্মতত্ত্বের প্রতিফলন অনিবার্য । অনেক দার্শনিক এর বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে লাঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়েছেন । এ যুগের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও ধর্মতত্ত্ববিদ হলেন সেন্ট অগাস্টিন ( S.t Augustine ) । মধ্য যুগের দ্বিতীয় ভাগের বিস্তৃতিকাল হল নবম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ।
স্কলাস্টিসিজমের ( Scholasticism ) বা পণ্ডিতি দর্শনের আবির্ভাব হয় গীর্জার আশ্রয়ে । এ দর্শনের অনুসারী হিসেবে সাধু অ্যানসেলম ( Anselm ) ও টমাস একুইনাসের নাম উল্লেখযোগ্য । এ দর্শন হল যাজক ও সন্ন্যাসীদের দর্শন । এ যুগের ধর্মীয় বিষয়ে দর্শনের একটা পাতলা প্রলেপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । দর্শন চিন্তা করতে হত প্রচলিত ধর্মের সাথে তাল মিলিয়ে । মুক্তির সাথে বিশ্বাসের বিরোধ দেখা দিলে বিশ্বাসের প্রভুত্ব গ্রাহ্য হত ।
পরলোকের কথাই মুখ্য এবং ইহকালের কথা গৌণ বলে বিবেচিত হত । তবে সেন্ট অ্যানসেলমের ( St. Anselm ) মধ্যে দার্শনিক চিন্তা প্রবণতা ছিল প্রবল । তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের তার যুক্তি দর্শনের ইতিহাসে আজও উজ্জ্বল হয়ে আছে । পরবর্তী আধুনিক যুগে দেকার্তে এ যুক্তিটিকে কিছুটা পরিবর্তন করে তার দর্শনে গ্রহণ করেছিলেন । এসময়ে ধর্ম চিন্তার কঠিন মাটি ভেদ করে দর্শন চিন্তার শেকড় প্রোথিত করলেন আাধু অ্যানসেলম ।
জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ ও স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে লাগল । ধর্ম চিন্তার শক্ত শিকল ভেঙে সমালোচনামূলক চিন্তা জেগে উঠল । স্কলাস্টিক যুগের শেষের দিকে কিছুসংখ্যক চিন্তাবিদ গীর্জার নিয়ন্ত্রণ – শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তৎপর হয়ে উঠলেন । এখানেই স্কলাস্টিক দর্শনের সার্থকতা । পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস pdf download
অ্যারিস্টটলের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবান হলেন শিক্ষিত লোকেরা , যুক্তিবিজ্ঞান স্থান পেল তাদের আলোচনার আসরে । এরপর থেকে শুরু হয় নবজাগরণের যুগ ( Age of Renaissance ) । স্বাধীন চিন্তাকে কেউ শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখতে পারে না । চার্চ প্রচারিত ধর্ম ও গোঁড়ামীর শৃঙ্খল ভেঙে দার্শনিক মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য ইতালির ব্রুনোর ( Bruno – 1548-1600 ) বিরুদ্ধে ধর্ম বিরুদ্ধতার অভিযোগ এনে তাকে ‘ ইনকুইজিশনের ‘ ( Inquisition ) নিকট নির্মমভাবে সোপর্দ করা হয় । ‘ ইনকুইজিশন ‘ অর্থ ধর্মীয় বিচার ব্যবস্থা ।
যারা ধর্মের বিরুদ্ধে যেত তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কোর্ট বসানো হত । এ ব্যাপারে কোন সাক্ষ্য প্রমাণের প্রয়োজন হত না । অপরাধী দোষ স্বীকার না করলে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পুঁড়িয়ে হত্যা করা হত । ব্রুনোর যুক্তিবাদী ও স্বাধীন মতামতের জন্য তাঁকে ‘ ইনকুইজিশনের কুম অনুযায়ী ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে রোমে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করা হয় । হ’বছর কারাবাসের পর তাঁকে এ নির্মম শাস্তি প্রদান করা হয় ।
পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগের দিকে বিজ্ঞান জগতে অনেক নতুন আবিষ্কার হল । বিজ্ঞানের এ নব আবিষ্কারের ফলে মানুষ তাঁর কাঁধ থেকে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের জোয়াল ঘৃণাভরে ফেলতে শুরু করল । বিজ্ঞানের জয়যাত্রার সাথে সাথে আপ্তবাক্যের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শিথিল হয়ে পড়ল । মানুষ বুঝতে পারল , পোপের তৈরি সনদপত্র তার কোন কাজে আসবে না ।
জার্মানির মার্টিন শুধারের ( Martin Luther , 1483-1546 ) নেতৃত্বে ধর্মসংস্কারের আন্দোলন ও নবজাগরণের স্ফুরণ দেখা দিল । মানুষের মধ্যে জ্ঞানার্জনের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন চিন্তাধারা প্রতিষ্ঠার প্রবল ঝোঁক দেখা দিল । এ আন্দোলনের স্রোতকে যারা অক্ষুণ্ণ রাখলেন ও জোরদার করলেন তাঁরা হলেন আধুনিক যুগের ইংল্যান্ডের দার্শনিক বেকন এবং ফরাসি দেশের দার্শনিক দেকার্ত ৷ …বই থেকে সংগ্রীহিত ৷
আরও ডাউনলোড করুনঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী PDF
Download Now pashcatto dorshner itihash book pdf
[ বইটির হার্ডকপি এবং পিডিএফ লিংক ]
-
পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস বইটির লেখক কে?
উত্তরঃ ড. রশীদুল আলম ৷
-
বইটির প্রকাশনির নাম কি?
উত্তরঃ মেরিট ফেয়ার প্রকাশন ৷
Last updated: